তৃতীয় ঢেউয়ে কারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন? গবেষণায় উঠে এল নয়া তথ্য
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও শিশুদের টিকাকরণ শুরু হয়নি। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে (Covid Third Wave) প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা কম সংক্রমিত হচ্ছে। ঠিক কী জানা যাচ্ছে, জেনে নিন…
Lipi 16 Jan 2022, 4:32 pm
হাইলাইটস
- প্রাপ্তবয়স্কদের অধিকাংশের করোনা টিকা হলেও ভারতে শিশুদের জন্য এখনও পর্যন্ত করোনা টিকা বেরোয়নি।
- ফলে তাদের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি।
- অথচ করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা কম সংক্রমিত হচ্ছে।
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাপ্তবয়স্কদের অধিকাংশের করোনা টিকা হলেও ভারতে শিশুদের জন্য এখনও পর্যন্ত করোনা টিকা বেরোয়নি। ফলে তাদের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। অথচ করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা কম সংক্রমিত হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত কর্ণাটকের কোভিড-১৯ ওয়ার রুমের সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। শিশুদের এখনও পর্যন্ত করোনা টিকা হয়নি। ফলে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা বেশি সংক্রমিত হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুরা কম সংবেদনশীল বলে দাবি জানাচ্ছেন কর্ণাটকের কোভিড-১৯ ওয়ার রুমের প্রধান মুনীশ মউডগিল। তিনি বলেন, ‘এককথায়, করোনার তৃতীয় ঢেউ শিশুদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়ছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউয়ে ০ থেকে ১৮ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের হার বেড়েছে বলে মনে হয় না। বরং শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ কমেছে।’
গত দু-বছরের শিশুদের করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কর্ণাটকের কোভিড-১৯ ওয়ার রুমের প্রধান জানান, ২০২১-এর এপ্রিলে শিশুদের মধ্যে পজিটিভিটি রেট ৮.৮২ শতাংশ, ২০২১-এর মে-তে ২৪.৬১ শতাংশ, ২০২১-এর নভেম্বরে ০.২৩ শতাংশ, ২০২১-এর ডিসেম্বরে ০.২২ শতাংশ এবং ২০২২-এর জানুয়ারিতে ২.৭১ শতাংশ। অথচ এই সময়ের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পজিটিভিটি রেট যথাক্রমে ১৫.৫৩ শতাংশ, ২৬.৬৮ শতাংশ, ০.৩৯ শতাংশ, ০.৫১ শতাংশ এবং ৭.৭৫ শতাংশ।
মউডগিল আরও জানান, কর্ণাটকে করোনার প্রথম ঢেউ থেকে এখনও পর্যন্ত ০ থেকে ৯ বছর বয়সি মোট ৯৭,৪৯০ শিশুর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যেখানে ১০ বছর থেকে ১৯ বছর বয়সি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২,৪৯,৬৬১ জন। অন্যদিকে, করোনায় মৃত্যুর হারও এই দুটি গ্রুপের মধ্যে একেবারে শিশুদের তুলনামূলক কম। ০ থেকে ৯ বছর বয়সি ৬৭টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ বছর থেকে ১৯ বছর বয়সিদের মধ্যে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে করোনার প্রথম দুটি ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউ বেশি সংক্রামক হলেও ভয়াবহতা অনেকটাই কম বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছেন। ফলে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও কম। মউডগিলের প্রকাশিত সমীক্ষাতেও দেখা যাচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার প্রায় তিনগুণ বেশি। অর্থাৎ করোনার এই ঢেউ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউয়ে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন, এমন রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ গুণ কম ছিল।
গত দু-বছরের শিশুদের করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে কর্ণাটকের কোভিড-১৯ ওয়ার রুমের প্রধান জানান, ২০২১-এর এপ্রিলে শিশুদের মধ্যে পজিটিভিটি রেট ৮.৮২ শতাংশ, ২০২১-এর মে-তে ২৪.৬১ শতাংশ, ২০২১-এর নভেম্বরে ০.২৩ শতাংশ, ২০২১-এর ডিসেম্বরে ০.২২ শতাংশ এবং ২০২২-এর জানুয়ারিতে ২.৭১ শতাংশ। অথচ এই সময়ের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পজিটিভিটি রেট যথাক্রমে ১৫.৫৩ শতাংশ, ২৬.৬৮ শতাংশ, ০.৩৯ শতাংশ, ০.৫১ শতাংশ এবং ৭.৭৫ শতাংশ।
মউডগিল আরও জানান, কর্ণাটকে করোনার প্রথম ঢেউ থেকে এখনও পর্যন্ত ০ থেকে ৯ বছর বয়সি মোট ৯৭,৪৯০ শিশুর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যেখানে ১০ বছর থেকে ১৯ বছর বয়সি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২,৪৯,৬৬১ জন। অন্যদিকে, করোনায় মৃত্যুর হারও এই দুটি গ্রুপের মধ্যে একেবারে শিশুদের তুলনামূলক কম। ০ থেকে ৯ বছর বয়সি ৬৭টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ বছর থেকে ১৯ বছর বয়সিদের মধ্যে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে করোনার প্রথম দুটি ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউ বেশি সংক্রামক হলেও ভয়াবহতা অনেকটাই কম বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছেন। ফলে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও কম। মউডগিলের প্রকাশিত সমীক্ষাতেও দেখা যাচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার প্রায় তিনগুণ বেশি। অর্থাৎ করোনার এই ঢেউ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউয়ে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন, এমন রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ গুণ কম ছিল।