এই সময়: বিজেপির সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের কী সম্পর্ক, তা স্পষ্ট করতে স্বাধীন বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলল তৃণমূল। উদয়পুরের হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রিয়াজ আতারি। জম্মুতে আবার লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছেন তালিব হুসেন শাহ। এই দু'জনের সঙ্গে একাধিক বিজেপি নেতার ছবি তুলে ধরে মঙ্গলবার বিচারবিভাগীয় তদন্তের পক্ষে সওয়াল করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তৃণমূল ভবনে শশী বলেন, ''উদয়পুরের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রিয়াজ আতারির সঙ্গে বিজেপি নেতাদের সম্পর্ক সামনে এসেছে। জম্মুতে লস্কর জঙ্গি হিসেবে ধৃত তালিব হুসেন শাহ বিজেপির আইটি সেল এবং সংখ্যালঘু মোর্চার দায়িত্বে ছিলেন। দুই ঘটনায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের সঙ্গে বিজেপির কী সম্পর্ক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য স্বাধীন বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করছে তৃণমূল।'' কুণাল ঘোষ একটি ছবি দেখিয়ে বলেন, ''একটি গ্রুপ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পিছনে এই লস্কর জঙ্গি তালিব হুসেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই ছবি নিয়ে তদন্ত হবে না? এই জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর কোথায়, তার তদন্ত হবে না?''
আতারি এবং তালিবের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে তুলোধনা করেছে কংগ্রেসেও। দলের জাতীয় মুখপাত্র পবন খেড়া বলেন, ''কোন আদর্শ থেকে তালিবের মতো উগ্রবাদীদের বিজেপি দলে নিয়েছে? কংগ্রেসকে ঠেকাতে বিজেপি কি সমস্ত সন্ত্রাসবাদীদের একজোট করছে? বিজেপির ভণ্ড জাতীয়তাবাদ এখন মানুষের সামনে স্পষ্ট হয়ে গেছে।'' অতীতেও মধ্যপ্রদেশে বিজেপি নেতা ধ্রুব সাক্সেনা, অসমের বিজেপি নেতা নিরঞ্জন হোজাই, রাজস্থানের নেতা তারিক আহমেদ মিরের সঙ্গে ভারত-বিরোধী শক্তির যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছিল বলে কংগ্রেস অভিযোগ করেছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, দেশের বেহাল আর্থিক অবস্থা থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতেই বিজেপি কৌশলে ধর্মীয় মেরুকরণ তৈরি করতে চাইছে। ধর্মীয় প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। রিয়াজ ও তালিবের উদাহরণ দিয়ে কুণালের অভিযোগ, ''নিজেরাই নিজেদের লোক দিয়ে খুন করিয়েছে।' এই অভিযোগের মুখে এদিন রাজ্য বিজেপি কিন্তু জোরদার কোনও জবাব দিতে পারেনি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য শুধু বলেছেন যে, 'তদন্ত হবে। তবে এই নিয়ে যা বলার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলবেন।'' রাজস্থানের বিজেপি নেতা সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা সাদিক খানের অবশ্য দাবি, ''কোনও অভিযুক্তের সঙ্গেই আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।''
পাশাপাশি তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে, নূপুর শর্মাকে এখনও কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি। শশী পাঁজার কথায়, ''নূপুর শর্মা বিদ্বেষমূলক কথা বলে প্ররোচনা ছড়িয়েছেন। তার পর উদয়পুরে যে আতারি খুন করলেন, তিনিও বিজেপি কার্যকর্তা। একটা বিষয় স্পষ্ট যে জঙ্গিদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এখনও নূপুর শর্মাকে কেন গ্রেপ্তার করা হল না? কে তাঁকে সুরক্ষা দিচ্ছে?'' বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন ফের দাবি করেছেন যে সিএএ বহাল হবে। কুণালের পাল্টা কটাক্ষ, ''রান্নাঘরে আগুন, বাজারে জিনিসের দাম আগুন, বেহাল অর্থনীতি। এই জায়গায় জাতপাত-ধর্মের দিকে মানুষের মনকে ঠেলে দিতে সিএএ-এনআরসি-র কথা বলা হচ্ছে।''
আতারি এবং তালিবের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে তুলোধনা করেছে কংগ্রেসেও। দলের জাতীয় মুখপাত্র পবন খেড়া বলেন, ''কোন আদর্শ থেকে তালিবের মতো উগ্রবাদীদের বিজেপি দলে নিয়েছে? কংগ্রেসকে ঠেকাতে বিজেপি কি সমস্ত সন্ত্রাসবাদীদের একজোট করছে? বিজেপির ভণ্ড জাতীয়তাবাদ এখন মানুষের সামনে স্পষ্ট হয়ে গেছে।'' অতীতেও মধ্যপ্রদেশে বিজেপি নেতা ধ্রুব সাক্সেনা, অসমের বিজেপি নেতা নিরঞ্জন হোজাই, রাজস্থানের নেতা তারিক আহমেদ মিরের সঙ্গে ভারত-বিরোধী শক্তির যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছিল বলে কংগ্রেস অভিযোগ করেছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, দেশের বেহাল আর্থিক অবস্থা থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতেই বিজেপি কৌশলে ধর্মীয় মেরুকরণ তৈরি করতে চাইছে। ধর্মীয় প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। রিয়াজ ও তালিবের উদাহরণ দিয়ে কুণালের অভিযোগ, ''নিজেরাই নিজেদের লোক দিয়ে খুন করিয়েছে।' এই অভিযোগের মুখে এদিন রাজ্য বিজেপি কিন্তু জোরদার কোনও জবাব দিতে পারেনি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য শুধু বলেছেন যে, 'তদন্ত হবে। তবে এই নিয়ে যা বলার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলবেন।'' রাজস্থানের বিজেপি নেতা সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা সাদিক খানের অবশ্য দাবি, ''কোনও অভিযুক্তের সঙ্গেই আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।''
পাশাপাশি তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে, নূপুর শর্মাকে এখনও কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি। শশী পাঁজার কথায়, ''নূপুর শর্মা বিদ্বেষমূলক কথা বলে প্ররোচনা ছড়িয়েছেন। তার পর উদয়পুরে যে আতারি খুন করলেন, তিনিও বিজেপি কার্যকর্তা। একটা বিষয় স্পষ্ট যে জঙ্গিদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এখনও নূপুর শর্মাকে কেন গ্রেপ্তার করা হল না? কে তাঁকে সুরক্ষা দিচ্ছে?'' বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন ফের দাবি করেছেন যে সিএএ বহাল হবে। কুণালের পাল্টা কটাক্ষ, ''রান্নাঘরে আগুন, বাজারে জিনিসের দাম আগুন, বেহাল অর্থনীতি। এই জায়গায় জাতপাত-ধর্মের দিকে মানুষের মনকে ঠেলে দিতে সিএএ-এনআরসি-র কথা বলা হচ্ছে।''