অ্যাপশহর

চিনা দ্রব্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে দেশের সুরক্ষায়? উদ্বেগে কেন্দ্র

ডোকলাম ইস্যুতে ভারত-চিন সম্পর্কের অবনতির জেরে চিন থেকে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রের দ্রব্য আমদানির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার।

EiSamay.Com 16 Aug 2017, 1:23 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ডোকলাম ইস্যুতে ভারত-চিন সম্পর্কের অবনতির জেরে চিন থেকে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রের দ্রব্য আমদানির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। চিন থেকে বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিকস ও আইটি দ্রব্য আমদানি করে ভারত। কিন্তু চিন থেকে আসা সেই সব জিনিসপত্রের সাহায্যে বেজিং ভারতের ওপর নজরদারি চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে এবার এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
EiSamay.Com government reviews it imports from china
চিনা দ্রব্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে দেশের সুরক্ষায়? উদ্বেগে কেন্দ্র


চিন থেকে বছরে ২২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ইলেকট্রনিকস ও আইটি দ্রব্য আমদানি করে ভারত। চিন থেকে আসা এই বিপুল পরিমাণ তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রের দ্রব্য এখন মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেন্দ্রের। আমদানিকৃত এই সব জিনিসের মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোন, মেডিক্যাল ইকুইপমেন্টস, টেলিকম নেটওয়ার্ক গিয়ার, ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত ডিভাইস ও সেন্সর। এই সব ডিভাইসের বেশিরভাগই চিনের সার্ভারে ডেটা স্টোর করে। বেজিং যে বেআইনি ভাবে সেই সব তথ্য ব্যবহার করবে না, তার কোনও নিশ্চয়তা যে নেই তা মানছেন উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকরা। সে হিসেবে বলা যেতে পারে দেশের গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ভাণ্ডারের অনেকটাই উন্মুক্ত চিনের কাছে।

দেশের শিল্পমহল ও তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই বার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নিজেদের তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য দেশের প্রথম সারির কোম্পানিগুলি কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করেছেন তথ্য-প্রযুক্তি ও আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। চিন থেকে আমদানি কমিয়ে দেশেই এই জাতীয় দ্রব্য উত্‍পাদন বাড়ানোর ওপরেও নজর দেওয়া হচ্ছে।


খবরটি ইংরাজিতে পড়ুন।


# Government has started a review of the massive import of electronics and information technology products from China

# The scanner has been put due to concerns over security and data leakages

# The worth of Chinese products in India's IT and electronic industry is $22 billion

পরের খবর