এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশই তীব্র হচ্ছে Omicron আতঙ্ক। বেঙ্গালুরু, মুম্বইয়ের পর এবা চণ্ডীগড়েও দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত যাত্রীর শরীরে বাসা বাঁধল করোনাভাইরাস (Coronavirus)। সোমবারই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)থেকে দেশে ফেরে ওই ব্যক্তি। তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ৩৯ বছর বয়সী চণ্ডীগড়ের বাসিন্দার সংস্পর্শে আসায় তাঁর এক আত্মীয় এবং এক গৃহ সহায়কেরও কোভিড ধরা পড়েছে। তাঁদের সকলের নমুনা বিশেষ পরীক্ষার জন্য দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
বেঙ্গালুরুতে কড়া নজরদারি জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর কেম্পে গৌড়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ঘুরে দেখেছেন বেঙ্গালুরু গ্রামীণ জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক টিপ্পেস্বামী। তিনি জানান, কর্নাটকে যে সব মানুষ বিদেশ থেকে ফিরেছেন তাঁদের সকলের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ। যদিও প্রত্যেককেই ৭ দিনের বাধ্যতা মূলক নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। ৭ দিন পর ফের তাঁদের পরীক্ষা হবে। কোভিড ধরা না পড়লে তাঁরা ফিরতে পারবেন স্বাভাবিক জীবনে। এঁরা সকলেই বেঙ্গালুরু বিমান বন্দরে নেমেছিলেন। এখনও পর্যন্ত মোট ৫৯৮ জন যাত্রী সরকারি নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
উড়ান বন্ধের পরামর্শ
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক উড়ান (international Flights) চালু রাখার সিদ্ধান্তে অনড় ভারত। কিন্তু, সে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করছে রাজ্য সরকারগুলি। প্রথম প্রশ্ন উঠল মহারাষ্ট্রের তরফে। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপি সোমবার বলেন, 'রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা কেন আন্তর্জাতিক উড়ান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করব না? অন্তত যে সব দেশ এই মুহূর্তে থাবা গেড়েছে Omicron, যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ, সে সব দেশের বিমান ওঠানামায় যাতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয় সে বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানাব। রাজ্য মন্ত্রিসভা এমনই দাবি তুলেছে। আগামী কয়েক দিনেই সিদ্ধান্ত নেবে মহারাষ্ট্র সরকার।'
বাইডেনের সতর্কবার্তা
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতির কথা ঘোষণা করা হয়। WHO এই প্রজাতির নামকরণ করেছে Omicron। একই সঙ্গে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আগামী দিনে বিশ্বে ত্রাস হয়ে দেখা দিতে পারে এই নতুন প্রজাতির ভাইরাস। তাই একে নিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই সারা বিশ্বে শুরু হয়েছে নতুন আতঙ্ক। বেশ কিছু রাষ্ট্র তাদের বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক উড়ান ওঠানামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু ভারত এখও সে পথে হাঁটেনি।
বিধি নিষেধের পথে হাঁটতে চাইছে না আমেরিকাও। সে দেশের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সোমবারই বলেছেন, Omicron সতর্কতার কারণ, অকারণ আতঙ্কের নয়। তিনি বলেন, ‘আসন্ন শীতের আমরা কী ভাবে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করব তা নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই তা প্রকাশ করব। আমরা আর লকডাউন, শাট ডাউনের পথে হাঁটব না। তবে হ্যাঁ, ছুটি বাড়ানো হতে পারে। পাশাপাশি জোর দেওয়া হবে করোনা পরীক্ষা এবং বুস্টার ডোজ প্রভৃতির উপর।’ টিকার প্রভাবে যে Omicronের সংক্রমণ খানিকটা কম হতে পারে, সে বিষয়ে আশাবাদী বাইডেন।
এ দিকে কানাডায় আরও দুই ব্যক্তির শরীরে Omicron সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা ওটাওয়া এলাকার বাসিন্দা। এ নিয়ে ওই দেশে মোট পাঁচ জনের শরীরে বাসা বাঁধল Omicron।
বেঙ্গালুরুতে কড়া নজরদারি
উড়ান বন্ধের পরামর্শ
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক উড়ান (international Flights) চালু রাখার সিদ্ধান্তে অনড় ভারত। কিন্তু, সে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করছে রাজ্য সরকারগুলি। প্রথম প্রশ্ন উঠল মহারাষ্ট্রের তরফে। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপি সোমবার বলেন, 'রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা কেন আন্তর্জাতিক উড়ান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করব না? অন্তত যে সব দেশ এই মুহূর্তে থাবা গেড়েছে Omicron, যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ, সে সব দেশের বিমান ওঠানামায় যাতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয় সে বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানাব। রাজ্য মন্ত্রিসভা এমনই দাবি তুলেছে। আগামী কয়েক দিনেই সিদ্ধান্ত নেবে মহারাষ্ট্র সরকার।'
বাইডেনের সতর্কবার্তা
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতির কথা ঘোষণা করা হয়। WHO এই প্রজাতির নামকরণ করেছে Omicron। একই সঙ্গে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আগামী দিনে বিশ্বে ত্রাস হয়ে দেখা দিতে পারে এই নতুন প্রজাতির ভাইরাস। তাই একে নিয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই সারা বিশ্বে শুরু হয়েছে নতুন আতঙ্ক। বেশ কিছু রাষ্ট্র তাদের বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক উড়ান ওঠানামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু ভারত এখও সে পথে হাঁটেনি।
বিধি নিষেধের পথে হাঁটতে চাইছে না আমেরিকাও। সে দেশের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সোমবারই বলেছেন, Omicron সতর্কতার কারণ, অকারণ আতঙ্কের নয়। তিনি বলেন, ‘আসন্ন শীতের আমরা কী ভাবে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করব তা নিয়ে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই তা প্রকাশ করব। আমরা আর লকডাউন, শাট ডাউনের পথে হাঁটব না। তবে হ্যাঁ, ছুটি বাড়ানো হতে পারে। পাশাপাশি জোর দেওয়া হবে করোনা পরীক্ষা এবং বুস্টার ডোজ প্রভৃতির উপর।’ টিকার প্রভাবে যে Omicronের সংক্রমণ খানিকটা কম হতে পারে, সে বিষয়ে আশাবাদী বাইডেন।
এ দিকে কানাডায় আরও দুই ব্যক্তির শরীরে Omicron সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা ওটাওয়া এলাকার বাসিন্দা। এ নিয়ে ওই দেশে মোট পাঁচ জনের শরীরে বাসা বাঁধল Omicron।