অ্যাপশহর

ধন্যি মেয়ে! পঙ্গু ছেলেকে বাড়ির অমতে বিয়ে, সঙ্গী পুলিশ

প্রেমিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত। এই কারণে বিয়ে নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছিল পাত্রীপক্ষ। অভিযোগ জানানো হয়েছিল পুলিশেও। কিন্তু শাশ্বত প্রেমের সামনে নতজানু হতে বাধ্য হল সামাজিক সংস্কার।

EiSamay.Com 28 Apr 2016, 6:00 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত। এই কারণে বিয়ে নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছিল পাত্রীপক্ষ। অভিযোগ জানানো হয়েছিল পুলিশেও। কিন্তু শাশ্বত প্রেমের সামনে নতজানু হতে বাধ্য হল সামাজিক সংস্কার।
EiSamay.Com heart touching love story of two malayalees
ধন্যি মেয়ে! পঙ্গু ছেলেকে বাড়ির অমতে বিয়ে, সঙ্গী পুলিশ


ছোটবেলা থেকেই কঠিন মাস্ক্যুলার ডিসট্রফি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে স্বাভাবিক হাঁটাচলায় ছেদ পড়েছিল ফোর্ট কোচিনের বাসিন্দা ডিক্সন ডি জেভিয়ারের। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কাছে তিনি হার মানতে চাননি। স্থানীয় রক্ষা স্পেশ্যাল স্কুলে সংগীতের শিক্ষক হিসেবে চাকরি নিয়েছিলেন এই যুবক। সেখানে প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা দিতে এসে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় চেরথালা কেভিএম স্পেশ্যাল স্কুলের শিক্ষিকা মিনু মোলের। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে পরস্পরের প্রেমে পড়েন ডিক্সন-মিনু।

মুশকিল বাধে যখন বাড়িতে সেই সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়। মিনুর আত্মীয়রা কিছুতেই এক পক্ষাঘাতগ্রস্ত যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিতে রাজি হননি। তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করেন, শারীরিক
অক্ষম যুবককে নিয়ে সারা জীবন তাঁকে হয়রান হতে হবে। তাঁরা অন্যত্র মিনুর বিয়ে ঠিক করেন।

বাডি়র লোকের যুক্তি অবশ্য মানতে চাননি মিনু। শেষ পর্যন্ত ডিক্সনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মিনুর বাবা-মা। অভিযুক্তের খোঁজে ডিক্সনের বাড়ি হানা দিয়ে হতবাক হয় পুলিশ। হুইলচেয়ার আশ্রিত যুবককে দেখে এবং তাঁর প্রতি মিনুর গভীর ভালোবাসার কথা জানতে পেরে উল্টে প্রেমিক যুগলকেই সমর্থন করে তারা। পুলিশ অফিসাররা মিনু-ডিক্সনের প্রেমের প্রশংসায় মুখর হয়ে ওঠেন।

চার বছর উথাল-পাথাল প্রেমপর্বের পর গত ২০ এপ্রিল বিবাহ বন্ধনে বাঁধা পড়েছেন যুগল। শারীরিক ও সামাজিক বাধা ঠেলে সরিয়ে মর্যাদা পেল পারস্পরিক আস্থা।

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল