এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ফাঁসির আগের রাতে খাবার মুখে তোলেনি নির্ভয়ার দুই অপরাধী পবন ও অক্ষয়। মুকেশ ও বিনয় তাদের শেষ নৈশভোজ করেছে। তবে শেষ ইচ্ছের কথা জানায়নি কেউই। রাতে মুকেশ তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে। সূত্রের খবর, তিহাড়ের কর্তব্যরত কর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে পবন ও বিনয়। তাদের সেল থেকে চিত্কারের আওয়াজ শোনা গিয়েছে। এতদিন সংশোধনাগারে শ্রম দেওয়ার জন্য যে পারিশ্রমিক চার অপরাধী পেয়েছে, শুক্রবার ভোরে তাদের ফাঁসির পর তাদের পরিবারের হাতে তা তুলে দেওয়া হয়। ফাঁসি দেওয়ার পর আধ ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখা হয় দেহগুলি। এরপর কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে। মৃতদেহগুলি ডিডিইউ-তে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এ দিকে, ফাঁসির আগেই মাঝরাত থেকে তিহাড়ের বাইরে জড়ো হন বহু মানুষ। ফাঁসি কার্যকর হওয়ার খবর পেতেই আবেগ ঝরে পড়ে সবার মধ্যে। তাদের হাতে ছিল নির্ভয়াকে নিয়ে লেখা পোস্টার। সেগুলিতে লেখা ছিল, 'দেশ তার কন্যাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।'
ফাঁসি আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্তও তা নিয়ে জল্পনা চলে। আইনি সব ফাঁকফোকড় ব্যবহার করে অপরাধীরা। ফাঁসির নির্দিষ্ট সময়ের মাত্র ৪ ঘণ্টা আগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নির্ভয়ার খুনিদের আইনজীবী। তাদের মৃত্যুদণ্ড রদের আরজি রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে নতুন আবেদনটি করা হয়। রাত ২টো ৩০ মিনিটে সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে বলে প্রাথমিকভাবে স্থির হয়। রাত ২টো ২০ মিনিট নাগাদ সর্বোচ্চ আদালত চত্বরে পৌঁছন নির্ভয়ার অভিভাবকরা। যদিও তাঁদের আদালতের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা স্থগিত রাখার আবেদন খারিজ করার পরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত চার জনের মধ্যে তিন জন। শুনানির জন্য সেটি গ্রহণ করে আদালত। সেই অনুসারে রাতে তাদের আবেদনের জরুরি শুনানিতে বলে হাইকোর্ট । সমস্ত বিচার বিবেচনা করে আবেদন খারিজ করে দেয় বিচারপতি মোহনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
আবেদনকারীদের আইনজীবীকে লক্ষ্য করে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, 'এই আবেদনের সঙ্গে কোনও অ্যানেক্সচার নেই। পক্ষদের মেমো নেই। এই আবেদন অন্তঃসারশূন্য। আপনি এটি দাখিলের আগে অনুমতি নিয়েছেন?'
এর জবাবে বিচারপতিকে আইনজীবী এপি জানান, করোনাভাইরাসের কারণে তাঁর পক্ষে নথির ফোটোকপি করা সম্ভব হয়নি। প্রত্যুত্তরে বিচারপতি বলেন, 'আদালত কীভাবে তাহলে খোলা আছে। আপনি আজ তিনটি কোর্টে উপস্থিত ছিলেন। ফলে আপনি একথা কখনই বলতে পারেন না, ফোটোকপি করার মতো সুযোগসুবিধা ছিল না। আপনার বক্তব্য শোনার জন্য রাত ১০টায় আমরা এখানে উপস্থিত আছি।' এর পরেই আবেদন খারিজ করে ফাঁসি বহাল রাখার রায় দেন।
এ দিকে, ফাঁসির আগেই মাঝরাত থেকে তিহাড়ের বাইরে জড়ো হন বহু মানুষ। ফাঁসি কার্যকর হওয়ার খবর পেতেই আবেগ ঝরে পড়ে সবার মধ্যে। তাদের হাতে ছিল নির্ভয়াকে নিয়ে লেখা পোস্টার। সেগুলিতে লেখা ছিল, 'দেশ তার কন্যাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।'
ফাঁসি আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্তও তা নিয়ে জল্পনা চলে। আইনি সব ফাঁকফোকড় ব্যবহার করে অপরাধীরা। ফাঁসির নির্দিষ্ট সময়ের মাত্র ৪ ঘণ্টা আগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নির্ভয়ার খুনিদের আইনজীবী। তাদের মৃত্যুদণ্ড রদের আরজি রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে নতুন আবেদনটি করা হয়। রাত ২টো ৩০ মিনিটে সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে বলে প্রাথমিকভাবে স্থির হয়। রাত ২টো ২০ মিনিট নাগাদ সর্বোচ্চ আদালত চত্বরে পৌঁছন নির্ভয়ার অভিভাবকরা। যদিও তাঁদের আদালতের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা স্থগিত রাখার আবেদন খারিজ করার পরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত চার জনের মধ্যে তিন জন। শুনানির জন্য সেটি গ্রহণ করে আদালত। সেই অনুসারে রাতে তাদের আবেদনের জরুরি শুনানিতে বলে হাইকোর্ট । সমস্ত বিচার বিবেচনা করে আবেদন খারিজ করে দেয় বিচারপতি মোহনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ।
আবেদনকারীদের আইনজীবীকে লক্ষ্য করে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, 'এই আবেদনের সঙ্গে কোনও অ্যানেক্সচার নেই। পক্ষদের মেমো নেই। এই আবেদন অন্তঃসারশূন্য। আপনি এটি দাখিলের আগে অনুমতি নিয়েছেন?'
এর জবাবে বিচারপতিকে আইনজীবী এপি জানান, করোনাভাইরাসের কারণে তাঁর পক্ষে নথির ফোটোকপি করা সম্ভব হয়নি। প্রত্যুত্তরে বিচারপতি বলেন, 'আদালত কীভাবে তাহলে খোলা আছে। আপনি আজ তিনটি কোর্টে উপস্থিত ছিলেন। ফলে আপনি একথা কখনই বলতে পারেন না, ফোটোকপি করার মতো সুযোগসুবিধা ছিল না। আপনার বক্তব্য শোনার জন্য রাত ১০টায় আমরা এখানে উপস্থিত আছি।' এর পরেই আবেদন খারিজ করে ফাঁসি বহাল রাখার রায় দেন।