অ্যাপশহর

PPE কিট পুনর্ব্যবহারে কেরালায় ১৪% স্বাস্থ্যকর্মী কোভিডের শিকার!

অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কেরালায় করোনা পরিস্থিতি কিন্তু মোটের উপর ভালো। এ পর্যন্ত মাত্র ৭৩ জন কোভিডের বলি হয়েছেন। এই সাফল্যে বড় অবদান রয়েছে কেরালার স্বাস্থ্যকর্মীদের। কিন্তু, তাঁরাও সংক্রামিত হচ্ছেন। যার অন্যতম একটা কারণ পিপিই'র ঘাটতি।

EiSamay.Com 2 Aug 2020, 8:42 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই (personal protective equipment) কিটের ঘাটতি থাকার কারণে কেরালায় ১৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। ফ্রন্টলাইনে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে অনেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায়, একটি সমীক্ষা চালায় রাজ্য়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর।
EiSamay.Com Reusing
চলছে সোয়াব সংগ্রহ।-- ফাইল ছবি


সেই সমীক্ষাতে সামনে এসেছে পিপিই কিটের ঘাটতির কারণে স্বাস্থ্যকর্মীরা তা একবার ব্যবহারের পর ফেলে দিতে পারেননি। দ্বিতীয়বার তা গায়ে চড়াতে বাধ্য হয়েছেন। PPE কিটের এই পুনর্ব্যবহারই কেরালার স্বাস্থ্যকর্মীদের বিপদ ডেকে এনেছে। ১৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণ কিটের এই পুনর্ব্যবহার। আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে আবার এমনও কেউ কেউ আছেন, যাঁরা পিপিই কিট ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারেননি। যার ফলে সংক্রামিত হয়ে পড়েছেন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডিউটিতে থাকাকালীন স্বাস্থ্যকর্মীরা দলবেঁধে খেতে বসেন। সেসময় যাথাযথ সুরক্ষা বা পিপিই থাকে না। যার জেরে করোনা সংক্রামিত প্রায় ৮ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী। আবার সোয়াব সংগ্রহের সময় অসাবধানতায় করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন, কেরালায় এমন স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাও কম নয়।

আরও পড়ুন: কলকাতায় করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা! ভুয়ো রিপোর্টের ফাঁদে পড়ে মৃত প্রৌঢ়

স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৭০ শতাংশের উপর স্বাস্থ্যকর্মীই কোভিড পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে এসে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কখনও সেই আক্রান্ত ছিল রোগী, কখনও সহকর্মী, কোনও ক্ষেত্রে আবার পরিবারের সদস্য। রক্ষীদের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়েছেন এমন স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাও ১৪ শতাংশ। ২০ জুলাইয়ের একটি হিসেব অনুযায়ী, কেরালায় ফ্রন্টলাইনে থাকা ২৬৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত। সংক্রামিতদের মধ্যে চিকিত্‍‌সক, নার্স, নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্ট, হাউসকিপিং স্টাফ, অ্যাম্বুল্যান্স চালক, হেলথ ইনস্পেক্টর, ফিজিয়োথেরাপিস্ট, ল্যাব টেকনিশিয়ান এমনকী আশাকর্মীরাও রয়েছেন।

আরও পড়ুন: সাবধান! বাংলায় প্রতি ঘণ্টায় ২ জনের প্রাণ কাড়ছে করোনা

মোট আক্রান্তের ৪১ শতাংশ চিকিত্‍‌সক ও নার্স। ৬০ জন নার্স (২৩ শতাংশ) আক্রান্ত হয়েছেন ডিউটিতে থাকাকালীন। ৪৭ জন ডাক্তারও (১৮ শতাংশ) সংক্রামিত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৭ জন নার্সিং অ্যাসিস্ট্যান্ট বা অ্যাটেন্ডার। প্যারামেডিক্যাল স্টাফ ৩১ জন। অফিস স্টাফ ৩৮ জন। আক্রান্ত আশাকর্মীর সংখ্যা ৩৪। স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক কোভিড পজিটিভ কেস ধরা পড়েছে তিরুবনন্তপুরম জেলায়।

সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, কেরালায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ হাজার ৬১৩। এর মধ্যে অ্যাক্টিভ আক্রান্ত ১০ হাজার ৫১৭ জন। সেরে উঠেছেন ১০ হাজার ২৩ জন। করোনায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ১,৩১০ জনের পজিটিভ কেস ধরা পড়ে। একদিনে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করন।
https://t.me/EisamayNews

এই সময় ডিজিটালের বিনোদন সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।
https://t.me/EiSamay_Entertainment

এই সময় ডিজিটালের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত সব আপডেট এখন টেলিগ্রামে। সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন এখানে।
https://t.me/Eisamay_Lifestyle

জীবন গড়ার দিশারি এই সময় ডিজিটাল। চাকরি বা শিক্ষা সংক্রান্ত লেটেস্ট আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল। জাস্ট একটা ক্লিক এখানে।
https://t.me/Eisamay_jobs_Education

পরের খবর