অ্যাপশহর

চাঁদপুরের 'নিষিদ্ধ' ইলিশেই রসনাতৃপ্তি এপারের বাঙালির

মাছে-ভাতে বাঙালি। আর উপলক্ষ যদি কোনও পরব কিংবা উৎসব হয়, তবে তো পোয়াবারো। পাতে পান্তা ভাত থাকবে অথচ গরমাগরম মচমচে ইলিশ ভাজা থাকবে না, তা কী করে সম্ভব?

EiSamay.Com 15 Apr 2017, 10:09 pm
দেবাশিস মজুমদার, আগরতলা
EiSamay.Com hilsa the must have in bengali new year in tripura
চাঁদপুরের 'নিষিদ্ধ' ইলিশেই রসনাতৃপ্তি এপারের বাঙালির


মাছে-ভাতে বাঙালি। আর উপলক্ষ যদি কোনও পরব কিংবা উৎসব হয়, তবে তো পোয়াবারো। পাতে পান্তা ভাত থাকবে অথচ গরমাগরম মচমচে ইলিশ ভাজা থাকবে না, তা কী করে সম্ভব? আফটার অল পদ্মার ইলিশ বলে কথা! কিন্তু জল-মাছের রাজনীতির মারপ্যাঁচে গত কয়েক বছরে এই ট্র্যাডিশন যেন কোথাও হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিশেষ করে পদ্মার পূর্বপারে, এপার বাংলায়। তাই বলে উৎসবের দিনেও আইনের কাছে হারিয়ে যাবে কৃষ্টি কিংবা ধারাবাহিকতা? তা যে সম্ভব নয়, তা ফের একবার বুঝিয়ে দিয়ে গেল বাঙালির প্রথম পরব।

একমাত্র ব্রহ্মপুত্র ছাড়া উত্তর-পূর্বে আর বড় নদী বলতে কিছুই নেই। কিন্তু এই নদীতে যে ইলিশ পাওয়া যায় তাতে আসামের চাহিদা মেঠানোই দায়। তার উপর স্বাদে গন্ধে ও ততটা তুলনীয় নয়। ত্রিপুরার কোনো নদীতেই ইলিশ পাওয়া যায় না। ধারে কাছে নেই সমুদ্রও। ফলে ইলিশের জন্য এই অঞ্চলের মানুষের প্রধান ভরসা বাংলাদেশ। বিশেষ করে বাঙালির। কিন্তু ‘দিদি’ তিস্তার জল আটকে রেখেছেন বলে ‘ম্যাডাম’ পদ্মার ইলিশ দেবেন না। এমনটাই পণ করে রেখেছেন গত কয়েক বছর ধরে। আর রাজনীতির এই টানাপোড়েনের কারণে পকেট ফাঁকা হচ্ছে সাধারণের। এমনকি রাষ্ট্রেরও।

রপ্তানি নিষিদ্ধ হওয়ায় বন্দর হয়ে কোনো ইলিশ মাছ আসছে না আগরতলায়। তাই বলে পয়লা বৈশাখ ইলিশ শূন্য হবে তা কল্পনাও করতে পারেন না ত্রিপুরা-সহ বরাক উপত্যকার বাঙালিরা। তার ব্যতিক্রমও হলো না। বরং বাকি দিনগুলির তুলনায় বাংলা বছরের প্রথম দিনটিতে ইলিশের আধিক্য অনেকটা বেশিই দেখা গেছে বাজারে।

নিঃসন্দেহে বলা যায়, 'ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর' হলেও শেষ ঠিকানা অবশ্যই আগরতলা। কেননা চাঁদপুরের এই ইলিশে ছয়লাপ ছিলো এদিনের আগরতলার বাজার। আকারে এক কিলোর বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে দুই হাজার টাকায়। ৫০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১০০০-১২০০ টাকা কিলোয়। দামের বালাই না করে পয়লা বৈশাখের এই দিনটিতে পদ্মার ইলিশে রসনা তৃপ্ত করেছেন এ পাড়ের বাঙালিরা। মাঝখান থেকে আইনের মারপ্যাচে শুধু বঞ্চিত রয়ে গেলো দুই দেশেরই সরকার। কেননা বৈধ পথে না আসায় সরকারের কোষাগারে জমা পরেনি এক টাকাও!

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল