অ্যাপশহর

বিতর্কিত অর্ডিন্যান্স ফেরাচ্ছে কেরালা

কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি ছিল, মানহানি, ভুয়ো খবর ও মহিলাদের উপর হামলার ঘটনা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত। হাইকোর্টে-ও রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, ওই সংশোধনীর ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে এফআইআর-সহ কোনও ধরনের কোনও বলপূর্বক ব্যবস্থাই নেওয়া হবে না।

Ei Samay 26 Nov 2020, 10:42 am
এই সময়: পুলিশ আইনের বিতর্কিত সংশোধনী প্রত্যাহার করতে অর্ডিন্যান্স আনছে কেরালা। মঙ্গলবারই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পিনারাই বিজয়ন সরকার। প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার ওই অর্ডিন্যান্স এসে যাওয়ার কথা। ওই সংশোধনীর ফলে যে কোনও 'আপত্তিজনক' সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা যেত। কিন্তু তা নিয়ে রাজ্যের এলডিএফ সরকারকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। ফলে তা প্রত্যাহারে বাধ্য হয় প্রশাসন।
EiSamay.Com Chief minister Pinarayi Vijayan
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।


আপাতত যা খবর, তাতে রাজ্যপাল কেরালা পুলিশ (সংশোধনী) প্রত্যাহার অর্ডিন্যান্স, ২০২০ শীর্ষক ওই নতুন বিধিতে সই করলে পুলিশ আইনে ১১৮এ শীর্ষক ওই সংশোধনী বাতিল বলে গণ্য হবে। পাশাপাশি, ইতিমধ্যে হাইকোর্টে-ও রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, ওই সংশোধনীর ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে এফআইআর-সহ কোনও ধরনের কোনও বলপূর্বক ব্যবস্থাই নেওয়া হবে না। আইনজ্ঞদের একাংশের মতে, এর বাস্তবিক অর্থ একটাই। সংশোধনীটি যত ক্ষণ পর্যন্ত বৈধ তত ক্ষণ পর্যন্ত খাতায়-কলমে তা বলবৎ থাকবে, তবে সেটি ব্যবহার করে কারও বিরুদ্ধে কোনও মামলা করবে না সরকার। এহেন বিতর্কিত সংশোধনীর জেরে তুমুল সমালোচিত হয় কেরালা রাজ্য প্রশাসন।

শুধু তা-ই নয়, প্রশ্নের মুখে পড়ে বাম দলগুলির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব-ও। পরিস্থিতি দেখে কেরালার মন্ত্রিসভা মঙ্গলবার সংশোধনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। বিজয়ন বলেন, 'পরে জনগণের মত নিয়েই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদি এর পরে কোনও সংশোধনী আনা হয়, সেটি বিধানসভার মাধ্যমেই আনা হবে।' কিন্তু প্রশ্ন অনেকগুলি। যেমন, এহেন আইন বদলের অর্থ কী যা তিন দিনের মাথায় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়? কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি ছিল, মানহানি, ভুয়ো খবর ও মহিলাদের উপর হামলার ঘটনা রুখতেই এই সিদ্ধান্ত।

কিন্তু নয়া সংশোধনী যে পুলিশের হাতে অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা তুলে দিতে পারে যার অসদ্ব্যবহার হওয়া অসম্ভব নয়, সে কথা কি মনে পড়েনি রাজ্য সরকারের? এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে পিছু হঠলেও বিজয়নের বক্তব্য, বিষয়টি এতটা একপেশে ভাবে দেখা উচিত নয়। কারণ, নারী-নির্যাতন ও ভুয়ো খবরের ধাক্কা তথা সাইবারবুলিং ঠেকাতে দাবি জানিয়েছিল সংবাদমাধ্যম-সহ সমাজের নানা অংশই। অথচ সংশোধনী আসতেই তীব্র বিরোধিতা শুরু করে তাদের একাংশ। নতুনতম সরকারি সিদ্ধান্তের পর আপাতত রাজ্য পুলিশের প্রধান লোকনাথ বেহেরা সমস্ত স্টেশন হাউস অফিসারকে সার্কুলার পাঠিয়ে জানিয়েছেন, কেউ যেন ১১৮এ-এর আওতায় মামলা দায়ের না করেন।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন-

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল