অ্যাপশহর

পোলিও-য় অকেজো পা, অদম্য এই মহিলার জেদেই আলো দেখছে ২০০০ মেয়ে

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে মনের জোরের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, তাই প্রমাণ করলেন কর্নাটকের শিবামোগ্গার বাসিন্দা প্রেমা।

EiSamay.Com 3 Jun 2017, 5:17 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যে মনের জোরের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, তাই প্রমাণ করলেন কর্নাটকের শিবামোগ্গার বাসিন্দা প্রেমা। পোলিওয় তাঁর শরীরের নিচের দিকটি অসাড়, তবু মনের জোরে লড়াই চালিয়ে জীবনে সাফল্যের স্বাদ পেয়েছেন ৬৯ বছরের এই মহিলা।
EiSamay.Com no legs this woman stitches her life to success
পোলিও-য় অকেজো পা, অদম্য এই মহিলার জেদেই আলো দেখছে ২০০০ মেয়ে


মাত্র ১২ বছর বয়সে পোলিওয় আক্রান্ত হন প্রেমা। সেই থেকেই হাঁটাচলার ক্ষমতা সম্পূর্ণ চলে যায় তাঁর। বাবা শ্রীনিবাস ও মা পদ্মাবতীর আট সন্তানের অন্যতম প্রেমা বড় হয়ে ভাই জয়রামের সঙ্গে থাকেন। কিন্তু সামান্য স্টেশনারি দোকান চালানো জয়রামের পক্ষে পুরো পরিবারের ভার টানা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। জয়রামের স্ত্রী-ও অজানা অসুখে মারা যান। এই অবস্থায় কিছু কাজ না করে সারাদিন বসে থাকার জন্য অনেকের কাছেই লান্ছনার শিকার হতে হত প্রেমাকে।



নিজে কিছু করার তাগিদে বোনের থেকে দেখে দেখে সেলাই করা শিখে নেন তিনি। তারপর বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। প্রেমার হাতের জাদুতে শিগগিরই সেলাইকর্মী হিসেবে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে। ২২ বছর বয়সেই তিনি সাফল্যের স্বাদ পান। ঘরের মেঝের কিছুটা অংশ খুঁড়ে সেখানে নিজের জন্য সেলাই মেশিন বসিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র পায়ের যে আঙুলগুলো তাঁর সচল আছে, তা দিয়েই সেলাই মেশিনে ঝড় তোলেন প্রেমা।

নিজের সেলাই-এর কোচিং সেন্টারও খুলে ফেলেছেন তিনি। ২০০০ ছাত্রীকে সেলাই শেখান প্রেমা। কর্নাটকের একটি টিভি রিয়েলিটি শো-এও সম্প্রতি অংশ নিয়েছেন তিনি। সবাইকে শুনিয়েছেন নিজের কাহিনি। প্রতিবন্ধীদের জীবনে তিনি আশা ও অনুপ্রেরণার এক রোল মডেল।


তথ্য সহায়তা: অবিনাশ বি
ছবি ও ভিডিও সৌজন্যে: বানি প্রদীপ


খবরটি ইংরাজিতে পড়ুন।

স্টোরি সৌজন্যে বিজয় কর্নাটক

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল