এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। এবার পাক সেনাদের গুলিবর্ষণে প্রাণ হারালেন দুই ভারতীয় সেনা জওয়ান। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার সান্ডারবানি সেক্টরে। শহিদ দুই সেনা জওয়ান হলেন নায়েক প্রেম বাহাদুর ক্ষত্রী এবং কনস্টেবল সুখবীর সিং। যদিও পালটা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। সেনা সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে আচমকাই সান্ডারবান সেক্টরে সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। এমনকী সংলগ্ন গ্রামগুলিতেও মর্টার ছোড়া হয়। এই সময়ই পাক সেনাদের ছোড়া গুলিতে প্রেমবাহাদুর ক্ষত্রী ও সুখবীর সিং নামে দুই সেনা জওয়ান গুরুতরভাবে জখম হন। কিছুক্ষণ পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৩ নভেম্বর কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় পাকিস্তানি সেনার হামলায় ৬ জন ভারতীয় সেনা-সহ ১১ জন প্রাণ হারান। ১ অক্টোবর পুঞ্চে পাক হামলায় ভারতীয় এক সেনা শহিদ হন। গত ৫ সেপ্টেম্বর এই রাজৌরিতেই পাক গোলায় শহিদ হন আরও এক সেনা। যদিও সম্প্রতি পাকিস্তানের একাধিক সেনা ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা। মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজন পাক সেনার।
অপরদিকে, ২৬/১১ হানার এক যুগ পূর্তির দিন, বৃহস্পতিবার ফের জঙ্গিগুলি প্রাণ কেড়েছে দুই সেনা জওয়ানের। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে শ্রীনগরের প্রান্তে পারিমপোরা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত দু'জন সেনার 'কুইক রিঅ্যাকশন টিমের' (কিউআরটি) সদস্য। এ দিন দুপুরে হঠাৎই ওই টিম-কে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। তাতে প্রথমে গুরুতর আহত হন সেনা দুই জওয়ান। পরে মৃত্যু হয় তাঁদের।
সংবাদসংস্থা এএনআই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক বর্ষীয়ান আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, পারিমপোরার ঘিঞ্জি কুশীপোরা এলাকার এই ঘটনায় সম্ভবত তিন জন সামিল ছিল। প্রাথমিক ভাবে ধারণা, এই তিন জনের মধ্যে দু'জন পাকিস্তানের বাসিন্দা ও তৃতীয় জন স্থানীয়। ওই পুলিশ আধিকারিকের আরও দাবি, 'জৈশ-ই-মহম্মদের গতিবিধি রয়েছে এলাকাটিতে।' তবে বৃহস্পতিবারের গুলিবর্ষণের নেপথ্যে জৈশ নাকি অন্য কোনও জঙ্গি সংগঠন, তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি। আপাতত খবর, হামলার পর একটি গাড়িতে চেপে পালায় তিন জনই। দলটির খোঁজে ইতিমধ্যে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। প্রশাসনের আশা, দ্রুত ধরা পড়বে তারা। শ্রীনগরে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, আহত দুই জওয়ানকে দ্রুত নিকটতম সেনা চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে আসা হলেও বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন: অবশেষে মমতার সঙ্গ-ত্যাগ, মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী!
মুম্বই হামলার ১২ বছর পূর্তির প্রাক্কালে উপত্যকায় জঙ্গি গতিবিধি যে বাড়ছে সে বিষয়টি আগেই নজরে এসেছিল নিরাপত্তা বাহিনীর। সম্প্রতি চার সন্দেহভাজন চার জৈশ জঙ্গিকে নাগরোটার কাছে জম্মু-শ্রীনগর ন্যাশনাল হাইওয়ের উপর হত্যা করেছিল তারা। পুলিশ তখন দাবি করে, 'কোনও বড়সড় হামলার ছক' ছিল তাদের। এ দিকে, ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু করে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আট দফায় ডিস্ট্রিক্ট ডেভলপমেন্ট কাউন্সিলের ভোট জম্মু ও কাশ্মীরে। গত বছর অগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর এটিই প্রথম নির্বাচন সেখানে। রাজনীতিবিদ্দের একাংশের তাই বক্তব্য, নির্বাচন ভণ্ডুল করতেই অশান্তির চেষ্টা করছে জঙ্গিরা।
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।
অপরদিকে, ২৬/১১ হানার এক যুগ পূর্তির দিন, বৃহস্পতিবার ফের জঙ্গিগুলি প্রাণ কেড়েছে দুই সেনা জওয়ানের। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে শ্রীনগরের প্রান্তে পারিমপোরা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত দু'জন সেনার 'কুইক রিঅ্যাকশন টিমের' (কিউআরটি) সদস্য। এ দিন দুপুরে হঠাৎই ওই টিম-কে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। তাতে প্রথমে গুরুতর আহত হন সেনা দুই জওয়ান। পরে মৃত্যু হয় তাঁদের।
সংবাদসংস্থা এএনআই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক বর্ষীয়ান আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, পারিমপোরার ঘিঞ্জি কুশীপোরা এলাকার এই ঘটনায় সম্ভবত তিন জন সামিল ছিল। প্রাথমিক ভাবে ধারণা, এই তিন জনের মধ্যে দু'জন পাকিস্তানের বাসিন্দা ও তৃতীয় জন স্থানীয়। ওই পুলিশ আধিকারিকের আরও দাবি, 'জৈশ-ই-মহম্মদের গতিবিধি রয়েছে এলাকাটিতে।' তবে বৃহস্পতিবারের গুলিবর্ষণের নেপথ্যে জৈশ নাকি অন্য কোনও জঙ্গি সংগঠন, তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি। আপাতত খবর, হামলার পর একটি গাড়িতে চেপে পালায় তিন জনই। দলটির খোঁজে ইতিমধ্যে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। প্রশাসনের আশা, দ্রুত ধরা পড়বে তারা। শ্রীনগরে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, আহত দুই জওয়ানকে দ্রুত নিকটতম সেনা চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে আসা হলেও বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন: অবশেষে মমতার সঙ্গ-ত্যাগ, মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী!
মুম্বই হামলার ১২ বছর পূর্তির প্রাক্কালে উপত্যকায় জঙ্গি গতিবিধি যে বাড়ছে সে বিষয়টি আগেই নজরে এসেছিল নিরাপত্তা বাহিনীর। সম্প্রতি চার সন্দেহভাজন চার জৈশ জঙ্গিকে নাগরোটার কাছে জম্মু-শ্রীনগর ন্যাশনাল হাইওয়ের উপর হত্যা করেছিল তারা। পুলিশ তখন দাবি করে, 'কোনও বড়সড় হামলার ছক' ছিল তাদের। এ দিকে, ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু করে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আট দফায় ডিস্ট্রিক্ট ডেভলপমেন্ট কাউন্সিলের ভোট জম্মু ও কাশ্মীরে। গত বছর অগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর এটিই প্রথম নির্বাচন সেখানে। রাজনীতিবিদ্দের একাংশের তাই বক্তব্য, নির্বাচন ভণ্ডুল করতেই অশান্তির চেষ্টা করছে জঙ্গিরা।
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।