অ্যাপশহর

বাণিজ্যের পরীক্ষায় 'গণেশ', অ্যাডমিট কার্ডে ছবি-সইও সিদ্ধিদাতার!

ভালো ফলের আশায় গণেশকে পেন্নাম ঠুকে পরীক্ষায় বসেন অনেক পরীক্ষার্থীই। কিন্তু, সাক্ষাত্‍‌ গণপতি কারও হয়ে পরীক্ষায় বসবেন, ভাবা যায়! অগত্যা...

EiSamay.Com 6 Oct 2017, 12:59 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ভালো ফলের আশায় গণেশকে পেন্নাম ঠুকে পরীক্ষায় বসেন অনেক পরীক্ষার্থীই। কিন্তু, সাক্ষাত্‍‌ গণপতি কারও হয়ে পরীক্ষায় বসবেন, ভাবা যায়! আজ্ঞে, এমনটাই ঘটেছে বিহারের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্ডারগ্র্যাজুয়েট পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে। শেষমেশ যদিও গণেশজি নয়, আসল ছাত্রই পরীক্ষায় বসেছেন। কিন্তু, তার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাঁকে।
EiSamay.Com lord ganesha to write commerce exam ganpati picture on admit card
বাণিজ্যের পরীক্ষায় 'গণেশ', অ্যাডমিট কার্ডে ছবি-সইও সিদ্ধিদাতার!


সম্প্রতি এমন অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছে বিহারের দ্বারভাঙার কৃষ্ণকুমার রায় নামে জনৈক এক পরীক্ষার্থীকে। নেহেরার জেএন কলেজের বিকম (অনার্স) ছাত্র কৃষ্ণকুমার বিহারের ললিত নারায়ণ মিথিলা ইউনিভার্সিটি থেকে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিতে গিয়ে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়।



তাঁর ভাষ্যে, হাতে অ্যাডমিট কার্ড পেয়ে চোখ কপালে ওঠে। পরীক্ষার্থীর জায়গায় জ্বলজ্বল করছে গণেশের ছবি। নীচে পরীক্ষার্থীর জায়গায় স্বাক্ষরটিও রয়েছে গণপতির। ভাগ্যিস হাতে কয়েক দিন সময় পেয়েছিলাম। নইলে এই অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে পরীক্ষার হল অবধি পৌঁছতে পারতম না।

তবে, সবটাই যে খুব মসৃণ ভাবে হয়ে গিয়েছে, তা কিন্তু নয়। কৃষ্ণকুমারের কথায়, আমাকে এই ক'টা দিন ট্রমার মধ্যে কাটাতে হয়েছে। অ্যাডমিট কার্ডের ভুল শুধরোতে ক'দিন ধরে রোজ ইউনিভার্সিটিতে ছুটোছুটি করতে হয়েছে তার পরেই পরীক্ষায় বসার অনুমতি পেয়েছি। ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে তাঁর বাণিজ্য বিষয়ের পরীক্ষা।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই ভুলের দায় নেয়নি। বিতর্ক থেকে গা বাঁচিয়ে সাইবার ক্যাফের উপরেই সব দায় চাপিয়েছে। কর্তৃপক্ষের তরফে রেজিস্ট্রার মুস্তাফা কামাল আনসারি জানিয়েছেন, ছাত্রটি যেই সাইবার ক্যাফে থেকে অনলাইনে পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করেছে, ভুলটা তাদেরই। তারই গণেশের ছবি বসিয়েছে।

কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কী করে এমন ভুল নজর এড়িয়ে গেল? বিশ্ববিদ্যালয়ের জবাব, অ্যাডমিট কার্ড অনলাইনে পাঠিয়ে দেওয়ার পর, সেটা ডাউনলোড করে কলেজ প্রিন্সিপালের আগে দেখার কথা। তারপর সেটি পরীক্ষার্থীর কাছে পৌঁছয়। তাঁরও এটা দেখা উচিত ছিল। তা হলে, ছাত্রটির ভোগান্তি লাঘব হত।

সব ভালো যার শেষ ভালো। এত ভোগান্তির পরেও শেষমশ যে পরীক্ষায় বসা সম্ভব হয়েছে, তাতেই স্বস্তিতে বাণিজ্যশাখার এই পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার মধ্যে এ নিয়ে অযথা আর বিতর্ক বাড়াতে নারাজ।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল