অ্যাপশহর

অবশেষে ঘরে ফিরছেন শবরীমালার সেই কনকদুর্গা

একদিকে আয়াপ্পা ভক্তদের চোখরাঙানি, অন্য দিকে শ্বশুরবাড়ির গঞ্জনা-- এই দুইয়ের মাঝে পড়ে সরকারি আশ্রয়ই হয় সাহসিকার অস্থায়ী ঠিকানা। কিন্তু, যিনি সংস্কার ভাঙতে আয়াপ্পা ভক্তদের চটাতে পিছপা হন না, তিনি যে সহজে হাল ছাড়বেন না, তা তো জানাই। নিজের অধিকার ছিনিয়ে নিতে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেন কনকদুর্গা।

EiSamay.Com 5 Feb 2019, 9:19 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম ছাড়পত্রকে সম্বল করে, নজরদারির কয়েক'শো জোড়া চোখকে ফাঁকি দিয়ে ভোররাতের আলোআঁধারিতে শবরীমালার আয়াপ্পা মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। আর একজনও (বিন্দু) সঙ্গী হয়েছিলেন সেই সাহসী অভিযানে। প্রথা ভাঙার এই স্পর্ধা দেখানোয়, বাহবা তো দূর অস্ত, শ্বশুরবাড়ি থেকে জোটে তিরস্কার। বন্ধ হয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির দরজা। একদিকে আয়াপ্পা ভক্তদের চোখরাঙানি, অন্য দিকে শ্বশুরবাড়ির গঞ্জনা-- এই দুইয়ের মাঝে পড়ে সরকারি আশ্রয়ই হয় সাহসিকার অস্থায়ী ঠিকানা। কিন্তু, যিনি সংস্কার ভাঙতে আয়াপ্পা ভক্তদের চটাতে পিছপা হন না, তিনি যে সহজে হাল ছাড়বেন না, তা তো জানাই। নিজের অধিকার ছিনিয়ে নিতে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেন কনকদুর্গা।
EiSamay.Com kanakdurga


কনকদুর্গার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার 'গ্রাম ন্যায়ালয়' (গ্রামীণ আদালত) অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানিয়েছে, স্বামীর বাড়িতেই থাকবেন কনকদুর্গা। মাথার উপর শ্বশুরবাড়ির ছাদ পেতে গার্হস্থ্য হিংসা আইনে তিনি পিটিশন ফাইল করেছিলেন।

ন্যায়াধিকারী নিম্মি কে কে এক আদেশে জানান, কনকদুর্গার স্বামীর বাড়িতে থাকার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। গত ২ জানুয়ারি শবরীমালা মন্দিরে গিয়ে পুজো দেওয়ায় তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন শাশুড়ি। তাতে পরিবারের অন্যদেরও সায় ছিল। এমনকী স্বামীকেও তিনি পাশে পাননি। শাশুড়ি জানান, নিজের কৃতকর্মের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে, তবেই বাড়িতে ঠাঁই হবে। কনকদুর্গা যে এই প্রস্তাবে রাজি হবেন না, তা অজানা নয়। তাই বাধ্য হয়েই ঘর ছাড়েন।

এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১১ মার্চ।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল