এই সময়: সাময়িক নয়, কোভিডে বেশ কিছু উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। তার মধ্যে শ্বাসকষ্ট যেমন রয়েছে, তেমনই পেশি এবং বুকে ব্যথাও রয়েছে। তবে এমন বেশ কিছু উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, যা অবাক করেছে চিকিৎসকেদের। তার মধ্যে রয়েছে কথা বলার সমস্যা এবং স্মরণশক্তি কমে যাওয়া। কিছু ক্ষেত্রে নিদ্রাহীনতা এবং গন্ধ না-পাওয়াও দীর্ঘস্থায়ী উপসর্গে পরিণত হচ্ছে। সারা দেশজুড়েই এমন ঘটনা নজরে এসেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। তৃণমূল সাংসদ মালা রায় সংসদে লং কোভিড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। শুক্রবার তারই লিখিত জবাবে এই সব উপসর্গের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার।
মালা রায়ের প্রশ্ন ছিল, করোনা থেকে সেরে উঠলেও সারা দেশে কত মানুষ লং কোভিডের শিকার? কোভিডের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব হিসেবে কোন উপসর্গ উল্লেখযোগ্য? কোভিডমুক্ত হওয়ার পরে কতজন মানুষ এখনও পর্যন্ত এই উপসর্গগুলি বয়ে বেড়াচ্ছেন? মূলত সরকারি হিসেব চেয়েছিলেন মালা। কিন্তু যে জবাব এদিন তাঁকে দেওয়া হয়েছে, তাতে নির্দিষ্ট করে কোনও সংখ্যা বলা নেই। কিছু শতকরা হিসেবে দেওয়া হয়েছে শুধু। কেন্দ্র এই বিষয়ে যে গাইডলাইন তৈরি করেছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে। সেই গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে জবাব দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে সারা বিশ্বের যা অবস্থা, একই অবস্থা এ দেশেও। তাঁদের হিসেবে, প্রাথমিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠলেও কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে ১০ থেকে ২০ শতাংশের উপরে বিভিন্ন উপসর্গের দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলছে নভেল করোনাভাইরাস। এটাকেই চিকিৎসকেরা লং কোভিড বলছেন। উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী না-হলে 'মিডটার্ম এফেক্ট অফ কোভিড'। কী কী উপসর্গ থাকছে লং কোভিডে?
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পর্যবেক্ষণ, আক্রান্ত হওয়ার সময় যাঁরা ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সেগুলি রয়েই যাচ্ছে। একই সঙ্গে অনেকের ক্ষেত্রে স্বাদ-গন্ধ না পাওয়ার মতো উপসর্গ থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না কোভিড থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিরা। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কোভিডমুক্ত হওয়ার পর অন্যান্য উপসর্গগুলি থেকে মুক্তি মিললেও, পরে দেখা যাচ্ছে স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, কাজে মনোনিবেশ করতে না-পারার সঙ্গে অনিদ্রা রোগের শিকার হয়েছেন অন্তত ৫ শতাংশ। অবসাদ এবং উদ্বেগের মতো উপসর্গ যোগ হতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু রোগীর মধ্যে। এ ছাড়াও বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে। অনেকের ক্ষেত্রে থেকে যাচ্ছে পেশিতে ব্যথা এবং জ্বর হওয়ার প্রবণতা।
মালা রায়ের প্রশ্ন ছিল, করোনা থেকে সেরে উঠলেও সারা দেশে কত মানুষ লং কোভিডের শিকার? কোভিডের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব হিসেবে কোন উপসর্গ উল্লেখযোগ্য? কোভিডমুক্ত হওয়ার পরে কতজন মানুষ এখনও পর্যন্ত এই উপসর্গগুলি বয়ে বেড়াচ্ছেন? মূলত সরকারি হিসেব চেয়েছিলেন মালা। কিন্তু যে জবাব এদিন তাঁকে দেওয়া হয়েছে, তাতে নির্দিষ্ট করে কোনও সংখ্যা বলা নেই। কিছু শতকরা হিসেবে দেওয়া হয়েছে শুধু। কেন্দ্র এই বিষয়ে যে গাইডলাইন তৈরি করেছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে। সেই গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছিল গত বছরের অক্টোবরে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যে জবাব দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে সারা বিশ্বের যা অবস্থা, একই অবস্থা এ দেশেও। তাঁদের হিসেবে, প্রাথমিক অসুস্থতা কাটিয়ে উঠলেও কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে ১০ থেকে ২০ শতাংশের উপরে বিভিন্ন উপসর্গের দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলছে নভেল করোনাভাইরাস। এটাকেই চিকিৎসকেরা লং কোভিড বলছেন। উপসর্গ দীর্ঘস্থায়ী না-হলে 'মিডটার্ম এফেক্ট অফ কোভিড'। কী কী উপসর্গ থাকছে লং কোভিডে?
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পর্যবেক্ষণ, আক্রান্ত হওয়ার সময় যাঁরা ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানির শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সেগুলি রয়েই যাচ্ছে। একই সঙ্গে অনেকের ক্ষেত্রে স্বাদ-গন্ধ না পাওয়ার মতো উপসর্গ থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না কোভিড থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিরা। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, কোভিডমুক্ত হওয়ার পর অন্যান্য উপসর্গগুলি থেকে মুক্তি মিললেও, পরে দেখা যাচ্ছে স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, কাজে মনোনিবেশ করতে না-পারার সঙ্গে অনিদ্রা রোগের শিকার হয়েছেন অন্তত ৫ শতাংশ। অবসাদ এবং উদ্বেগের মতো উপসর্গ যোগ হতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু রোগীর মধ্যে। এ ছাড়াও বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছে। অনেকের ক্ষেত্রে থেকে যাচ্ছে পেশিতে ব্যথা এবং জ্বর হওয়ার প্রবণতা।