অ্যাপশহর

সাত জন্ম একসঙ্গে চলার শপথ, বিয়ের ৮ মাস পর একই চিতায় ভস্ম স্বামী-স্ত্রী

জীবনের সমস্ত চড়াই উতরাইতে একসঙ্গে চলার শপথ ভাঙল না মৃত্যুতেও.... চিতার আগুনও বাধা হল না দুজনের মাঝে.... তবে এমন পরিণতি তো কেউই চায়নি... কেউই চায় না... তাহলে কী এমন ঘটল...

EiSamay.Com 18 Feb 2021, 9:01 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সুখে-দুঃখে, রোগে-তাপে একসঙ্গে চলার শপথ নিয়েছিলেন। জন্ম-জন্মান্তরের সেই বন্ধন ছিন্ন হল না মৃত্যুর কাছেও। চিতার আগুনেও একে অপরের সঙ্গ ছাড়লেন না আট মাসের সদ্য বিবাহিত দম্পতি। যে আগুনকে সাক্ষী রেখে শুরু হয়েছিল নতুন পথ চলা, বছর ঘোরার আগে সেই আগুনের কোলেই সব শেষ। হতভাগ্য পরিবার কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সদ্য বিবাহিত পানিখা দম্পতির এমন পরিণতি।
EiSamay.Com Seven-Vows-and-Sacred-Fire
চিতার আগুনেও একে অপরের সঙ্গ ছাড়লেন না (Representative Image)


মধ্যপ্রদেশের সিধিতে দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসের যাত্রী ছিলেন অজয় পানিখা ও তাঁর স্ত্রী তপস্যা। বিয়ের পর ভবিষ্যতের রঙিন স্বপ্ন সদ্যই সাজাতে শুরু করেছিলেন, সেইসবে দাঁড়ি টানল ১৬ ফেব্রুয়ারির দুর্ঘটনা (Sindhi Bus Accident)। পেশায় শিক্ষক বছর ছাব্বিশের অজয় পানিখার সঙ্গে ২০২০-র ২৮ জুন বিয়ে হয় কলেজ পড়ুয়া ২১-এর তপস্যার। বিয়ের পর জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীও একই পেশায় আসতে চান। তপস্যাকে শিক্ষিকার চাকরি পেতে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন অজয়। শিক্ষক পদে চাকরির পরীক্ষার জন্য তৈরি হতে কিছু বইপত্র দরকার ছিল। সেইসব আনতেই বসন্ত পঞ্চমীর সকালে অভিশপ্ত বাসে সিধি থেকে সাতনা যাচ্ছিলেন ওই দম্পতি। মাঝরাস্তাতেই বিপত্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায় বাস (MP Bus Accident)। বাসের বাকি ৪৩ জন যাত্রীর মতোই জলে ডুবে মৃত্যু হয় অজয়-তপস্যার।

দেওরি গ্রামের ভুইমাদের বাসিন্দা এই দম্পতির অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন পরিজনেরা। হাহাকার কান্নায় শোকে বিহ্বল গোটা গ্রাম। মৃত্যুও যাদের আলাদা করতে পারেনি, তাদের একসঙ্গে অন্তিম বিদায়ের সিদ্ধান্ত নেন গ্রামবাসীরাই। একই চিতায় একসঙ্গেই দাহ করা হয় পানিখা দম্পতিকে।

প্রেমের জোয়ারে ভেসে একের পর এক খুন! স্বাধীন ভারতে ফাঁসিকাঠে প্রথম কোনও মহিলা

১৬ তারিখের ওই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ বহু। ঘটনার দিন বাসটিতে ৬০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চোখের পলকে বাসটি খালের জলে গিয়ে পড়ে। নিমেষের মধ্যে ডুবতে শুরু করে বাসটি। যাত্রীদের চিৎকারে সকলেই ছুটে আসেন, তবে উদ্ধারকাজ শুরু হতে প্রায় দু'ঘণ্টা সময় লেগে যায়। জীবিত অবস্থায় সাতজনকে উদ্ধার সম্ভব হয়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিহতদের পরিবার পিছু দু’লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতার ঘোষণাও করা হয়েছে।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল