অ্যাপশহর

অসমে তেলের ট্যাংকারে আগুন, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা

অসমে ইনার লাইন পারমিট ব্যবস্থা কার্যকরের দাবিতে এ দিনও AJYCP-র নেতৃত্বে রেল অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের ট্রেন যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

EiSamay.Com 14 Dec 2019, 11:48 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে এখনও অগ্নিগর্ভ অসম। শনিবার ডিব্রুগড় এবং গুয়াহাটিতে কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল। যদিও সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে সেনাবাহিনী এবং আধাসেনার টহল অব্যহত। এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে এখনও হিংসার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শনিবার রাত পর্যন্ত সরকারি মতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩। যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটা আরও বেশি। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে শতাধিক ব্য়ক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
EiSamay.Com protest
CAB বিরোধী বিক্ষোভ


শুক্রবার মধ্যরাতে কারফিউ উপেক্ষা করে সোনিতপুর জেলার ধেকিয়াজুলিতে একটি তেলের ট্যাংকারে আগুন ধরিয়ে দেয় মারমুখী বিক্ষোভকারীরা। যার জেরে ট্যাংকারের চালকের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে গুয়াহাটিতে নয়া নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে প্রাণ হারান ২ জন। আর এই তথ্যের ভিত্তিতে মৃতের সংখ্যা তিন বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে।

গত কয়েকদিনের মতো শনিবারও গুয়াহাটির সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দফতর বন্ধ ছিল। ভুয়ো এবং প্ররোচনামূলক প্রচার রুখতে আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অসমজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আসু), অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ (AJYCP) এবং আরও অন্তত ৩০টি সংগঠন ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার জেলাগুলিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে ছাত্র, শিক্ষক, প্রবীণ নাগরিক, শিল্পী-সহ সমাজের সমস্ত অংশের মানুষ।

অসমে ইনার লাইন পারমিট ব্যবস্থা কার্যকরের দাবিতে এ দিনও AJYCP-র নেতৃত্বে রেল অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের ট্রেন যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। উত্তর সীমান্ত রেলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, উজান অসমগামী সমস্ত ট্রেন গুয়াহাটিতে থামিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৫টায় অবরোধ উঠে যাওয়ার পরে ট্রেনগুলি ফের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

আরও পড়ুন: 'বাংলায় দাঙ্গা সৃষ্টির চক্রান্ত চলছে', শান্তি রক্ষার আরজি 'উদ্বিগ্ন' মমতার

যদিও অসম পুলিশের প্রধান ভাষ্কর জ্যোতি মহান্তির দাবি, পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। যে কারণে গুয়াহাটিতে কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল। বিক্ষোভে যোগ দিলেও কোনও হিংসাত্মক কাজে জড়িত নন, এমন ব্যক্তিদের পুলিশ ছেড়ে দিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন রাজ্যের শীর্ষ এই পুলিশকর্তা।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল