অ্যাপশহর

কোহিনূর নিয়ে অবস্থান জানানোর নোটিশ

কোহিনূর দেশে ফেরানোর বিষয়ে কেন্দ্রকে নোটিস জারি করল সুপ্রিম কোর্ট৷ বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর এবং বিচারপতি শিব কীর্তি সিংয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিদেশ মন্ত্রক, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) এবং কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রককে শীর্ষ আদালতে হলফনামা পেশ করে কোহিনূর প্রত্যর্পণ বিষয়ে তাদের মতামত জানাতে হবে৷

EiSamay.Com 12 Nov 2016, 11:21 am
এই সময়, নয়াদিল্লি: কোহিনূর দেশে ফেরানোর বিষয়ে কেন্দ্রকে নোটিস জারি করল সুপ্রিম কোর্ট৷ বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর এবং বিচারপতি শিব কীর্তি সিংয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিদেশ মন্ত্রক, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) এবং কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রককে শীর্ষ আদালতে হলফনামা পেশ করে কোহিনূর প্রত্যর্পণ বিষয়ে তাদের মতামত জানাতে হবে৷ এর আগে, কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হেরিটেজ বেঙ্গলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবারের এই নির্দেশ৷
EiSamay.Com notice to submit current kohenoor status
কোহিনূর নিয়ে অবস্থান জানানোর নোটিশ


এর আগে কোহিনূর হিরে ভারতে ফেরানোর বিষয়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল রঞ্জিত কুমার জানিয়েছিলেন, তত্‍কালীন ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে মহারাজা দলীপ সিং এই কোহিনূর উপহার হিসেবে ব্রিটেনের মহারানি ভিক্টোরিয়ার হাতে তুলে দিয়েছিলেন৷ সলিসিটর জেনারেলের এই বক্তব্যকে খারিজ করার আবেদন নিয়ে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেছিল কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা৷ এই মামলার আবেদনে হেরিটেজ বেঙ্গলের পক্ষে চিফ পেট্রন, আইনজীবী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ১৮৪৬ সালের একটি চুক্তির প্রতিলিপি আদালতে পেশ করেন৷ ওই চুক্তি হয়েছিল মহারাজা দলীপ সিং ও লর্ড ডালহৌসির মধ্যে৷ ১৮৪৬ সালে মহারাজা দলীপ সিং যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে লর্ড ডালহৌসির সঙ্গে ওই চুক্তি করেন, তখন তিনি নাবালক ছিলেন, তাই তার করা চুক্তি বৈধ নয়- শীর্ষ আদালতে এমনটাই দাবি হেরিটেজ বেঙ্গলের৷ কোহিনূর ফেরানোর ব্যাপারে ভারত সরকার সচেষ্ট হোক- সেই দাবিও জানায় সংস্থা৷

বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে সাংসদ আইনজীবী সুখেন্দু শেখর রায় বলেন,‘কেন্দ্র এর আগে দেশবাসীর কাছে বিভ্রান্তিমূলক কথা বলেছিল, কোহিনূর হিরে নাকি উপহার দেওয়া হয়েছে ব্রিটেনের রানি ভিক্টোরিয়াকে৷ এই বক্তব্য একেবারেই ঠিক নয়৷ কোহিনূরের মতো দুষ্প্রাপ্য ঐতিহাসিক জাতীয় সম্পদ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ আমরা আদালতের সামনে পেশ করেছি৷’হেরিটেজ বেঙ্গলের পক্ষে আইনজীবী সৌম্য চক্রবর্তী কোহিনূরকে দেশে ফেরানোর জন্য ভারতের সঙ্গে গ্রেট ব্রিটেনের কূটনৈতিক স্তরের আলোচনার প্রয়োজনীয়তাও উল্লেখ করেন৷

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল