এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)! তাতে কী! কোভিডের ভয়ে বিয়ের রীতি পালন করা হবে না! তাও আবার হয় নাকি! হয়তো এমন সব কথা ভেবেই নাইট কার্ফু (Night Curfew) ভেঙে বিয়ের রেওয়াজ পালনে মেতেছিলেন বর, কনে। যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন তাদের আত্মীয়, পরিজনেরাও। আর তা করতে গিয়েই ঘটে গেল বিপত্তি। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে হল নবদম্পতিকে। রেহাই পেলে না তাদের সঙ্গে থাকা সাত আত্মীয়ও। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের ভালসাড শহরে। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ঘটনায় ধৃতদের মধ্যে তিনজন শহরের প্রাক্তন কাউন্সিলর। তাঁদের মধ্যে একজন আবার ভালসাড পুরসভার প্রাক্তন সভাপতি! ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেই তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত বর, বধূর নাম পীযূষ প্যাটেল ও সোনাল প্যাটেল। দু'জনেরই বয়স ২৪ বছর। মূলত, নাইট কার্ফু ভাঙার অভিযোগেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। একই অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের আত্মীয়দের বিরুদ্ধেও। যদিও গ্রেফতার করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ধৃতদের সকলকেই ছেড়ে দেয় পুলিশ।
রাত তখন প্রায় সাড়ে বারোটা। রোজকার মতোই রুটিন টহলদারিতে বেরিয়েছিলেন ভালসাদ টাউন পুলিশের ইন্সপেক্টর ভি এইচ জাদেজা ও তাঁর সহকর্মীরা। সেই সময়েই তিনটি গাড়ি আটকান তাঁরা। অভিযোগ, গাড়ি তিনটি নিঝুম রাতে শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তার মধ্যে একটি গাড়িতেই ছিলেন সদ্য বিবাহিত পীযূষ ও সোনাল। পুলিশ তিনটি গাড়িতে সওয়ার সকলকেই পাকড়াও করে স্থানীয় থানায় নিয়ে যায়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ (পুলিশের নির্দেশ অমান্য করা) এবং ২৬৯ ধারায় (দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়া) অভিযোগ দায়ের করা হয়।
নবদম্পতি ছাড়াও এই ঘটনায় আরও যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন, রাজেশ প্যাটেল ওরফে রাজু মার্চা। যিনি আবার ভালসাদ পুরসভার প্রাক্তন সভাপতি এবং এলাকার একজন প্রাক্তন কাউন্সিলর! এছাড়াও ধৃতদের তালিকায় রয়েছেন অমিত প্যাটেল এবং তার স্ত্রী মীরা প্যাটেল। মীরাও ভালসাদ পুরসভার একজন প্রাক্তন কাউন্সিলর! পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছে তাঁর আর এক প্রাক্তন সহকর্মী বিকাশ প্যাটেলকেও। এছাড়া একই কারণে দীক্ষিতা প্যাটেল, ইলাবেন প্যাটেল এবং মনোজ প্যাটেলকেও গ্রেফতার করে পুলিশ ।
এই ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধেই 'অমানবিক আচরণ' করার অভিযোগ তুলেছেন রাজেশ প্যাটেল। মঙ্গলবার বিকেলে এ নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হর্ষ সাংভি এবং সুরাটের IGP রাজকুমার পান্ডিয়ানকে চিঠি লেখেন তিনি। যে পুলিশকর্মীরা তাঁদের গ্রেফতার করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান রাজেশ! তাঁর সাফাই, "একমাস আগেই এই বিয়ের দিনক্ষণ স্থির হয়ে গিয়েছিল। আর নাইট কার্ফুর নির্দেশিকা জারি হয় মাত্র কয়েক দিন আগে। আমরা ওই পুলিশ আধিকারিকদের অনুরোধ করেছিলাম, যাতে অন্তত নবদম্পতিকে বাড়ি যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু, তাঁরা আমাদের অনুরোধ রাখেননি।" সুরাটের IGP রাজকুমার পান্ডিয়ান এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আমরা এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছি। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।"
রাত তখন প্রায় সাড়ে বারোটা। রোজকার মতোই রুটিন টহলদারিতে বেরিয়েছিলেন ভালসাদ টাউন পুলিশের ইন্সপেক্টর ভি এইচ জাদেজা ও তাঁর সহকর্মীরা। সেই সময়েই তিনটি গাড়ি আটকান তাঁরা। অভিযোগ, গাড়ি তিনটি নিঝুম রাতে শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তার মধ্যে একটি গাড়িতেই ছিলেন সদ্য বিবাহিত পীযূষ ও সোনাল। পুলিশ তিনটি গাড়িতে সওয়ার সকলকেই পাকড়াও করে স্থানীয় থানায় নিয়ে যায়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ (পুলিশের নির্দেশ অমান্য করা) এবং ২৬৯ ধারায় (দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়া) অভিযোগ দায়ের করা হয়।
নবদম্পতি ছাড়াও এই ঘটনায় আরও যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন, রাজেশ প্যাটেল ওরফে রাজু মার্চা। যিনি আবার ভালসাদ পুরসভার প্রাক্তন সভাপতি এবং এলাকার একজন প্রাক্তন কাউন্সিলর! এছাড়াও ধৃতদের তালিকায় রয়েছেন অমিত প্যাটেল এবং তার স্ত্রী মীরা প্যাটেল। মীরাও ভালসাদ পুরসভার একজন প্রাক্তন কাউন্সিলর! পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছে তাঁর আর এক প্রাক্তন সহকর্মী বিকাশ প্যাটেলকেও। এছাড়া একই কারণে দীক্ষিতা প্যাটেল, ইলাবেন প্যাটেল এবং মনোজ প্যাটেলকেও গ্রেফতার করে পুলিশ ।
এই ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধেই 'অমানবিক আচরণ' করার অভিযোগ তুলেছেন রাজেশ প্যাটেল। মঙ্গলবার বিকেলে এ নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হর্ষ সাংভি এবং সুরাটের IGP রাজকুমার পান্ডিয়ানকে চিঠি লেখেন তিনি। যে পুলিশকর্মীরা তাঁদের গ্রেফতার করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান রাজেশ! তাঁর সাফাই, "একমাস আগেই এই বিয়ের দিনক্ষণ স্থির হয়ে গিয়েছিল। আর নাইট কার্ফুর নির্দেশিকা জারি হয় মাত্র কয়েক দিন আগে। আমরা ওই পুলিশ আধিকারিকদের অনুরোধ করেছিলাম, যাতে অন্তত নবদম্পতিকে বাড়ি যেতে দেওয়া হয়। কিন্তু, তাঁরা আমাদের অনুরোধ রাখেননি।" সুরাটের IGP রাজকুমার পান্ডিয়ান এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "আমরা এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছি। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।"