অ্যাপশহর

বিদায় নিল ভালোবাসার মানুষটা, মৃত্যুর ৭ দিন পরেও স্ত্রীকে আঁকড়ে নিঃসঙ্গ স্বামী!

উদ্ধারের সময় দেহ আগলে বসেছিলেন স্বামী। এক স্বামী তাঁর স্ত্রীয়ের প্রতি গভীর প্রেমে টানা সাত দিন ধরে আঁকড়ে থেকেছেন নিজের জীবনসঙ্গিনীর মৃতদেহ। ভালোবাসা মানেই তো একরাশ পাগলামি আর অনেকটা আবেগ।

EiSamay.Com 28 Aug 2020, 6:09 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: এই মৃত্যু অপ্রত্যাশিত ছিল না ৮০ বছরের বৃদ্ধের কাছে। কিন্তু স্ত্রী যখন সত্যিই চলে গেলেন তাঁকে ছেড়ে, তখন তাঁর উপলব্ধি হল, এত সহজ নয় ভালোবাসার পাত্রীকে চিরতরে ছেড়ে দেওয়া। ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ যে কত বিচিত্র উপায়ে হতে পারে! কখনও কখনও গভীর ভালোবাসার আশ্চর্য প্রকাশ দেখে মানুষ বিস্মিত, শিহরিত হয়ে ওঠে। সম্প্রতি তেমনটাই হয়েছে চেন্নাইয়ে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার সূত্রে। এক স্বামী তাঁর স্ত্রীয়ের প্রতি গভীর প্রেমে টানা সাত দিন ধরে আঁকড়ে থেকেছেন নিজের জীবনসঙ্গিনীর মৃতদেহ।
EiSamay.Com Representative image
প্রতীকী ছবি


আরও পড়ুন: সুশান্ত: ভাইকে ১৪ ঘণ্টা জেরা, এবার রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু CBI-এর

ভালোবাসায় পরিপূর্ণ ছিল এ এন পন্নুমণি এবং কমলার দাম্পত্যজীবন। কিন্তু কয়েকদিন আগে বার্ধক্য জনিত কারণে মৃত্যু হয় স্ত্রী কমলার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০। শুরু হল বৃদ্ধর এক অন্য লড়াই। বিশ্বাস, পরামর্শ— সব কিছু উপেক্ষা করে তিনি আঁকড়ে ধরে রইলেন স্ত্রীয়ের মৃতদেহ। প্রতিবেশীরা বেশ কিছুদিন ধরে বাড়ির পাশের বয়স্ক মানুষদের দেখতে পেতেন না। শেষে তাঁদের ঘর থেকে পচা গন্ধ বেরোতে থাকায় সন্দেহ হয় তাঁদের। তাঁরা খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখেন,অচৈতন্য অবস্থায় স্ত্রীর পচা-গলা দেহ আঁকড়ে ধরে রেখেছেন পন্নুমণি। পুলিশ যখন তাঁদের উদ্ধার করতে আসে, তখনও বৃদ্ধর শরীরে প্রাণ ছিল। তাঁকে উদ্ধার করে সরকারি এক হাসাপাতালে ভরতি করা হয়। এর পর থেকে বৃদ্ধর কোনও শারীরীক উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অভুক্ত অবস্থায় ছিলেন ওই বৃদ্ধ। শেষে বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বৃদ্ধ দম্পত্তির কোনও সন্তান ছিল না। চেন্নাইয়ের কর্পোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন তিনি। শেষ বয়সে পেনশনের টাকাতেই সংসার চলত তাঁদের। এই ঘটনাকে যেন কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের কঙ্কাল কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বলে কেউ না ভাবেন। কলকাতার পার্থ দে-কাণ্ডের মতো কোনও রকম গুপ্ত সাধনার কোনও স্থান ছিল না এই ঘটনায়। কোনও মানসিক অসুস্থতার লক্ষণও ছিল না বৃদ্ধের মধ্যে। ভালোবাসা মানেই তো একরাশ পাগলামি আর অনেকটা আবেগ।


এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন

পরের খবর