অ্যাপশহর

উত্তেজনা বাড়িয়ে সীমান্তে ফের গুলি চালাল নেপাল পুলিশ, জখম ১ ভারতীয়

সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের লক্ষ্য় করে ফের গুলি চালাল নেপাল পুলিশ। এবার ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের কিষাণগঞ্জে। এই ঘটনা দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নয়া তিক্ততা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

EiSamay.Com 20 Jul 2020, 5:52 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির একের পর এক বিতর্কিত কার্যকলাপে নয়াদিল্লির সঙ্গে কাঠমাণ্ডুর মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। এমনই এক আবহে উত্তেজনা আরও বাড়ল ভারত-নেপাল সীমান্তে। রবিবার ফের ভারতীয়দের লক্ষ্য করে গুলি চালাল নেপাল পুলিশ। বিহারের কিষাণগঞ্জে ভারত-নেপাল সীমান্তে এই ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে এক ভারতীয় নাগরিক জখম হয়েছেন বলে একজন সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন। জখম ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের উপরে গুলি চালাল নেপাল পুলিশ।
EiSamay.Com nepal 2
প্রতীকী ছবি


কিষাণগঞ্জের পুলিশ সুপারকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা ANI রবিবার রাতে জানিয়েছে, এদিন সীমান্ত এলাকায় তিন জন ভারতীয়কে লক্ষ্য় করে গুলি চালায় নেপালের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে এক ব্যক্তির শরীরে গুলি এসে লাগে। স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। বিহার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

এর আগে গত ১২ জুন ভারত-নেপাল সীমান্তে বিহারের সীতামারিতে নেপাল পুলিশের গুলিতে এক ভারতীয় কৃষক প্রাণ হারান। আহত হয়েছিলেন আরও ২ জন ভারতীয় নাগরিক। সীমান্তের কাছে খামারে যখন তাঁরা কাজ করছিলেন তখন সীমান্তের ওপার থেকে গুলি চালানো হয়েছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বিকেশ রাই (২৫) নামে এক যুবক। জখম অবস্থায় উমেশ রাম ও উদয় ঠাকুর নামে আরও দু'জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। অভিযোগ, সে দিন মোট ১৭ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল নেপালের দিক থেকে। এই ঘটনার এক মাসের মধ্যে এ বার কিষাণগঞ্জে ভারত-নেপাল সীমান্তে ভারতীয়দের উপরে নেপাল পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনায় গোটা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।


সম্প্রতি নানা ইস্যুতে ভারত-বিরোধিতায় সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলিকে। মানচিত্র বিতর্কই হোক আর 'আসল অযোধ্যা'কে নেপালে ঢুকিয়ে, রামচন্দ্রকে নেপালি বলে দাবি করা-- সে দেশের এই বর্ষীয়ান কমিউনিস্ট নেতার প্রতিটি কার্যকলাপের পরিকল্পনা মাফিক বলে মনে করছেন কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, ভারতীয় উপমহাদেশের ভূ-রাজনীতিতে অশান্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে চিনের অঙ্গুলি হেলনেই এমন বিতর্কিত কাজ করছেন কেপি শর্মা অলি। নেপালের প্রধানমন্ত্রী নিজেকে অন্যের হাতের পুতুল করে তুলছেন। এর মধ্যে রবিবার বিহারে সীমান্তে ভারতীয় নাগরিকদের উপরে নেপাল পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনা দু-দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির কূট উদ্দেশ্যে কি না, তা তদন্তের পরেই স্পষ্ট হবে।

পরের খবর