এই সময়, নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে এবং নাগরিকের প্রাণরক্ষার লক্ষ্যে চলতি আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেটে ভ্যাকসিন খাতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলেছিলো মোদী সরকার৷ এই টাকায় সংগৃহীত ভ্যাকসিন দেশের প্রতিটি রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে বিলি করা হবে বিনামূল্যে, ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা হয়েছিলো কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু নতুন অর্থবছরের চার-পাঁচ মাস পরে এ ক্ষেত্রেও হতাশারই ছবি দেখছে দেশ, এমনই দাবি চিকিৎসক ও আরটিআইকর্মী বিবেক পান্ডের৷ তাঁর আরটিআই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও জুলাই পর্যন্ত মোট বরাদ্দের মাত্র ২৩.৬ শতাংশ টাকা খরচ করেছে মোদী সরকার৷ আরটিআইয়ের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই জবাবের প্রতিলিপি টুইট করে বিবেকের দাবি, মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের ১২৪ কোটি ডোজ বাবদ ৯২২৯ কোটি ৩১লাখ টাকা খরচ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ আরটিআইয়ের এই জবাবকে হাতিয়ার করেই কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধী শিবির৷ কংগ্রেস এবং তৃণমূল, দু'টি দলের তরফেই করোনার হাত থেকে দেশের আমজনতার প্রাণ বাঁচানোর বিষয়ে মোদী সরকারের প্রয়াস ও সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে৷
উল্লেখ্য, শনিবার সকালেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে যে পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে মোট ৭৩ কোটি ৫লাখ ৮৯ হাজার ৬৮৮ জনকে আপাতত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে৷ বিরোধী শিবিরের দাবি, কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা যথাযথ ভাবে খরচ করা হলে এতদিনে শিশু-সহ দেশের জনসংখ্যার অধিকাংশই টিকার দু'টি ডোজ পেয়ে যেতেন৷
সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ অজয় কুমারের প্রশ্ন, 'করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার সময় হতে চললো, অথচ এতদিনে গোটা দেশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ করা গেলো না, এর থেকে বড় লজ্জার আর কী আছে! দেশের কোটি কোটি শিশু কবে ভ্যাকসিন পাবে, সেই বিষয়ে কেন কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারছে না মোদী সরকার?' অজয় কুমারের দাবি, 'মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকারের জুমলার মতোই ভ্যাকসিন খাতে বিরাট অঙ্কের টাকা বরাদ্দও জুমলা মাত্র৷ প্রধানমন্ত্রীর অতি-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা যদি ভ্যাকসিন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতেন, তা হলে হয়তো এতদিনে সব টাকা খরচ হয়ে যেতো!'
ভ্যাকসিন খাতে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ হলেও কেন তা খরচ হচ্ছে না এবং কেন গোটা দেশের সব নাগরিক ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না, এই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক-সাংসদ শান্তনু সেন৷ তাঁর অভিযোগ, 'আমাদের দেশে এখন 'পিএম' মানে প্রাইম মিনিস্টার নয়, পাবলিসিটি মাস্টার। যিনি ঢাকঢোল পিটিয়ে সব সময়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন৷ ৩৫,০০০ কোটি টাকার পুরোটা খরচ করে যদি দেশের সব নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়া হতো, তা হলে হয়তো নদীতে হতভাগ্যদের মৃতদেহ ভাসার মতো করুণ দৃশ্যের সাক্ষী আমরা হতাম না৷ চিকিৎসক হিসেবে আমি রীতিমতো আশঙ্কায় আছি, এ বার না জানি কী দৃশ্য দেখতে হবে!'
উল্লেখ্য, শনিবার সকালেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে যে পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে মোট ৭৩ কোটি ৫লাখ ৮৯ হাজার ৬৮৮ জনকে আপাতত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে৷ বিরোধী শিবিরের দাবি, কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা যথাযথ ভাবে খরচ করা হলে এতদিনে শিশু-সহ দেশের জনসংখ্যার অধিকাংশই টিকার দু'টি ডোজ পেয়ে যেতেন৷
সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ অজয় কুমারের প্রশ্ন, 'করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার সময় হতে চললো, অথচ এতদিনে গোটা দেশকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ করা গেলো না, এর থেকে বড় লজ্জার আর কী আছে! দেশের কোটি কোটি শিশু কবে ভ্যাকসিন পাবে, সেই বিষয়ে কেন কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারছে না মোদী সরকার?' অজয় কুমারের দাবি, 'মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকারের জুমলার মতোই ভ্যাকসিন খাতে বিরাট অঙ্কের টাকা বরাদ্দও জুমলা মাত্র৷ প্রধানমন্ত্রীর অতি-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা যদি ভ্যাকসিন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতেন, তা হলে হয়তো এতদিনে সব টাকা খরচ হয়ে যেতো!'
ভ্যাকসিন খাতে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ হলেও কেন তা খরচ হচ্ছে না এবং কেন গোটা দেশের সব নাগরিক ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না, এই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক-সাংসদ শান্তনু সেন৷ তাঁর অভিযোগ, 'আমাদের দেশে এখন 'পিএম' মানে প্রাইম মিনিস্টার নয়, পাবলিসিটি মাস্টার। যিনি ঢাকঢোল পিটিয়ে সব সময়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন৷ ৩৫,০০০ কোটি টাকার পুরোটা খরচ করে যদি দেশের সব নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়া হতো, তা হলে হয়তো নদীতে হতভাগ্যদের মৃতদেহ ভাসার মতো করুণ দৃশ্যের সাক্ষী আমরা হতাম না৷ চিকিৎসক হিসেবে আমি রীতিমতো আশঙ্কায় আছি, এ বার না জানি কী দৃশ্য দেখতে হবে!'