অ্যাপশহর

ফের উত্তপ্ত উপত্যকা, জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে খতম ১ সন্ত্রাসবাদী

শ্রীফুরা এলাকায় কয়েকজন জেহাদি ঘাঁটি গেড়ে বসেছে বলে খবর পায় যৌথবাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি। সোমবার ভোরে এক সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করল নিরাপত্তারক্ষীরা।

EiSamay.Com 13 Jul 2020, 11:20 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় প্রতিদিনই উপত্যকায় সেনা ও সন্ত্রাসবাদীদের সংঘর্ষ চলছে। রবিবারের পর সোমবারেও চলে গুলির লড়াই। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে উপত্যকায় চলে সন্ত্রাসবাদী নিধন অভিযান। সোমবার ভোরে এক সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করল নিরাপত্তারক্ষীরা।
EiSamay.Com security forces are present
বাকিদের খোঁজে তল্লাশি


সূত্রের খবর, এ দিন কাশ্মীরের অন্ততনাগের শ্রীফুরা এলাকায় কয়েকজন সন্ত্রাসবাদীর ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকার খবর পায় যৌথবাহিনী। এরপরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি। অভিযান চলাকালীন যৌথবাহিনীর কর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে আত্মগোপনকারী সন্ত্রাসবাদীরা। পালটা জবাব দেয় যৌথবাহিনীও। নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিকেশ হয় এক অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসবাদী। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে বলে জানা গিয়েছে।



চলতি বছরের গোড়া থেকেই কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে অভিযান শুরু হয়েছে। একের পর এক জঙ্গিদের গোপন ডেরায় অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। গত ছয় মাসে প্রায় শতাধিক জঙ্গি খতম হয়েছে বিভিন্ন যৌথ এনকাউন্টারে। তাদের মধ্যে রয়েছে হিজবুল মুজাহিদিন, জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবার কুখ্যাত কম্যান্ডাররা। শহিদ হয়েছেন বেশ কয়েকজন সেনা জওয়ানও। তবে বিভিন্ন অভিযানে ব্যাপক ভাবে সাফল্যও পেয়েছে সেনাবাহিনী। হিজবুলের মোস্ট ওয়ান্টেড রিয়াজ নাইকু এবং জইশের কুখ্যাত ফৌজি ভাই নিকেষ হয়েছে এনকাউন্টারে। নিরাপত্তাবাহিনী এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে জঙ্গি দমন অভিযানে উপত্যকার আমজনতা যেভাবে সহায়তা করেছে তা প্রশংসনীয়।

গত শনিবারই বানচাল হয় অনুপ্রবেশের ছক। শনিবার গভীর রাতে বারমুল্লা জেলায় অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। গোপন সূত্রে খবর মিলেছিল, বারমুল্লার সোপোরের রেবান এলাকায় আত্মগোপন করে আছে জনা কয়েক সন্ত্রাসবাদী। সীমান্তরক্ষীদের কাছে খবর পৌঁছেছে এই হামলার ছক কষছে লস্কর-এ-তইবা। শ্রীনগর-বারামুলা জাতীয় সড়কে হতে পারে এই হামলা। তবে এই হামলাকে পুলওয়ামার চেয়েও আরও বড় রূপ দিতে মরিয়া সন্ত্রাসবাদীরা।

গত কয়েকমাসে বারবার সংঘর্ষ হয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকাতেও। নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অসংখ্য বার যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছর জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ২ হাজারেরও বেশি বার সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাক সেনা। পায়ে সাংকেতিক ভাষায় লেখা আংটা বাঁধা পায়রা উদ্ধার হয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা থেকে। ভারতীয় ভূখণ্ডের আকাশে চক্কর কাটা পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে সেনাবাহিনী। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। এই বছরের জানুয়ারি থেকে শীর্ষ নেতারাও ধরা পড়েছে এবং মারা গিয়েছে। প্রায় ৫০ জন সন্ত্রাসবাদীকে সেনা খতম করেছে উত্তর কাশ্মীরেই।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল