এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার নয়া স্ট্রেন নিয়ে ইতিমধ্যেই উৎকণ্ঠা রয়েছে গোটা বিশ্ব। কখন যে Omicron হু হু করে ছড়িয়ে পড়বে, তা নিয়ে আশঙ্কায় প্রহর গুনছে ভারতও। এর মধ্যেই দেশে ২৩ জনের শরীরে হদিশ মিলেছে এই স্ট্রেনের। যা নিয়ে আতঙ্ক চরমে উঠেছে। এর মাঝেই দুঃসংবাদ শোনাল WHO। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথনের (Soumya Swaminathan) দাবি, ডেল্টার থেকে তিনগুণ বেশি সংক্রামক এই Variant। শুধু তাই নয়, তাঁর আশঙ্কারবাণী, ৯০ দিনের মাথায় ফের Omicron-এ আক্রান্ত হতে পারেন করোনাজয়ীরা। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌম্য স্বামীনাথন বলেন, 'নতুন এই প্রজাতির ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তবে এটুকু বলা যাচ্ছে, এই ভ্যারিয়ান্ট ডেল্টার থেকে কয়েকগুণ বেশি সংক্রামক। একবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও থাবা বসাতে পারে এই প্রজাতির ভাইরাস। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ধরা পড়েছে, করোনাজয়ীরা ৯০ দিনের মাথায় ফের এই Omicron-এ আক্রান্ত হতে পারেন। একজন ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীকে তিন সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করার পর এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা সম্ভব হবে।'
অন্যদিকে, শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়ান্ট ক্ষতিকারক হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন সৌম্য স্বামীনাথন। তিনি বলেন, 'দক্ষিণ আফ্রিকাতে ঝড়ের গতিতে Omicron ছড়িয়ে পড়ছে। রিপোর্ট বলছে, এই স্ট্রেনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের সম্ভাবনা শিশুদের। কারণ এই মুহূর্তে শিশুদের কোনও টিকা নেই। ফলে তাঁদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বেশি।' শিশুদের দ্রুত টিকাকরণ শুরু করার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি।
অন্যদিকে, ওমিক্রন প্রসঙ্গে ভাইরোলজিস্ট Marc van Ranst বলেছিলেন, 'ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণে করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে একাধিক উপসর্গ দেখা যেত। এই ভ্যারিয়্যান্ট অত্যন্ত ঘাতক বলে প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে, ওমিক্রণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ঠিকই, কিন্তু, আক্রান্তের দেহে অনেক কম উপসর্গ দেখা যায়। এদিকে ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে ডেল্টার পরিবর্তে ওমিক্রনকে জায়গা করে দেওয়া যেতে পারে। এটি একটি পজিটিভ খবর।'
প্যানডেমিক নিয়ে ভারতের গাণিতিক মডেলের অন্যতম সদস্য কানপুর IIT-র গবেষক মনীন্দ্র আগরওয়াল। তাঁর পরামর্শ, তৃতীয় ঢেউ রুখতে দেশে লকডাউউনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে তাঁর মতে কঠোর লকডাউন নয়, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি এমন জায়গায় অল্পদিনের জন্য লকডাউন করা যেতে পারে। দক্ষ হাতে প্রশাসনের এ বিষয়টি নজর দেওয়া উচিত। তবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে যখন ফের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা শিখর ছোঁবে, তখন ফের নৈশ কার্ফু, জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে ছোট ছোট এলাকায় লকডাউন জারি করা উচিত।
অন্যদিকে, শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভ্যারিয়ান্ট ক্ষতিকারক হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন সৌম্য স্বামীনাথন। তিনি বলেন, 'দক্ষিণ আফ্রিকাতে ঝড়ের গতিতে Omicron ছড়িয়ে পড়ছে। রিপোর্ট বলছে, এই স্ট্রেনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের সম্ভাবনা শিশুদের। কারণ এই মুহূর্তে শিশুদের কোনও টিকা নেই। ফলে তাঁদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বেশি।' শিশুদের দ্রুত টিকাকরণ শুরু করার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি।
অন্যদিকে, ওমিক্রন প্রসঙ্গে ভাইরোলজিস্ট Marc van Ranst বলেছিলেন, 'ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণে করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে একাধিক উপসর্গ দেখা যেত। এই ভ্যারিয়্যান্ট অত্যন্ত ঘাতক বলে প্রমাণিত হয়েছে। অন্যদিকে, ওমিক্রণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ঠিকই, কিন্তু, আক্রান্তের দেহে অনেক কম উপসর্গ দেখা যায়। এদিকে ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে ডেল্টার পরিবর্তে ওমিক্রনকে জায়গা করে দেওয়া যেতে পারে। এটি একটি পজিটিভ খবর।'
প্যানডেমিক নিয়ে ভারতের গাণিতিক মডেলের অন্যতম সদস্য কানপুর IIT-র গবেষক মনীন্দ্র আগরওয়াল। তাঁর পরামর্শ, তৃতীয় ঢেউ রুখতে দেশে লকডাউউনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে তাঁর মতে কঠোর লকডাউন নয়, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি এমন জায়গায় অল্পদিনের জন্য লকডাউন করা যেতে পারে। দক্ষ হাতে প্রশাসনের এ বিষয়টি নজর দেওয়া উচিত। তবে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে যখন ফের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা শিখর ছোঁবে, তখন ফের নৈশ কার্ফু, জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে ছোট ছোট এলাকায় লকডাউন জারি করা উচিত।