অ্যাপশহর

আর বিদেশ নয়, এবার ভারতেই বৈধ হচ্ছে গাঁজা চাষ!

গাঁজার একটি প্রজাতি হল হেম্প। রাজ্যে এই হেম্প চাষের ছাড়পত্র দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমল নাথ সরকার। ক্যানসার-সহ চিকিৎসার কাজে এটি ব্যবহার করা হবে। এমনই জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের আইনমন্ত্রী।

EiSamay.Com 21 Nov 2019, 8:56 pm

হাইলাইটস

  • গাঁজা চাষ বৈধ হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশে।
  • চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্বার্থে গাঁজা চাষে আইনগত ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে রাজ্যের সরকার।
  • তবে সেবন বা বাণিজ্যিক কাজে গাঁজা চাষ করা যাবে না।

EiSamay.Com cannabis
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের রাজ্য হিসেবে গাঁজা চাষ বৈধ হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্বার্থে গাঁজা চাষে আইনগত ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। বুধবার ভোপালে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এমনই জানিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী পিসি শর্মা।
গাঁজার একটি প্রজাতি হল হেম্প। রাজ্যে এই হেম্প চাষের ছাড়পত্র দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমল নাথ সরকার। ক্যানসার-সহ চিকিৎসার কাজে এটি ব্যবহার করা হবে। এমনই জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের আইনমন্ত্রী। তবে সেবন বা বাণিজ্যিক কাজে গাঁজা চাষ করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে আগের মতোই বিধিনিষেধ জারি থাকবে।

আরও পড়ুন: গাঁজায় সিদ্ধিলাভ ক্যান্সার চিকিত্সায়, গবেষণায় বিতর্ক

আইনমন্ত্রী পিসি শর্মা বলেছেন, 'উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে ইতোমধ্যের হেম্পের চাষ শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে হেম্প চাষ শুরু হলে নতুন নতুন শিল্প আসবে। তবে কোনও ভাবে সেবনের জন্য এটি চাষ করা যাবে না। একমাত্র ক্যানসারের ওষুধ তৈরির জন্য হেম্প চাষ করার অনুমতি দেওয়া হবে।'

কর্কটের শিকার অন্তিম পর্যায়ের রোগীদের ক্ষেত্রে যে গাঁজা ব্যবহারে দারুণ সাফল্য মেলে, তেমনটাই উঠে এসেছে একটি সাম্প্রতিক গবেষণায়। বিদেশি গবেষণার এই ফলাফল দেখে আশাবাদী এ দেশের চিকিৎসক মহলের একাংশও তাই গাঁজার ডাক্তারি ব্যবহারকে আইনসঙ্গত করার দাবি তুলছেন। বেশ কিছু দেশে অবশ্য গাঁজার এমন ব্যবহার ষোলো আনা আইনি। বঙ্গীয় চিকিৎসকরা চান, সেই তালিকায় নাম ঢুকুক এ দেশেরও৷

একেবারে শেষ পর্যায়ের ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে বরাবর দেখা যায়, প্রায় ৮০ % রোগী নানা উপসর্গের কারণে আখেরে চিকিৎসাটাই নিতে পারেন না। ভয়াবহ যন্ত্রণা, বমি, গা-গুলানো, অনিদ্রা আর অসম্ভব ক্লান্তি এমন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে রোগীকে, যে কেমোথেরাপি কিংবা রেডিয়োথেরাপির পুরো সাইকেলটাই থেকে যায় অসম্পূর্ণ।

আর তারই খেসারত দিয়ে কমপক্ষে সিকিভাগ ক্যান্সার রোগী মাস ছয়েকের মধ্যে মারা যান শেষ পর্যন্ত৷ কিন্তু প্রায় তিন হাজার এমন রোগীকে (স্টেজ ৩ ও ৪) টানা ছ’মাস গাঁজা সেবন (অবশ্যই তামাক ছাড়া) করিয়ে ইজরায়েলের একদল বিজ্ঞানী দেখেছেন, অন্তত ৬০ % রোগীর ক্ষেত্রেই ক্যান্সারের মূল চিকিৎসা সফল ভাবে শেষ করতে সমস্যা হয়নি। ফলে তাঁদের অর্ধেকেরও বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন স্তন, ফুসফুস, অগ্ন্যাশয়, অন্ত্র এবং রক্তের ক্যান্সারের করাল গ্রাস থেকে। সোরোকা ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারে করা ফ্যাকাল্টি অফ হেলথ সায়েন্সেসের এই গবেষণাপত্রটি ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ ইন্টারনাল মেডিসিনে সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়ায় পর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে সর্বত্র৷ বিতর্ক দানা বেঁধেছে এই প্রশ্ন ঘিরে যে, গাঁজার মতো একটি নেশার বস্তুকে চিকিৎসায় ব্যবহার করা কতটা নৈতিক৷

পরের খবর