এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: পেগাসাস ইস্যুতে উত্তাল সংসদের বাদল অধিবেশন। বিরোধীদের লাগাতার চাপের মুখে Pegasus Snooping Row-তে সোমবার গুরুত্বপূর্ণ বয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। পেগাসাস সফটওয়্যার নির্মাতা NSO গ্রুপের সঙ্গে কোনও লেনদেনই হয়নি বলে সাফ জবাব কেন্দ্রের। রাজ্যসভায় সিপিআইএম সাংসদ ডঃ ভি সিভাদাসন-এর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রকের তরফে দেওয়া বিবৃতিতেই পেগাসাস ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র।
এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'NSO Group Technologies-এর সঙ্গে কোনও আর্থিক আদানপ্রদান হয়নি।' এর আগে পেগাসাস বিতর্কে এক বিবৃতিতে কেন্দ্র জানিয়েছিল, কোনও বেআইনি নজরদারি চালানো হয়নি। তবে ভারতীয় গণতন্ত্র এবং তার প্রতিষ্ঠানগুলিকে দূষিত করার জন্য, অনুমানের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রের এই জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি বিরোধীরা। তারা দাবি করেন, ভারতের নিরাপত্তাকে হাতিয়ার করে আসলে নাগরিকদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র।
সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার একদিন আগে Guardian ও Washington Post-সহ একাধিক জনপ্রিয় নিউজ ওয়েবসাইটের রিপোর্টে সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দ্য ওয়ার-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ইজরায়েলি স্পাইওয়্যারকে কাজে লাগিয়ে আড়ি পাতা চলছিল দেশের তাবড় তাবড় সাংবাদিক সহ নেতা মন্ত্রীদের ফোনে। নজরদারি চালানোর অভিযোগ ওঠে বহু ব্যবসায়ী, বিচারপতি, সরকারি আধিকারিক, বিজ্ঞানী, সমাজকর্মী সহ প্রায় ৩০০ জন ভারতীয় নাগরিকের ফোনে।
The Wire-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, নজরদারির তালিকায় থাকা বেশ কিছু ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করায় এটা স্পষ্ট যে সেগুলিতে Pegasus spyware সম্ভবত থাবা বসিয়েছিল। তবে টেকনিক্যাল অ্যানালিসিসে এটা স্পষ্ট নয়, ফোন ট্যাপের চেষ্টা হলেও Pegasus spyware নিজের লক্ষ্যপূরণে সফল হয়েছিল কিনা। ৫০ হাজার ফোন নম্বরের একটি লিস্ট প্রকাশ্যে আসে। তাতে বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী, ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ও হেভিওয়েটরা এই পেগাসাসের নজরে ছিলেন বলে দাবি করা হয় রিপোর্টে। অন্যদিকে, পেগাসাস স্পাইওয়্যার নির্মাতা NSO গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানায়, 'যখন কোনও সরকারকে কোনও সিস্টেম বিক্রি করা হয়, তখন সেই সিস্টেম কোম্পানির তরফ থেকে পরিচালনা করা হয় না। একই সঙ্গে গ্রাহকদের ডেটার অ্যাকসেস পায় না NSO।'
এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'NSO Group Technologies-এর সঙ্গে কোনও আর্থিক আদানপ্রদান হয়নি।' এর আগে পেগাসাস বিতর্কে এক বিবৃতিতে কেন্দ্র জানিয়েছিল, কোনও বেআইনি নজরদারি চালানো হয়নি। তবে ভারতীয় গণতন্ত্র এবং তার প্রতিষ্ঠানগুলিকে দূষিত করার জন্য, অনুমানের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। কেন্দ্রের এই জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি বিরোধীরা। তারা দাবি করেন, ভারতের নিরাপত্তাকে হাতিয়ার করে আসলে নাগরিকদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্র।
সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার একদিন আগে Guardian ও Washington Post-সহ একাধিক জনপ্রিয় নিউজ ওয়েবসাইটের রিপোর্টে সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দ্য ওয়ার-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ইজরায়েলি স্পাইওয়্যারকে কাজে লাগিয়ে আড়ি পাতা চলছিল দেশের তাবড় তাবড় সাংবাদিক সহ নেতা মন্ত্রীদের ফোনে। নজরদারি চালানোর অভিযোগ ওঠে বহু ব্যবসায়ী, বিচারপতি, সরকারি আধিকারিক, বিজ্ঞানী, সমাজকর্মী সহ প্রায় ৩০০ জন ভারতীয় নাগরিকের ফোনে।
The Wire-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, নজরদারির তালিকায় থাকা বেশ কিছু ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করায় এটা স্পষ্ট যে সেগুলিতে Pegasus spyware সম্ভবত থাবা বসিয়েছিল। তবে টেকনিক্যাল অ্যানালিসিসে এটা স্পষ্ট নয়, ফোন ট্যাপের চেষ্টা হলেও Pegasus spyware নিজের লক্ষ্যপূরণে সফল হয়েছিল কিনা। ৫০ হাজার ফোন নম্বরের একটি লিস্ট প্রকাশ্যে আসে। তাতে বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী, ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ও হেভিওয়েটরা এই পেগাসাসের নজরে ছিলেন বলে দাবি করা হয় রিপোর্টে। অন্যদিকে, পেগাসাস স্পাইওয়্যার নির্মাতা NSO গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানায়, 'যখন কোনও সরকারকে কোনও সিস্টেম বিক্রি করা হয়, তখন সেই সিস্টেম কোম্পানির তরফ থেকে পরিচালনা করা হয় না। একই সঙ্গে গ্রাহকদের ডেটার অ্যাকসেস পায় না NSO।'