কুতুব মিনার আসলে 'বিষ্ণু-স্তম্ভ', দাবি হিন্দু মহাসভার
তাজমহল আসলে শিব মন্দির বলে দাবি করার পর এবার পালা কুতুব মিনারের। মুঘল আমলের এই বিখ্যাত নিদর্শন আসলে বিষ্ণু-স্তম্ভ বলে দাবি করেছে হিন্দু মহাসভার আলিগড় ইউনিট।
EiSamay.Com 19 Mar 2018, 1:08 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: তাজমহল আসলে শিব মন্দির বলে দাবি করার পর এবার পালা কুতুব মিনারের। মুঘল আমলের এই বিখ্যাত নিদর্শন আসলে বিষ্ণু-স্তম্ভ বলে দাবি করেছে হিন্দু মহাসভার আলিগড় ইউনিট। তাদের প্রকাশিত হিন্দু নববর্ষ ক্যালেন্ডারে কুতুব মিনারের ছবির পাশে বিষ্ণু-স্তম্ভ লেখা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে।
শুধু কুতুব মিনার নয়, মুঘল জমানার সাতটি মসজিদ ও স্মৃতিস্তম্ভকে হিন্দু মন্দির বলে দাবি করা হয়েছে এই ক্যালেন্ডারে। যে তালিকায় রয়েছে তাজমহলও। তাজ মহলের নামের পাশে লেখা তেজো মহালয়া মন্দির। মধ্যপ্রদেশের কমল মৌলা মসজিদ আসলে ভোজশালা বলে দাবি করা হয়েছে। কাশির জ্ঞানব্যাপী মসজিদের ছবির পাশে লেখা বিশ্বনাথ মন্দির, জৌনপুরের আটালা মসজিদের ছবির পাশে লেখা অটলা দেবী মন্দির এবং অযোধ্যায় করসেবকদের হাতে ধ্বংস হওয়া বাবরি মসজিদের ছবির পাশে লেখা রয়েছে রাম জন্মভূমি।
হিন্দু মহাসভার ন্যাশনাল সেক্রেটারি পুজা শাকুন জানিয়েছেন, 'এই পবিত্র হিন্দু ক্যালেন্ডার প্রকাশ উপলক্ষ্যে আমরা যাগ-যজ্ঞের আয়োজন করি এবং এই দেশকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার শপথ নিই।' তিনি আরও বলেন, 'বিদেশি আক্রমণকারীরা হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানগুলি ধ্বংস করে মসজিদে পরিণত করে। এখন সেগুলো আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। যেমন এই ক্যালেন্ডারে বলা হয়েছে, সেকরমই এই মন্দিরগুলোর আসল নাম আমরা ফিরিয়ে দেব।'
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার ইমাম-ই-ঈদগাহ মৌলানা খালিদ রশিদ ফিরাঙ্গি মাহালি বলেন, 'এরা অকারণে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ নষ্ট করছে। এদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।' আলিগড়ে প্রাক্তন বিধায়ক জামির উল্লাহ খান বলেছেন, 'পাকিস্তানে হাফিজ মহম্মদ সৈয়দের সঙ্গে এদের কোনও পার্থক্য নেই। এরা শুধুই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভেদাভেদ করে দেশের ক্ষতি চায়।'
খবরটি ইংরাজিতে পড়ুন।
শুধু কুতুব মিনার নয়, মুঘল জমানার সাতটি মসজিদ ও স্মৃতিস্তম্ভকে হিন্দু মন্দির বলে দাবি করা হয়েছে এই ক্যালেন্ডারে। যে তালিকায় রয়েছে তাজমহলও। তাজ মহলের নামের পাশে লেখা তেজো মহালয়া মন্দির। মধ্যপ্রদেশের কমল মৌলা মসজিদ আসলে ভোজশালা বলে দাবি করা হয়েছে। কাশির জ্ঞানব্যাপী মসজিদের ছবির পাশে লেখা বিশ্বনাথ মন্দির, জৌনপুরের আটালা মসজিদের ছবির পাশে লেখা অটলা দেবী মন্দির এবং অযোধ্যায় করসেবকদের হাতে ধ্বংস হওয়া বাবরি মসজিদের ছবির পাশে লেখা রয়েছে রাম জন্মভূমি।
হিন্দু মহাসভার ন্যাশনাল সেক্রেটারি পুজা শাকুন জানিয়েছেন, 'এই পবিত্র হিন্দু ক্যালেন্ডার প্রকাশ উপলক্ষ্যে আমরা যাগ-যজ্ঞের আয়োজন করি এবং এই দেশকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার শপথ নিই।' তিনি আরও বলেন, 'বিদেশি আক্রমণকারীরা হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানগুলি ধ্বংস করে মসজিদে পরিণত করে। এখন সেগুলো আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। যেমন এই ক্যালেন্ডারে বলা হয়েছে, সেকরমই এই মন্দিরগুলোর আসল নাম আমরা ফিরিয়ে দেব।'
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার ইমাম-ই-ঈদগাহ মৌলানা খালিদ রশিদ ফিরাঙ্গি মাহালি বলেন, 'এরা অকারণে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ নষ্ট করছে। এদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।' আলিগড়ে প্রাক্তন বিধায়ক জামির উল্লাহ খান বলেছেন, 'পাকিস্তানে হাফিজ মহম্মদ সৈয়দের সঙ্গে এদের কোনও পার্থক্য নেই। এরা শুধুই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভেদাভেদ করে দেশের ক্ষতি চায়।'
খবরটি ইংরাজিতে পড়ুন।