অ্যাপশহর

১৩ বছরের মুসলিম বালিকার কবরের জন্যে জমি দিলেন হিন্দু প্রতিবেশি

সংকটের মুহূর্তে মানুষই তো মানুষের পাশে এসে দাঁড়ান। তখন জাত, ধর্মের বিচার করলে চলে না। বরং ধ্রুত সত্যি হয়ে ওঠে একটাই আদর্শ... সবার উপরে মানুষ সত্য। জিন্দের এই হিন্দু পরিবার সেই আদর্শের পথেই চলল।

EiSamay.Com 7 Jul 2020, 12:22 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: অনন্য ভারত। একদিকে যখন দেখা যায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সামান্য কোনও বিষয়ে সংঘর্ষে বেঁধে যায়, তেমনই আবার এই দেশেরই বুকে দেখা যায় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। হরিয়ানার জিন্দ গ্রামের এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, মানব ধর্মের উপর কোনও ধর্ম নেই। মানুষের প্রতি মানুষের কর্তব্যই সর্বশ্রেষ্ঠ।
EiSamay.Com Hindu family of  Haryanas Jind village gives land to bury  13-year-old Muslim girl
মুসলিম বালিকার কবরের জন্যে জমি দিলেন হিন্দু প্রতিবেশি


সোমবার সকালে জিন্দ গ্রামের এক ১৩ বছরের বালিকার মৃত্যুতে সমস্যায় পড়েন তার পরিবারের মানুষ। তাঁদের কবরস্থানে জল জমে থাকায় শেষকৃত্যের কাজে বাধা পড়ছিল। এমন সংকটের মুহূর্তে এগিয়ে এল এক হিন্দু প্রতিবেশি। তাঁরাই কবর দেওয়ার জন্যে জমির ব্যবস্থা করে দিলেন। তবে এমন সমস্যা এই প্রথম নয়। গুলকানি গ্রামের বহু মুসলিম পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছেন। তাঁদের অভিযোগ, গত ১০ বছর ধরে আত্মীয়দের কবর দিতে গেলে বিপাকে পড়তে হয় মুসলিম গ্রামবাসীদের। বার বার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কোনও পদক্ষেপই করেননি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অথবা জেলা প্রশাসন। মেয়ের মৃত্যুর পর দুপুর পর্যন্ত তার দেহ কবর দিতে না পেরে অথৈ জলে পড়েছিল ওই মুসলিম পরিবারটি। অবশেষে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ালেন হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি। তাঁর উদ্যোগেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হল বালিকার।

টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাত্‍কারে মৃত বালিকার বাবা জোগিন্দর বলেন, ‘জেলা প্রশাসন আমাদের চাহিদা মেটাতে অক্ষম। কবরস্থান হিসেবে পরিষ্কার জায়গার দাবি বহুবার করেছি, কিন্তু কেউই আমাদের কথায় কান দেননি। আজ এক হিন্দু পরিবার এগিয়ে এসে কবরস্থানের কাছে একটুকরো জমি দিয়েছে আমাদের। উনি পেশায় কৃষক। টানেলের জল পেলে ওঁকে জমি চাষ করতে হয়। তবুও তিনি এগিয়ে এসে আমাকে সাহায্য করেছেন। বহু দিনের এই সমস্যা মেটাতে প্রশাসন ব্যর্থ হলেও আমাদের প্রতিবেশি পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এবার আমরা এই সমস্যার পাকাপাকি সমাধান চাই।’

গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান জয়দীপ সিং জানিয়েছেন, ‘গ্রামে মোট ১৬টি জাতের মানুষের বাস। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশেই থাকেন। অবিরাম বৃষ্টির কারণেই কবরস্থানে জল জমেছে। এই জল বের করার জন্যে আমি দু’জনকে কাজে নিয়োগ করেছি। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব যাতে গ্রামের মুসলিম বন্ধুদের ভবিষ্যতে এই নিয়ে কোনও সমস্যা না হয়।’

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল