মুম্বই: মারাঠা মুলুকে এখন জারি জবরদস্ত পাটিগণিত! মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শিবির নিজেদের 'আসল' শিবসেনা প্রমাণ করার জন্য দু'ধাপে ১৬ জন বিধায়ককে ডিসকোয়ালিফাই করার আবেদন জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের ডেপুটি স্পিকারের কাছে। তাঁদের যদি ডিসকোয়ালিফাই করা হয়, তা হলে কিন্তু বাকিরা অ্যান্টি ডিফেকশন ল বা দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় পড়ে যাবেন। সে ক্ষেত্রে মহাবিকাশ আগাড়ি সরকার টিকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই ডিসকোয়ালিফিকেশন বৈধ কি না, তা জানতে সে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন উদ্ধব। এদিন সকালে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের আবার হুঁশিয়ারি, ''সাহস থাকে তো ফিরে আসুন ওঁরা (বিদ্রোহীরা)। তার পর দেখা যাবে!''
বিশেষজ্ঞদের একাংশের ব্যাখ্যা, দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত হননি, এমন অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়ক সমর্থন দিলে পরিষদীয় দলে ভাঙনের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ধাপে ধাপে যদি বিধায়কদের দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযুক্ত করা হয়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু বিদ্রোহী শিবিরের হিসেব কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ, তখন সহজেই প্রমাণ হয়ে যাবে, তাঁরা অ্যান্টি ডিফেকশন ল-তে অভিযুক্ত, কাজেই দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়কের সমর্থন বিদ্রোহীদের শিবিরে নেই।
উলটো দিকে, বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডেও পাল্টা অঙ্ক কষে বলছেন, ''ডিসকোয়ালিফিকেশন চেয়ে উদ্ধবের আবেদনই অবৈধ। তিনি এটা করতেই পারেন না।'' তাঁর দাবি, শিবসেনার ৪২ জন-সহ তাঁর শিবিরে এখন মোট ৫০ জন বিধায়ক রয়েছেন, তা আরও বাড়বে। ফলে অ্যান্টি ডিফেকশন ল-তে তাঁরা পড়বেন না। উদ্ধব যা-ই বলুন, তাঁর কিছু করার ক্ষমতা নেই।
নিঃশব্দে অঙ্ক কষছে বিজেপিও। এদিন পীযূষ গোয়েল বলেছেন, ''এই জোটই তো 'অপবিত্র' (আনহোলি অ্যালায়েন্স), তা তো ভাঙবেই।'' অর্থাৎ, ঝোপ বুঝে কোপ মারতে তৈরি রয়েছে তারাও। যদিও সামনে তারা বলছে, শিবসেনার এই অন্দরের যুদ্ধে তাদের কোনও হাত নেই। শিন্ডে আবার এদিন নিজের করা আগের মন্তব্য থেকে সরে এসে বলেছেন, কোনও বড় জাতীয় দলের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তাঁর। তাঁর দাবি, ''আমি বড় শক্তি বলতে বালাসাহেব ঠাকরে এবং আনন্দ দিঘের (প্রয়াত শিবসেনা নেতা) শক্তিকেই বুঝিয়েছি।'' তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মোটামুটি নিশ্চিত, বিজেপি তাঁকে সমর্থন দিচ্ছে, এ কথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন তিনি। এখন পরিস্থিতি জটিল দেখে পিছিয়ে আসছেন। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে সহ্যাদ্রির কোলের এই রাজ্যে খেলা জমে উঠেছে!
এরই মধ্যে রটে যায়, শিন্ডেরা শুক্রবার রাতেই মুম্বই ফিরে অনাস্থা ভোটের জন্য আবেদন জানাবেন। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁরা গুয়াহাটিতে আছেন বলেই সূত্রের খবর। তবে মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রে পুলিশ চূড়ান্ত সতর্ক। কারণ, মুম্বই-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসতে শুরু করেছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে 'মাতোশ্রী'র সামনেও বড় জমায়েত হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, সে জন্য হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এ দিন বিকেলে উদ্ধব দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে যে বার্তা দেন, তার পরেই ভিড় হতে শুরু করে। তিনি বলেন, ''আমি বর্ষা (মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) ছেড়েছি, তা বলে লড়াই ছেড়ে পালিয়ে যাইনি। লড়াই হবে, সঙ্কল্প নিচ্ছি, লড়াই করব। শরদ পাওয়ার ও সনিয়া গান্ধী আমাদের সমর্থন করছেন। কিন্তু আমাদের নিজেদের লোকেরাই আমাদের পিঠে ছুরি মেরেছে। যাঁরা আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁদের কথা ভাবব কেন? তাঁরা পোকামাকড়, ফাঁপা গর্তে আশ্রয় খুঁজছেন!'' আদিত্য ঠাকরেও বলেন, ''বিশ্বাসঘাতকদের বিরুদ্ধে লড়াই করবই।'' আজ, শনিবার বেলা একটায় শিবসেনার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে। তাতে পরবর্তী গেমপ্ল্যান স্থির করা হবে। এদিন এনসিপি-র সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়েছে উদ্ধবের।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের ব্যাখ্যা, দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত হননি, এমন অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়ক সমর্থন দিলে পরিষদীয় দলে ভাঙনের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ধাপে ধাপে যদি বিধায়কদের দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযুক্ত করা হয়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু বিদ্রোহী শিবিরের হিসেব কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ, তখন সহজেই প্রমাণ হয়ে যাবে, তাঁরা অ্যান্টি ডিফেকশন ল-তে অভিযুক্ত, কাজেই দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়কের সমর্থন বিদ্রোহীদের শিবিরে নেই।
উলটো দিকে, বিদ্রোহী একনাথ শিন্ডেও পাল্টা অঙ্ক কষে বলছেন, ''ডিসকোয়ালিফিকেশন চেয়ে উদ্ধবের আবেদনই অবৈধ। তিনি এটা করতেই পারেন না।'' তাঁর দাবি, শিবসেনার ৪২ জন-সহ তাঁর শিবিরে এখন মোট ৫০ জন বিধায়ক রয়েছেন, তা আরও বাড়বে। ফলে অ্যান্টি ডিফেকশন ল-তে তাঁরা পড়বেন না। উদ্ধব যা-ই বলুন, তাঁর কিছু করার ক্ষমতা নেই।
নিঃশব্দে অঙ্ক কষছে বিজেপিও। এদিন পীযূষ গোয়েল বলেছেন, ''এই জোটই তো 'অপবিত্র' (আনহোলি অ্যালায়েন্স), তা তো ভাঙবেই।'' অর্থাৎ, ঝোপ বুঝে কোপ মারতে তৈরি রয়েছে তারাও। যদিও সামনে তারা বলছে, শিবসেনার এই অন্দরের যুদ্ধে তাদের কোনও হাত নেই। শিন্ডে আবার এদিন নিজের করা আগের মন্তব্য থেকে সরে এসে বলেছেন, কোনও বড় জাতীয় দলের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তাঁর। তাঁর দাবি, ''আমি বড় শক্তি বলতে বালাসাহেব ঠাকরে এবং আনন্দ দিঘের (প্রয়াত শিবসেনা নেতা) শক্তিকেই বুঝিয়েছি।'' তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মোটামুটি নিশ্চিত, বিজেপি তাঁকে সমর্থন দিচ্ছে, এ কথাই বোঝাতে চেয়েছিলেন তিনি। এখন পরিস্থিতি জটিল দেখে পিছিয়ে আসছেন। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে সহ্যাদ্রির কোলের এই রাজ্যে খেলা জমে উঠেছে!
এরই মধ্যে রটে যায়, শিন্ডেরা শুক্রবার রাতেই মুম্বই ফিরে অনাস্থা ভোটের জন্য আবেদন জানাবেন। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁরা গুয়াহাটিতে আছেন বলেই সূত্রের খবর। তবে মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রে পুলিশ চূড়ান্ত সতর্ক। কারণ, মুম্বই-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসতে শুরু করেছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে 'মাতোশ্রী'র সামনেও বড় জমায়েত হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, সে জন্য হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এ দিন বিকেলে উদ্ধব দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে যে বার্তা দেন, তার পরেই ভিড় হতে শুরু করে। তিনি বলেন, ''আমি বর্ষা (মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) ছেড়েছি, তা বলে লড়াই ছেড়ে পালিয়ে যাইনি। লড়াই হবে, সঙ্কল্প নিচ্ছি, লড়াই করব। শরদ পাওয়ার ও সনিয়া গান্ধী আমাদের সমর্থন করছেন। কিন্তু আমাদের নিজেদের লোকেরাই আমাদের পিঠে ছুরি মেরেছে। যাঁরা আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁদের কথা ভাবব কেন? তাঁরা পোকামাকড়, ফাঁপা গর্তে আশ্রয় খুঁজছেন!'' আদিত্য ঠাকরেও বলেন, ''বিশ্বাসঘাতকদের বিরুদ্ধে লড়াই করবই।'' আজ, শনিবার বেলা একটায় শিবসেনার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে। তাতে পরবর্তী গেমপ্ল্যান স্থির করা হবে। এদিন এনসিপি-র সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়েছে উদ্ধবের।