এই সময়: টিআরপিতে কারচুপি করার ব্যাপারে রিপাবলিক টিভির চিফ এডিটর অর্ণব গোস্বামী কী ভাবে 'ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল' (BARC)-এর প্রাক্তন সিইও-র সঙ্গে আঁতাঁত গড়ে তুলেছিলেন, তা দেখে 'স্তম্ভিত' ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (NBA)। অর্ণব গোস্বামী ও পার্থ দাশগুপ্তের ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রসঙ্গে সোমবার এক বিবৃতি জারি করেছে NBA। তাদের বক্তব্য, 'এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটই বুঝিয়ে দেয় টিভি রেটিংয়ে কারচুপি করার ক্ষেত্রে কী ভাবে দু'পক্ষের মধ্যে অশুভ আঁতাঁত গড়ে উঠেছিল। এটা শুধু রেটিংয়ে কারচুপি নয়, ক্ষমতার খেলাও বটে।' এ রকম একটা চক্রান্তের আঁচ NBA আগেই করেছিল, সে উল্লেখও রয়েছে বিবৃতিতে। সেক্রেটারি জেনারেল অ্যানি জোসেফের কথায়, 'NBA-র সদস্য নয়, এমন ব্রডকাস্টাররা BARC-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে চক্রান্ত করে টিভি-রেটিংয়ে কারচুপি করছে, এই অভিযোগ NBA গত চার বছর ধরে করছে। এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সেই অভিযোগকেই মান্যতা দেয়।' NBA-র দাবি, টিআরপি-কারচুপি মামলা যতদিন না মিটছে, ততদিন রিপাবলিক টিভির সদস্যপদ সাসপেন্ড করুক 'ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং ফাউন্ডেশন' (IBF)। রিপাবলিক টিভির টিআরপি-কারচুপি ব্রডকাস্ট ইন্ডাস্ট্রির ভাবমূর্তি যে ভাবে খারাপ করেছে, তাতে আদালতের রায় না আসা পর্যন্ত এই টিভি চ্যানেলকে BARC-এর রেটিংয়ের বাইরে রাখা হোক।
শুধু তাই নয়, BARC-এর রেটিংয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুরো রেটিং প্রক্রিয়াই বন্ধ রাখার পক্ষে সওয়াল করেছে NBA। অর্ণব ও পার্থের ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে দেখা গিয়েছে, রিপাবলিক টিভিকে টিআরপি তালিকার শীর্ষে রাখার ব্যাপারে পার্থের আশ্বাস চেয়েছেন অর্ণব, বিনিময়ে দিল্লিতে অর্ণবের চেনাজানার সূত্র ধরে 'বিশেষ সুবিধা' পেতে চেয়েছেন BARC-এর প্রাক্তন সিইও। সেই সব প্রসঙ্গেই NBA-র বক্তব্য, 'BARC-এর রেটিংয়ের উপর কোনও নজরদারি হয় না। BARC-এর আধিকারিকদের কয়েকজন ক্ষমতাবলে এই রেটিং বদলে দিতে পারেন। ওভারসাইট কমিটিতে ব্রডকাস্টারদের কোনও প্রতিনিধি নেই, শুধুমাত্র BARC-এর নিযুক্ত কয়েকজন কনসালট্যান্টের এই নজরদারি কমিটি চোখে ধুলো দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। NBA-র দাবি, কারচুপির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ও পুলিশি ব্যবস্থা নিক BARC।'
BARC-এর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও তুলেছে NBA। তাদের দাবি, ২০২০ সালের জুলাই মাসেই টিআরপি-কারচুপির একটা অন্তর্তদন্ত রিপোর্টে BARC-এর হাতে এসেছিল, কিন্তু তারা বিষয়টি নিয়ে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। NBA-র অভিযোগ, গোপনীয়তার যুক্তিতে BARC তাদের কাছে এই তথ্য প্রকাশ করেনি, সেই অসাধু ব্রডকাস্টারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়নি। এ বার অন্তত সেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। মাসের পর মাস ভুল তথ্য প্রকাশ করে শুধু যে ব্রডকাস্টার ইন্ডাস্ট্রির ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে, তাই নয়, নিউজ ব্রডকাস্টারদের বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে, এর জন্য BARC-এর জবাবদিহি চেয়েছে NBA।
এ দিকে, ফাঁস হওয়া এই চ্যাটের ভিত্তিতে অর্ণবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে শিবসেনাও। অর্ণবের সঙ্গে দিল্লির উপরমহলের চেনাজানার যে ইঙ্গিত ফাঁস হওয়া চ্যাটে উঠে এসেছে, তাকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। এর জবাব অবশ্য দিয়েছেন অর্ণব নিজে। তাঁর দাবি, রিপাবলিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানের সরকারও যে সামিল, সেটা এ বার প্রকাশ্যে চলে এল।
শুধু তাই নয়, BARC-এর রেটিংয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুরো রেটিং প্রক্রিয়াই বন্ধ রাখার পক্ষে সওয়াল করেছে NBA। অর্ণব ও পার্থের ফাঁস হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে দেখা গিয়েছে, রিপাবলিক টিভিকে টিআরপি তালিকার শীর্ষে রাখার ব্যাপারে পার্থের আশ্বাস চেয়েছেন অর্ণব, বিনিময়ে দিল্লিতে অর্ণবের চেনাজানার সূত্র ধরে 'বিশেষ সুবিধা' পেতে চেয়েছেন BARC-এর প্রাক্তন সিইও। সেই সব প্রসঙ্গেই NBA-র বক্তব্য, 'BARC-এর রেটিংয়ের উপর কোনও নজরদারি হয় না। BARC-এর আধিকারিকদের কয়েকজন ক্ষমতাবলে এই রেটিং বদলে দিতে পারেন। ওভারসাইট কমিটিতে ব্রডকাস্টারদের কোনও প্রতিনিধি নেই, শুধুমাত্র BARC-এর নিযুক্ত কয়েকজন কনসালট্যান্টের এই নজরদারি কমিটি চোখে ধুলো দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। NBA-র দাবি, কারচুপির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ও পুলিশি ব্যবস্থা নিক BARC।'
BARC-এর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও তুলেছে NBA। তাদের দাবি, ২০২০ সালের জুলাই মাসেই টিআরপি-কারচুপির একটা অন্তর্তদন্ত রিপোর্টে BARC-এর হাতে এসেছিল, কিন্তু তারা বিষয়টি নিয়ে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। NBA-র অভিযোগ, গোপনীয়তার যুক্তিতে BARC তাদের কাছে এই তথ্য প্রকাশ করেনি, সেই অসাধু ব্রডকাস্টারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়নি। এ বার অন্তত সেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। মাসের পর মাস ভুল তথ্য প্রকাশ করে শুধু যে ব্রডকাস্টার ইন্ডাস্ট্রির ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে, তাই নয়, নিউজ ব্রডকাস্টারদের বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিও হয়েছে, এর জন্য BARC-এর জবাবদিহি চেয়েছে NBA।
এ দিকে, ফাঁস হওয়া এই চ্যাটের ভিত্তিতে অর্ণবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে শিবসেনাও। অর্ণবের সঙ্গে দিল্লির উপরমহলের চেনাজানার যে ইঙ্গিত ফাঁস হওয়া চ্যাটে উঠে এসেছে, তাকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও। এর জবাব অবশ্য দিয়েছেন অর্ণব নিজে। তাঁর দাবি, রিপাবলিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানের সরকারও যে সামিল, সেটা এ বার প্রকাশ্যে চলে এল।