এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কথা রেখে চিনা সেনা গলওয়ান থেকে সরে যাচ্ছে। সোমবার থেকে শুরু হয়েছে সেনা প্রত্যাহারের কাজ। এই এলাকায় চিনা তাঁবুও গুটিয়ে ফেলা হয়েছে, ভাঙা হয়েছে কয়েকটি অস্থায়ী শিবিরও৷ প্যাট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ বা হটস্প্রিং ও গোগরা থেকেও চিন সরে যাচ্ছে। তা আজ, বুধবারের মধ্যেই সমাপ্ত হবে। --- দ্বিপাক্ষিক সমঝতা অনুসারে লাদাখে ২ কিলোমিটার পিছু হটেছে চিনা সেনা।
---সেনা প্রত্যাহারের সময় কোনও রকম ঝামেলার সৃষ্টি যাতে না-হয় সে জন্যই বাফার জোন রাখা হয়েছে। চিনের সেনা পুরোপুরি পিছু হটলে রুটিন পেট্রোলিং শুরু করবে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
---পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫-তে আজ ডিসএনগেজমেন্ট সম্পূর্ণ করল ভারত ও চিন। চিনা বাহিনী প্রায় ২ কিমি পিছনে সরে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
---গলওয়ান থেকে সেনা প্রত্যাহারের অঙ্গ হিসেবেই চিনা ফৌজ আরও পিছিয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে গলওয়ান নদী যেখানে বাঁক নিয়েছে, সেই অঞ্চল ভারতের অন্তর্ভুক্ত। এই এলাকাটি থেকেই চিনা সেনা অন্তত ২ কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে বলে স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে।
---গলওয়ানে মঙ্গলবার রাতের মধ্যে ভারতীয় দিক খালি করে দেওয়া হয়েছে। পিপি ১৫, ১৭ ও ১৭এ থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে পশ্চাদপসরণ করা হবে। দু’দেশের মধ্যে কথা হয়েছে, দু’পক্ষই ১ থেকে ১.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সরে যাবে। ভারত ও চিন তাই-ই আপাতত করছে।
---প্যাংগং সো অঞ্চল থেকে চিন সরছে না এখনই। সেখানকার ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত এলাকায় আগে থেকেই ঘাটি বানিয়েছে তারা। ফলে এই অঞ্চল নিয়ে এক সংশয় থাকছেই। আর এই ‘সংশয়’ই প্রশ্ন তুলছে চিনের কৌশল ও সদিচ্ছা নিয়ে।
---২২ এবং ৩০ জুন ভারত ও চিনের সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের বৈঠকে স্থির হওয়া সমাধানসূত্র অনুযায়ী, আগামী এক মাস গলওয়ানের পিপি ১৪ এলাকায় প্যাট্রোলিং করতে পারবে না ভারতীয় সেনা। চুক্তি অনুয়াযী সরতে হচ্ছে ফরওয়ার্ড পোস্ট থেকেও। নজর রাখতে পারছে না গুরুত্বপূর্ণ ডিএসডিবিও রাস্তার উপরে --- এই সবকে ভালো লক্ষণ হিসেবে মানতে পারছেন না অনেকেই।
---পূর্ব লাদাখের স্ট্র্যাটেজিক লোকেশন বিচার করে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনার অবস্থান পরবর্তীকালে ভয়ানক বিপদ ডেকে আনতে পারে, এমন আশঙ্কাই প্রবল হয়েছে৷ বিশেষ করে ১৯৬২ সালে চিনা সেনা ‘পশ্চাদপসরণ’ করে গিয়েও তার পরে পুরো দস্তুর যুদ্ধে নেমেছিল।
---ফলে আশঙ্কায় ভুগছেন দেশের বিশিষ্ট প্রাক্তন সেনা কর্তারা৷ মঙ্গলবার প্রাক্তন সেনা কর্তা, লেফটেন্যনান্ট জেনারেল আর এস কাদিয়ান বলেন, ‘যে দেশের নীতিই হল দু’ পা এগিয়ে এক পা পিছিয়ে যাওয়া, সেই চিনকে বিশ্বাস করা কঠিন৷’
---চিন যে পিপি ১৪ এ ভারতীয় সেনাদের বাধা দিয়েছিল, তা স্পষ্ট করল চিনের সরকারি চ্যানেলই। সিসিটিভি-৪-এর একটি অনুষ্ঠানে কিছু স্যাটেলাইট ইমেজ দেখানো হয়। ওই টিভি চ্যানেলের দাবি, পিপি ১৪-র কাছে ভারতীয় সেনার একটি হেলিপ্যাড এবং অন্যান্য সেনার সামগ্রী সরিয়ে দিচ্ছে চিনের বাহিনী। যদিও এই ছবির কোনও তারিখ দেখানো হয়নি। তবে চিনই যদি ভারতীয় তাঁবু ও হেলিপ্যাড তুলে দিয়ে থাকে, তা হলে এটাই স্পষ্ট হয় যে বেজিং আগ্রাসন চালিয়েছে এবং ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা চালিয়েছে।
---উল্লেখ্য, গলওয়ানের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবছরের শীতকালে গলওয়ান সহ পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ অংশে প্রচুর সেনা জওয়ান মোতায়েন রাখার মতো আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাঁদের রাখার জন্য ব্যবহার করা হবে তুষাররোধী আর্কটিক টেন্ট।
---সেনা প্রত্যাহারের সময় কোনও রকম ঝামেলার সৃষ্টি যাতে না-হয় সে জন্যই বাফার জোন রাখা হয়েছে। চিনের সেনা পুরোপুরি পিছু হটলে রুটিন পেট্রোলিং শুরু করবে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
---পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫-তে আজ ডিসএনগেজমেন্ট সম্পূর্ণ করল ভারত ও চিন। চিনা বাহিনী প্রায় ২ কিমি পিছনে সরে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
---গলওয়ান থেকে সেনা প্রত্যাহারের অঙ্গ হিসেবেই চিনা ফৌজ আরও পিছিয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে গলওয়ান নদী যেখানে বাঁক নিয়েছে, সেই অঞ্চল ভারতের অন্তর্ভুক্ত। এই এলাকাটি থেকেই চিনা সেনা অন্তত ২ কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে বলে স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে।
---গলওয়ানে মঙ্গলবার রাতের মধ্যে ভারতীয় দিক খালি করে দেওয়া হয়েছে। পিপি ১৫, ১৭ ও ১৭এ থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে পশ্চাদপসরণ করা হবে। দু’দেশের মধ্যে কথা হয়েছে, দু’পক্ষই ১ থেকে ১.৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সরে যাবে। ভারত ও চিন তাই-ই আপাতত করছে।
---প্যাংগং সো অঞ্চল থেকে চিন সরছে না এখনই। সেখানকার ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত এলাকায় আগে থেকেই ঘাটি বানিয়েছে তারা। ফলে এই অঞ্চল নিয়ে এক সংশয় থাকছেই। আর এই ‘সংশয়’ই প্রশ্ন তুলছে চিনের কৌশল ও সদিচ্ছা নিয়ে।
---২২ এবং ৩০ জুন ভারত ও চিনের সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের বৈঠকে স্থির হওয়া সমাধানসূত্র অনুযায়ী, আগামী এক মাস গলওয়ানের পিপি ১৪ এলাকায় প্যাট্রোলিং করতে পারবে না ভারতীয় সেনা। চুক্তি অনুয়াযী সরতে হচ্ছে ফরওয়ার্ড পোস্ট থেকেও। নজর রাখতে পারছে না গুরুত্বপূর্ণ ডিএসডিবিও রাস্তার উপরে --- এই সবকে ভালো লক্ষণ হিসেবে মানতে পারছেন না অনেকেই।
---পূর্ব লাদাখের স্ট্র্যাটেজিক লোকেশন বিচার করে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনার অবস্থান পরবর্তীকালে ভয়ানক বিপদ ডেকে আনতে পারে, এমন আশঙ্কাই প্রবল হয়েছে৷ বিশেষ করে ১৯৬২ সালে চিনা সেনা ‘পশ্চাদপসরণ’ করে গিয়েও তার পরে পুরো দস্তুর যুদ্ধে নেমেছিল।
---ফলে আশঙ্কায় ভুগছেন দেশের বিশিষ্ট প্রাক্তন সেনা কর্তারা৷ মঙ্গলবার প্রাক্তন সেনা কর্তা, লেফটেন্যনান্ট জেনারেল আর এস কাদিয়ান বলেন, ‘যে দেশের নীতিই হল দু’ পা এগিয়ে এক পা পিছিয়ে যাওয়া, সেই চিনকে বিশ্বাস করা কঠিন৷’
---চিন যে পিপি ১৪ এ ভারতীয় সেনাদের বাধা দিয়েছিল, তা স্পষ্ট করল চিনের সরকারি চ্যানেলই। সিসিটিভি-৪-এর একটি অনুষ্ঠানে কিছু স্যাটেলাইট ইমেজ দেখানো হয়। ওই টিভি চ্যানেলের দাবি, পিপি ১৪-র কাছে ভারতীয় সেনার একটি হেলিপ্যাড এবং অন্যান্য সেনার সামগ্রী সরিয়ে দিচ্ছে চিনের বাহিনী। যদিও এই ছবির কোনও তারিখ দেখানো হয়নি। তবে চিনই যদি ভারতীয় তাঁবু ও হেলিপ্যাড তুলে দিয়ে থাকে, তা হলে এটাই স্পষ্ট হয় যে বেজিং আগ্রাসন চালিয়েছে এবং ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা চালিয়েছে।
---উল্লেখ্য, গলওয়ানের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবছরের শীতকালে গলওয়ান সহ পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ অংশে প্রচুর সেনা জওয়ান মোতায়েন রাখার মতো আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সেনা। তাঁদের রাখার জন্য ব্যবহার করা হবে তুষাররোধী আর্কটিক টেন্ট।