অ্যাপশহর

সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির পাইপ থেকে বইছে টাকার ফোয়ারা! হতবাক গোটা শহর

এমনই আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে কর্ণাটকে। বা়ড়িতে দুর্নীতি দমন শাখার রেড পড়তেই পাইপ থেকে ঝরতে থাকে তাড়া তাড়া নোট। শুধু তাই নয়, জলের পাইপের মধ্যে মেলে গয়নাও। আসল রহস্যটা কী জানতে পড়ুন...

Lipi 25 Nov 2021, 9:06 am
EiSamay.Com karnataka money flow
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দোতলা বাড়ির উপর থেকে নেমে এসেছে পাইপ। এক তলায় সেই পাইপের মুখ খুলে খানিকটা খুঁচিয়ে দিলেই বেরিয়ে আসছে তাড়া তাড়া নোট। এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল কর্ণাটকের কালবুরগি।

বুধবার এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে হানা দেয় Anti-Corruption Bureau (ACB)। ওই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে। তারই ফলে এ দিন কালবুরগির বাড়িতে হানা দেন দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকেরা। খানিক পরে দেখা যায় ওই ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির পাইপ থেকে বেরিয়ে আসছে টাকা।

এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ কর্ণাটকের দুর্নীতি দমন শাখার উত্তর-পূর্ব বিভাগের পুলিশ সুপার মহেশ মেঘান্ননাভরের নেতৃত্বে এক আধিকারিক দল হানা দেয় স্থানীয় গুবিব কলোনির ওই বাড়িতে। বাড়ির মালিক সান্ত্বনগৌড়া বিরাদর PWD-রজেওয়ার্গি সাব ডিভিশনের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার।

মেঘালয় কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন! তৃণমূলে যোগদান ১২ কংগ্রেস বিধায়কের

সারা বাড়ি তল্লাশি করে প্রায় ৪০ লাখ টাকা নগদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা লুকিয়ে রাখা ছিল বাড়ির PVC পাইপ লাইনের ভিতরে। দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকদের কাছে আগে থেকেই এ বিষয়ে পাকা খবর ছিল। এ দিন তল্লাশি চালানোর সময়ই তাঁরা সঙ্গে করে মিস্ত্রি নিয়ে এসেছিলেন। তাঁরা প্রথমেই পাইপের একটি নির্দিষ্ট অংশ কেটে ফেলতে বলেন ওই মিস্ত্রিকে। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় নগদ পাঁচ লাখ টাকা। এ ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না। নানা ধরনের গয়না মজুত ছিল ওই বাড়িতে। পাওয়া গিয়েছে পাঁচটি মতো স্থাবর সম্পত্তির কাগজ।

পুলিশের দাবি, PWD-র ওই আধিকারিকের কালবুরগি এলাকায় দু’টি বাড়ি রয়েছে। একটি গুব্বিতে অন্যটি বাদেপুরে। দু’টি ভিটে জমি রয়েছে ব্রহ্মপুরে এবং বৃহত্তর কোটানুর এলাকায়। যাদ্রামি তালুকে ৩৫ একর জমির উপর রয়েছে তাঁর নিজস্ব দু’টি খামারবাড়ি।

এই খামারবাড়ি দু’টিতেও হানা দিয়েছিলেন দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকেরা। কিন্তু সেখান থেকে কিছু উদ্ধার করা যায়নি বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পুলিশ আধিকারিকদের বক্তব্য, সব মিলিয়ে কত টাকার সম্পত্তি রয়েছে তা এখনও হিসেব করে দেখা যায়নি। কিন্তু যে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ওই বাড়িতে জড়ো করা হয়েছিল তা থেকেই বোঝা যায় কী রকম ভাবে অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সান্ত্বনগৌড়া।

১৯৯২ সালে কালবুরগি জেলা পঞ্চায়েতে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন সান্ত্বনগৌড়া। ২০০০ সালে তাঁর চাকরি পাকা হয়।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল