অ্যাপশহর

বেনেটে বিশ্বসুন্দরী, 'স্বপ্ন দেখা ছেড়ো না'

টাইমস গ্রুপ-এর উদ্যোগে নির্মিত বেনেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আমন্ত্রিত হলেন মিস ওয়ার্ল্ড মানুষী ছিল্লার।

EiSamay.Com 18 Jan 2018, 9:01 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেন বিশ্বসুন্দরী। বৃহস্পতিবার টাইমস গ্রুপ-এর উদ্যোগে নির্মিত বেনেট ইউনিভার্সিটির গ্রেটার নয়ডা ক্যাম্পাসে আমন্ত্রিত হলেন মিস ওয়ার্ল্ড মানুষী ছিল্লার। এদিন পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরের আসরে যথেষ্ট সাবলীল ছিলেন তিনি।
EiSamay.Com miss world 2017 manushi chhillar visits bennett university
বেনেটে বিশ্বসুন্দরী, 'স্বপ্ন দেখা ছেড়ো না'


ঐশ্বর্যা রাইয়ের পরে ১৭ বছরের খরা। ফের বিশ্বসুন্দরীর মুকুট জয় করে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন মানুষী। নিজে মেডিক্যাল ছাত্রী হওয়ার সুবাদে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দিলকোলা আড্ডা দিতে তাঁকে মোটেই বেগ পেতে হল না। ইন্টারঅ্যাক্টিভ সেশনে এসে সাফল্যের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপ্‌সও দিলেন বিশ্বসুন্দরী।

স্বপ্ন দেখা ছেড়ো না: জীবনের অভীষ্ট সম্পর্কে হাল না ছাড়ার পরামর্শ দিলেন মানুষী। জানালেন, নিজের লক্ষ্যে অটল থাকা আবশ্যিক। তাঁর পরামর্শ, স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার জন্য অটুট ধৈর্য ধরে রাখাও জরুরি।

তুমি তোমার মতো: মিস ওয়ার্ল্ড হতে চাইলে কী প্রস্তুতি দরকার? প্রশ্নের জবাবে মানুষী জানালেন, 'তুমি তোমার মতো। নিজের সত্ত্বা বিসর্জন দিও না।'

জীবন অনিত্য আর তাই এত সুন্দর: তিনি কি সব সময় জানতেন যে তিনি কী হতে চান? প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বসুন্দরী জানান, 'লক্ষ্যে পৌঁছনোর যাত্রা উপভোগ করাই লবচেয়ে বেশি আনন্দের। জীবন অনিত্য, আর সেই কারণেই তা এত সুন্দর। কী হবে ভেবে উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং নিজের কাজ ও প্রচেষ্টায় মগ্ন থাকাই সুখী জীবনের চাবিকাঠি।'

মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় যাব জানতাম: তিনি ষষ্ঠ ভারতীয় যিনি বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জয় করেছেন। মানুষীর দাবি, 'বহু দিন আগে থেকেই স্থির বিশ্বাস ছিল যে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাব। এই কারণে বিশেষ কোনও পরিকল্পনা করতে হয়নি। ছোটবেলায় দেবদাস সিনেমা দেখেছিলাম মনে পড়ে। ঐশ্বর্যা রাইয়ের ভক্ত আমার মা তখনই বলেছিলেন, মানু তোকে আমি ওই জায়গায় দেখতে পাচ্ছি।'

চাই শুধু সুস্থ প্রতিযোগিতা: ১১৭ জনকে পিছনে ফেলে তিনি বিশ্বজয়ী হয়েছেন। কিন্তু মরণপণ লড়াই তাঁর না-পসন্দ। তাঁর অভিজ্ঞতায়, 'যখন ভিনদেশে গিয়ে একই পথের পথিক একদল বিদেশীর সঙ্গে পরিচয় হয়, তখন পরস্পরকে সাহায্য করা আর নোট্‌স আদানপ্রদান করাই স্বাভাবিক। সকলের স্বপ্ন যখন অভিন্ন, তখন যুদ্ধ নয়, শেষ পর্যন্ত এক বিশাল পরিবারের সদস্য হয়ে যায় সবাই।'

এদিনের প্রশ্নোত্তর পর্ব সঞ্চালনা করেন রেডিয়ো মির্চি-র জনপ্রিয় কণ্ঠ আরজে সায়েমা। আড্ডার শেষে হালকা মেজাজে পড়ুয়াদের সঙ্গে ব্যাডমিন্টন ও বাস্কেটবল খেলায় মাতেন মানুষী।

খবরটি ইংরেজিতে পড়ুন

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল