অ্যাপশহর

কো-মর্বিডিটিতে গুরুত্ব গুজরাটেও

করোনা-আক্রান্তের মৃত্যু মানে কি সব ক্ষেত্রে করোনাতেই মৃত্যু? পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুরু থেকেই বলে এসেছে, না। অন্যান্য রোগভোগও আছে বহু মৃত্যুর নেপথ্যে, চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলে কো-মর্বিডিটি। দিল্লি নবান্নের এই যুক্তিতে লাগাতার প্রশ্ন তুললেও, এখন দেখা যাচ্ছে, বাংলার সুরে গলা মিলিয়ে বহু রাজ্য এই কো-মর্বিডিটি তত্ত্বেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে বিজেপি শাসিত রাজ্যও আছে।

EiSamay.Com 7 May 2020, 11:09 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা-আক্রান্তের মৃত্যু মানে কি সব ক্ষেত্রে করোনাতেই মৃত্যু? পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগে থেকেই বলে এসেছে, না। অন্যান্য রোগভোগও আছে বহু মৃত্যুর নেপথ্যে, চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলে কো-মর্বিডিটি। নয়াদিল্লি নবান্নের এই যুক্তিতে লাগাতার প্রশ্ন তুললেও, এখন দেখা যাচ্ছে, বাংলার সুরে গলা মিলিয়ে বহু রাজ্য এই কো-মর্বিডিটি তত্ত্বেই গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে বিজেপি শাসিত রাজ্যও আছে। এমনকী, খোদ কেন্দ্রীয় সরকারও কো-মর্বিডিটির বিষয়টিকে আর আগের মতো নস্যাৎ করতে পারছে না।
EiSamay.Com Gujarat is also giving importance to co-morbity like West Bengal
প্রতীকী ছবি।


অথচ, সেই কেন্দ্রই বাংলায় কোভিড-মৃতের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে না কো-মর্বিডিটি জনিত মৃত্যুকে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা যে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে, তাতে অভিযোগ, জনসংখ্যার নিরিখে অত্যন্ত কম সংখ্যায় টেস্ট হয়েছে বাংলায় এবং এ রাজ্যে মৃত্যুহার ১৩.২%, যা এখনও পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ। ঘটনা হল, মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৯৫টি (মোট ১৬৯৪) করোনা-মৃত্যুর তথ্য তুলে ধরতে গিয়ে নিজেদের ওয়েবসাইটে স্পষ্ট লিখে দিয়েছে যে, ৭০ শতাংশের বেশি মৃত্যুই হয়েছে কো-মর্বিডিটির কারণে। সেখানে স্বরাষ্ট্রসচিব কিন্তু তাঁর চিঠিতে কো-মর্বিডিটিজনিত মৃত্যুকে বাংলায় বাদ দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর প্রকাশিত বুলেটিনে অবশ্য দেখা যাচ্ছে, মোট ১৪৫৬ জন করোনা-আক্রান্তের মধ্যে এ যাবৎ মারা গিয়েছেন ১৪৪ জন। সেই হিসেবে, মৃত্যুহার এখন ১০ শতাংশেরও কম।

কংগ্রেস, বাম, বিজেপি--- সব শিবিরই কো-মর্বিডিটিতে করোনা আক্রান্তের মৃত্যু প্রসঙ্গে এত দিন বিঁধেছে রাজ্য সরকারকে। বিভিন্ন সময়ে নবান্ন এ সংক্রান্ত যে তথ্য তুলে ধরেছিল তাতে দেখা গিয়েছে, কোভিড পজিটিভ ব্যক্তিদের মধ্যে কখনও ৬৯%, কখনও বা ৭৩%, আবার কখনও ৭২% রোগী মারা আসলে মারা গিয়েছেন অন্যান্য কঠিন অসুখের জেরে। ঘটনাচক্রে তাঁদের করোনার সংক্রমণ ছিল ঠিকই। কিন্তু মৃত্যু ত্বরাণ্বিত হয়েছে মূলত কিডনির রোগ, হার্টের অসুখ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো কো-মর্বিডিটির জেরেই।

পরের খবর