এই সময়: গোটা দেশের রেলকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ২০২০-র ১ জুলাই দিনটি ভারতীয় রেলে অবশ্য স্মরণীয়। দেশে রেল যোগাযোগ চালুর পর সে দিনই প্রথম এবং মাত্র এক বার ১০০ শতাংশ সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখতে পেরেছিল ভারতীয় রেল। ওই দিন ট্র্যাকে ছিল ২৩০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন, তিন হাজার পণ্যবাহী এবং প্রায় দু'হাজার খালি রেক। যে কোনও স্বাভাবিক দিনে অবশ্য ট্র্যাকে ১৩ হাজারের কাছাকাছি প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও আট হাজার পণ্যবাহী রেক থাকে। করোনার লকডাউন-পর্বে ট্র্যাকে স্বাভাবিকের তুলনায় নগণ্য ট্রেন নিয়ে ১০০ শতাংশ সময়ানুবর্তিতা অর্জন আদৌ সাফল্য কি না, সেই প্রশ্ন অবশ্য রয়েছে। ঘটনা হল, ওই ১ জুলাইয়েরই মাত্র কয়েক দিন আগে ২১ মে গোয়ার মাদগাঁও থেকে মণিপুরের জিরিবামগামী একটি শ্রমিক স্পেশালের যাত্রীরা ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন। গোয়া থেকে মণিপুর পর্যন্ত দূরত্ব পার করার নির্ধারিত ৫০ ঘণ্টা পেরিয়ে আরও ৬০ ঘণ্টা পর অর্থাৎ ট্রেনে ১১০ ঘণ্টা কাটিয়ে শ্রমিকরা যখন গন্তব্যে পৌঁছন, তখন তাঁদের জীবনীশক্তি প্রায় শেষ।
ভারতীয় রেলের ট্র্যাফিক বিভাগের হিসাব, গত বছর কয়েক মাসে ৩৭৪০টি শ্রমিক স্পেশালে প্রায় ২০ লাখ যাত্রী পরিবহণ করেছিল রেল। এই ট্রেনগুলির ৪০ শতাংশই গড়ে আট ঘণ্টা দেরিতে চলেছিল। এর মধ্যে ৪২১টি ট্রেন ১০ ঘণ্টা বা তার চেয়েও বেশি দেরিতে চলেছে। ৩৭৩টি ট্রেনের দেরি ১০-২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এবং ৭৮টি ট্রেন ২৪ ঘণ্টারও বেশি দেরিতে এবং ৪৩টি ট্রেন ৩০ ঘণ্টারও বেশি দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছেছে। স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকাকালীন ট্র্যাক যখন কার্যত ট্রেন-শূন্য, সেই সময়েও এত দেরি কেন?
ভারতীয় রেলবোর্ডের ট্র্যাফিক বিভাগের সদস্য পিএস মিশ্রের দাবি, প্রধানত কোনও একটি নির্দিষ্ট অংশে ২৪ ঘণ্টায় যত ট্রেন যেতে পারে, ট্রেনের সংখ্যা তার চেয়ে বেড়ে গেলেই সমস্যা হয়। ভারতীয় রেলের ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের অনেকটা এবং বিহারের কিছুটা অঞ্চল এই 'ব্যস্ত এলাকা'র মধ্যে পড়ে। রেলের ট্র্যাফিক আধিকাকিকরা জানাচ্ছেন, ট্রেন-ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে যে সোনালি চতর্ভুজের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, ট্রেন-জটের বেশির ভাগ ঘটে সেখানেই। ভারতীয় রেলপথের মাত্র ১৫ শতাংশ এলাকা এই সোনালি চতুর্ভুজের মধ্যে পড়ে। কিন্তু দেশের মোট ট্রেনের প্রায় ৬০ শতাংশই এই অঞ্চল দিয়েই যায়। ফলে বিপত্তি।
সোনালি চতুর্ভুজের গেরোয় কুখ্যাতি অর্জন করেছে এই রাজ্যের কয়েকটি ট্রেনও। এর মধ্যে রয়েছে হাওড়া-জম্মু তাওয়াই হিমগিরি এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-আজমির এক্সপ্রেস, নিউ দিল্লি-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন। এর মধ্যে শেষ ট্রেনটি গড়ে ১৫ ঘণ্টা এবং প্রথম দু'টি ট্রেন গড়ে আট থেকে ১০ ঘণ্টা দেরিতে চলে। এর ফলে বহু যাত্রীকেই বছরের পর বছর হয়রানির শিকার হতে হয়। রেলের কর্তারা অবশ্য দেরিতে ট্রেন চলার সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলেই আশা করছেন।
ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরি হলে ট্র্যাক থেকে পণ্যবাহী গাড়ির চাপ অনেকটাই কমবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এর পাশাপাশি ট্রেনের গড় গতি বাড়ানোর উপযুক্ত ট্র্যাক বসানোর কাজও চলছে বহু জায়গায়। দূরপাল্লার ট্রেনের গতি অব্যহত রাখতে ট্র্যাক বরাবর ফেন্সিংয়ের ব্যবস্থা কতটা কার্যকরী হতে পারে, সেই ভাবনা-চিন্তাও চলছে।
ভারতীয় রেলের ট্র্যাফিক বিভাগের হিসাব, গত বছর কয়েক মাসে ৩৭৪০টি শ্রমিক স্পেশালে প্রায় ২০ লাখ যাত্রী পরিবহণ করেছিল রেল। এই ট্রেনগুলির ৪০ শতাংশই গড়ে আট ঘণ্টা দেরিতে চলেছিল। এর মধ্যে ৪২১টি ট্রেন ১০ ঘণ্টা বা তার চেয়েও বেশি দেরিতে চলেছে। ৩৭৩টি ট্রেনের দেরি ১০-২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত এবং ৭৮টি ট্রেন ২৪ ঘণ্টারও বেশি দেরিতে এবং ৪৩টি ট্রেন ৩০ ঘণ্টারও বেশি দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছেছে। স্বাভাবিক ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকাকালীন ট্র্যাক যখন কার্যত ট্রেন-শূন্য, সেই সময়েও এত দেরি কেন?
ভারতীয় রেলবোর্ডের ট্র্যাফিক বিভাগের সদস্য পিএস মিশ্রের দাবি, প্রধানত কোনও একটি নির্দিষ্ট অংশে ২৪ ঘণ্টায় যত ট্রেন যেতে পারে, ট্রেনের সংখ্যা তার চেয়ে বেড়ে গেলেই সমস্যা হয়। ভারতীয় রেলের ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের অনেকটা এবং বিহারের কিছুটা অঞ্চল এই 'ব্যস্ত এলাকা'র মধ্যে পড়ে। রেলের ট্র্যাফিক আধিকাকিকরা জানাচ্ছেন, ট্রেন-ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে যে সোনালি চতর্ভুজের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, ট্রেন-জটের বেশির ভাগ ঘটে সেখানেই। ভারতীয় রেলপথের মাত্র ১৫ শতাংশ এলাকা এই সোনালি চতুর্ভুজের মধ্যে পড়ে। কিন্তু দেশের মোট ট্রেনের প্রায় ৬০ শতাংশই এই অঞ্চল দিয়েই যায়। ফলে বিপত্তি।
সোনালি চতুর্ভুজের গেরোয় কুখ্যাতি অর্জন করেছে এই রাজ্যের কয়েকটি ট্রেনও। এর মধ্যে রয়েছে হাওড়া-জম্মু তাওয়াই হিমগিরি এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ-আজমির এক্সপ্রেস, নিউ দিল্লি-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন। এর মধ্যে শেষ ট্রেনটি গড়ে ১৫ ঘণ্টা এবং প্রথম দু'টি ট্রেন গড়ে আট থেকে ১০ ঘণ্টা দেরিতে চলে। এর ফলে বহু যাত্রীকেই বছরের পর বছর হয়রানির শিকার হতে হয়। রেলের কর্তারা অবশ্য দেরিতে ট্রেন চলার সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলেই আশা করছেন।
ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরি হলে ট্র্যাক থেকে পণ্যবাহী গাড়ির চাপ অনেকটাই কমবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এর পাশাপাশি ট্রেনের গড় গতি বাড়ানোর উপযুক্ত ট্র্যাক বসানোর কাজও চলছে বহু জায়গায়। দূরপাল্লার ট্রেনের গতি অব্যহত রাখতে ট্র্যাক বরাবর ফেন্সিংয়ের ব্যবস্থা কতটা কার্যকরী হতে পারে, সেই ভাবনা-চিন্তাও চলছে।