অ্যাপশহর

জার্মান স্টেম সেলেই নতুন জীবন ইরাকি মেয়ের

র্তমানে, বিপদের সময় আপনজনের থেকে না দেখা বা না চেনা মানুষের সাহায্যের হাত অনেকটাই প্রসারিত। এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যা সকলকে বিস্মিত করে।

EiSamay.Com 13 Apr 2017, 1:58 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সব সম্পর্কই রক্তের সম্পর্ক হয় না। দরকারের সময় আপনজনদের কাছে পাওয়া, এখন অতীত। বর্তমানে, বিপদের সময় আপনজনের থেকে না দেখা বা না চেনা মানুষের সাহায্যের হাত অনেকটাই প্রসারিত। এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যা সকলকে বিস্মিত করে।
EiSamay.Com new life for iraqi girl with german donors stem cells
জার্মান স্টেম সেলেই নতুন জীবন ইরাকি মেয়ের


কঠিন ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ১৫ বছর বয়সি বানিন মহম্মদ হুমজা। ডাক্তারি ভাষায় আপলাস্টিক অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত এই ইরাকি মেয়ে। ফরিদাবাদের প্রাইভেট হাসপাতালের চিকিত্‍সকরা সিদ্ধান্ত নেন, মেয়েটিকে সুস্থ করতে অস্থিমজ্জা ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাটাই একমাত্র পথ। আন্তর্জাতিক ডেটাবেসে ঘেঁটে পাওয়া যায় এক জার্মান ডোনারকে।

৩ বছর আগে এই রোগের লক্ষণ ধরা পড়ে বানিনের শরীরে। প্রতিদিনই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সুস্থ রাখতে তাঁকে প্রতিদিন প্লেটলেট ও ব্লাড ট্রান্সফিউসন করতে হত। হাসপাতালে তাঁর এই ট্রিটমেন্ট চললেও, ব্লাডের মধ্যে দিয়ে শরীরে অনেক অজানা জীবানু বাসা বাঁধতে পারে, এই আশঙ্কায় তাঁর চিকিত্‍সকরা অস্থিমজ্জা ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার কথা ভাবেন। এটিই ছিল একমাত্র রাস্তা। মেয়েকে সুস্থ করতে ইরাক থেকে ভারতে ছুটে আসেন অভিভাবকরা। এশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিশেষজ্ঞ ড. প্রশান্ত মেহতা জানান, মেয়েটি যখন এখানে আসে, তখন আর কোনও চিকিত্‍সাই কাজে দিত না। সুস্থ হতে গেলে এই ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতেই হত।

একই রকম অস্থিমজ্জা খুঁজে পাওয়া খুব সহজ কাজ ছিল না চিকিত্‍সকদের কাছে। বানিনের পরিবারের মধ্যে এমন কেউ ছিল না যিনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য উপযুক্ত ছিলেন। বিকল্প পথ খুঁজতে, বাইরে থেকে ডোনারের সন্ধান পেতে গিয়েও হোঁচট খেতে হয়েছিল ওই পরিবারকে।

ভারতের স্টেম সেল ডোনারদের রেজিস্টার করা তথ্য ঘেঁটেও পাওয়া যায়নি কোনও ডোনার। পরে বাইরে দেশে সন্ধান করতে গিয়েই পাওয়া যায় জার্মানের এক ডোনারকে। ড. মেহতার কথায়, স্টেম সেলের ডোনার হলেন জার্মানের এক ২৫ বছর বয়সি যুবকের। তাঁর অস্থিমজ্জার সঙ্গে মিল পাওয়ার পরই, তাঁর কাছে 'রিকোয়েস্ট' করা হয়। ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার ঠিক ২ সপ্তাহ আগে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে স্টোর করে ভারতে আনা হয় স্টেম সেল।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল