অ্যাপশহর

ফের যোগীরাজ্যে নাবালিকাকে ধর্ষণ, গুলির লড়াইয়ের পর গ্রেফতার অভিযুক্ত

বিগত কয়েক মাসে উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। করোনা লকডাউনের মধ্যে বহুবার যৌন হয়রানির ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযুক্তকে চিহ্ণিত করতে বেশ বেগ পেতে হয়। কারণ নাবালিকার উপর যৌন অত্যাচার চালাবার সময় সে মুখে মাস্ক পরেছিল। ফলে ঘটনায় জড়িত দোষীকে খুঁজে বের করা কঠিন ছিল।

EiSamay.Com 27 Aug 2020, 3:18 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: বার বার ধর্ষণের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটে চলেচে উত্তরপ্রদেশে। ১২ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অপরাধে এক ব্যক্তিকে আটক করতে গুলির লড়াই চালাতে হল পুলিশকে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে ধরতে গুলির সংঘর্ষ করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
EiSamay.Com rape
ছবিটি প্রতীকী


মঙ্গলবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার ইকোটেক ৩ পুলিশ স্টেশন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এফআইআর করার পরই অভিযুক্তকে চিহ্ণিত করে পুলিশ বুধবার অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ।

ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ বৃন্দা শুক্লা জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে চিহ্ণিত করতে বেশ বেগ পেতে হয়। কারণ নাবালিকার উপর যৌন অত্যাচার চালাবার সময় সে মুখে মাস্ক পরেছিল। ফলে ঘটনায় জড়িত দোষীকে খুঁজে বের করা কঠিন ছিল। অন্যদিকে নির্যাতিতাও ওই ব্যক্তিকে প্রথমবার দেখেছিল। ফলে দোষীকে খুঁজে বের করতে পরিস্থিতি বেশ কঠিন হয়ে যায়।পুলিশের একটি দল তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে চিহ্ণিত করে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, অপরাধীর এলাকায় পুলিশের দল পৌঁছাতেই সে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশকে বাধা দিতে সে শূণ্যে গুলিও ছোড়ে। গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে যাওয়ার মতলব থাকলেও পুলিশের হাত থেকে রেহাই পায়নি সে। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশের ওই দলটিও। পরে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ।

অফিসারের কথায়, তিনি নাবালিকার সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর বাবা-মা দিন মজুরের কাজ করেন। সে আপাতত স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। তবে হাসপাতালে বেশ কিছুদিন চিকিত্‍সাধীন থাকতে হবে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: এ বার যোগীর গোরক্ষপুরেই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত স্কুলের ম্যানেজার


বিগত কয়েক মাসে উত্তরপ্রদেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। করোনা লকডাউনের মধ্যে বহুবার যৌন হয়রানির ঘটনা সামনে এসেছে। গতকাল, গোরক্ষপুরে যৌন লালসার শিকার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। অভিযোগ, স্কুলের ম্যানেজার ওই নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করার সময় তা ভিডিয়ো রেকর্ড করে রাখে। ছাত্রীর মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিয়োর ভয় দেখানো হয়। স্কুলের ম্যানেজার হুমকি দেন, কারও কাছে ঘটনার কথা বললে, ধর্ষণের ভিডিয়ো তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেবেন। বিগত ১০ দিনের মধ্যে গোরক্ষপুরের গোলা থানার আওতায় এটি দ্বিতীয় ঘটনা।

(The victim's identity has not been revealed to protect her privacy as per Supreme Court directives on cases related to sexual assault)

(নিগৃহীতার পরিচয় গোপন রাখা হল মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুযায়ী)


এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন-

পরের খবর