অ্যাপশহর

১৫০ কিমি বাইক চালিয়ে ওষুধ পৌঁছে দিলেন ক্যান্সার আক্রান্তকে

লকডাউনের জেরে কেমোথেরাপির ইউনিটও বন্ধ। ৪ বছরের ক্যান্সার আক্রান্ত এক শিশুকে ওষুধ পৌঁছে দিতে ১৫০ কিলোমিটার বাইক চালিয়ে গেলেন এক মেডিক্যাল সার্জেন্ট। নিজের কাজের ব্যস্ততা সত্ত্বেও বাইক নিয়ে আলুপুঝার দিকে রওনা হন তিনি।

EiSamay.Com 12 Apr 2020, 2:36 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণের আতঙ্কও কেড়ে নিতে পারেনি মনুষ্যত্ব। কেরালার ঘটনাই তার প্রমাণ। ৪ বছরের ক্যান্সার আক্রান্ত এক শিশুকে ওষুধ পৌঁছে দিতে ১৫০ কিলোমিটার বাইক চালিয়ে গেলেন এক মেডিক্যাল সার্জেন্ট। শুধু তাই নয়, এই ওষুধের জন্য গরিব পরিবারটির থেকে একটি টাকাও নিলেন না ওই সার্জেন্ট।
EiSamay.Com 11


কেরালার আলাপুঝা জেলার বাচ্চাটিকে কেমোথেরাপির জন্য প্রতিমাসে একবার তিরুবনন্তপুরমের ‘রিজিওনাল ক্যান্সার সেন্টার’-এ নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু লকডাউনের জেরে সেই কেমোথেরাপির ইউনিটও বন্ধ। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন, আপাতত কেমোথেরাপির বদলে পুরোনো প্রেসক্রিপশনের ওষুধ খাক মেয়েটি। কিন্তু আলাপুঝায় মেলেনি সে ওষুধ। উপায়ান্তর না দেখে অ্যান্টনি রাতিশ নামে এক সিভিল পুলিশ অফিসারের শরণাপন্ন হয় মেয়েটির পরিবার। রাতিশ যোগাযোগ করেন তাঁর বন্ধু বিষ্ণুর সঙ্গে। প্রাক্তন পুলিশ অফিসার বিষ্ণু বর্তমানে তিরুবনন্তপুরমের মেডিক্যাল কলেজে সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত। কাজের জন্যই আগামী এক সপ্তাহ তিরুবনন্তপুরমে থাকার কথা ছিল বিষ্ণুর, সেই মতো আলাপুঝা থেকে বাচ্চাটির প্রেসক্রিপশন নিয়ে ২৯ মার্চ তিরুবনন্তপুরমের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।

প্রেসক্রিপশন দেখে বিষ্ণু বুঝতে পারেন, সেটি পুরোনো। মেয়েটির অন্য ওষুধ দরকার। আর সেটাও ওই দিন সন্ধ্যা ছ’টার মধ্যে। বহুকষ্টে ওই নতুন ওষুধ জোগাড় করেন বিষ্ণু। নিজের কাজের ব্যস্ততা সত্ত্বেও বাইক নিয়ে আলুপুঝার দিকে রওনা হন তিনি। ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বাইক চালিয়ে বিকেল ৫.১০-এর মধ্যে বাচ্চাটির পরিবারের হাতে ওষুধ তুলে দেন তিনি। রাতিশের কথায়, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়েও ওষুধ পৌঁছতে কসুর করেননি বিষ্ণু। মেয়েটির পরিবারের আর্থিক অবস্থা দেখে একটা পয়সাও নেননি। একেই বলে মনুষ্যত্ব!’

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল