পতঞ্জলির করোনা ওষুধ বিনামূল্যে রাজ্যবাসীকে দেবে হরিয়ানা সরকার
রামদেবের(Baba Ramdev) তৈরি বিতর্কিত করোনার ওষুধ করোনিল(patanjali coronil ) ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে হরিয়ানা সরকার! সংশ্লিষ্ট রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছে, বিনামূল্যে এই ওষুধটি দেওয়া হবে।
Ei Samay 26 May 2021, 12:13 pm
হাইলাইটস
- এ বার করোনা চিকিৎসায় রামদেবের তৈরি বিতর্কিত ওষুধ করোনিল ব্যবহার করবে হরিয়ানা সরকার!
- সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেমনই জানিয়েছেন।
- সোমবার হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ টুইটারে জানিয়েছেন, সে রাজ্যে এক লক্ষ করোনা রোগীকে বাবা রামদেবের তৈরি করোনিল ওষুধটি বিনামূল্যে দান করা হবে।
চণ্ডীগড়: এ বার করোনা চিকিৎসায় রামদেবের তৈরি বিতর্কিত ওষুধ করোনিল ব্যবহার করবে হরিয়ানা সরকার! সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেমনই জানিয়েছেন। সোমবার হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ টুইটারে জানিয়েছেন, সে রাজ্যে এক লক্ষ করোনা রোগীকে বাবা রামদেবের তৈরি করোনিল ওষুধটি বিনামূল্যে দান করা হবে। এবং এর খরচ অর্ধেক বহন করবে হরিয়ানা সরকার। আর অর্ধেক বহন করবে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি! এর পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বাবা রামদেব করোনিলকে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে দাবি করলেও কোনও বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা তাঁর দাবিকে স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকী, ভারতের আয়ুষ মন্ত্রকও পতঞ্জলির এই ওষুধটিকে করোনার ওষুধ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। রামদেবের তৈরি এই ওষুধের কোনও বিজ্ঞানসম্মত ট্রায়ালও হয়নি। করোনা চিকিৎসায় আদৌ এই ওষুধ উপকারে লাগে, এই ধরনের কোনও প্রমাণই এখনও মেলেনি। তাহলে এ হেন ওষুধ কেন মরণাপন্ন করোনা রোগীদের দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন উঠছে।
মাঝে পতঞ্জলি দাবি করে, এই আয়ুর্বেদিক ওষুধ খেলে করোনা সেরে যায়। তি নিয়ে দেশে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। চাপের মুখে রামদেব তখন বলেন, এই ওষুধ ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাতে বিতর্ক সামান্য কমে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের উপস্থিতিতে করোনার ওষুধ হিসেবে 'করোনিল' বাজারে আনেন রামদেব। তিনি দাবি করেন, এই ওষুধটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া প্যারামিটারে গবেষণা করে তৈরি। এবং ভারত সরকার এতে ছাড়পত্র দিয়েছেন। কিন্তু পরে ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক ও হু রামদেবের দাবি প্রত্যাখ্যান করে। করোনার ওষুধ বিক্রির মিথ্যা প্রচারের জন্য রামদেবের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। তাঁর সংস্থা পতঞ্জলিকে জরিমানাও করে মাদ্রাজ হাই কোর্ট। পরে করোনার ওষুধ হিসেবে নয়, করোনিলকে কেন্দ্র ছাড়পত্র দেয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বর্ধক ওষুধ হিসেবে। এখনও রোগ প্রতিরোধ বর্ধক হিসেবেই বিক্রি চলছে করোনিলের। হরিয়ানা সরকারের যুক্তি করোনা রোগীদের ইমিউনিটি বাড়াতেই বাবা রামদেবের এই ওষুধ উপহার দিচ্ছেন তাঁরা।
মাঝে পতঞ্জলি দাবি করে, এই আয়ুর্বেদিক ওষুধ খেলে করোনা সেরে যায়। তি নিয়ে দেশে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। চাপের মুখে রামদেব তখন বলেন, এই ওষুধ ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাতে বিতর্ক সামান্য কমে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের উপস্থিতিতে করোনার ওষুধ হিসেবে 'করোনিল' বাজারে আনেন রামদেব। তিনি দাবি করেন, এই ওষুধটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া প্যারামিটারে গবেষণা করে তৈরি। এবং ভারত সরকার এতে ছাড়পত্র দিয়েছেন। কিন্তু পরে ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রক ও হু রামদেবের দাবি প্রত্যাখ্যান করে। করোনার ওষুধ বিক্রির মিথ্যা প্রচারের জন্য রামদেবের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। তাঁর সংস্থা পতঞ্জলিকে জরিমানাও করে মাদ্রাজ হাই কোর্ট। পরে করোনার ওষুধ হিসেবে নয়, করোনিলকে কেন্দ্র ছাড়পত্র দেয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বর্ধক ওষুধ হিসেবে। এখনও রোগ প্রতিরোধ বর্ধক হিসেবেই বিক্রি চলছে করোনিলের। হরিয়ানা সরকারের যুক্তি করোনা রোগীদের ইমিউনিটি বাড়াতেই বাবা রামদেবের এই ওষুধ উপহার দিচ্ছেন তাঁরা।