এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: ডাক্তার দেখানোর আগে রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ভরার লাইনে দাঁড়িয়েই মৃত্যু হল ৯ বছরের এক শিশুকন্যার। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে পাটনার এইমস-এ। এখানেই শেষ নয়, অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে তারপরে সেই মৃতদেহ কাঁধে করে ৪ কিলোমিটার যেতে হল তার বাবাকে।
'চিকিত্সা শুরুর আগে ফর্ম ভরতে গিয়ে যদি কোনও রোগীর মৃত্যু হয়, তখন কী হবে?' বেশ কয়েক বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত 'মুন্নাভাই এমবিবিএস' ছবিতে এই প্রশ্ন করেছিলেন মুন্নাভাই-রূপী সঞ্জয় দত্ত। সিনেমায় এর ফলে হাসপাতালের ফর্ম ভরার কাজ পরে করা হলেও, বাস্তবে তা হয়নি। বিহারের প্রত্যন্ত কাজরা গ্রাম থেকে পাটনায় এইমস-এ ৬ দিন ধরে ধূম জ্বরে ভোগা ৯ বছরের মেয়েকে দেখাতে এনেছিলেন দিনমজুর রামবালাক। গুরুতর অসুস্থ হলেও তাকে আগে ঠেলে দেওয়া হয় ফর্ম ভরার লাইনে। জ্বরে বেঁহুশ মেয়েকে কোলে নিয়ে লাইনে দাঁড়ানো রামবালাক আগে একটু তাঁর মেয়েকে যাতে ডাক্তার দেখে যান, তার জন্য হাসপাতাল কর্মীদের কাছে কাকুতি মিনতি করতে থাকেন। কিন্তু লাভ কিছু হয় না। লম্বা লাইন ঠেলে কাউন্টারের কাছাকাছি যখন পৌঁছন তিনি, ততক্ষণে তাঁর কোলেউ মৃত্যু হয়েছে বাচ্চা মেয়েটির।
রামবালাকের দুঃস্বপ্ন এখানেই শেষ নয়। অ্যাম্বুলেন্স এমনকি একটা স্ট্রেচারও না পেয়ে মেয়ের মৃতদেহ কোলে নিয়েই চার কিলোমিটার পথ হেঁটে অটো স্ট্যান্ড আসেন রামবালাক ও তাঁর স্ত্রী। সেখান থেকে অটো রিক্সা ধরে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। এই ঘটনা তাঁর জানা ছিল না বলে দাবি করেছেন এইমস-এক ডিরেক্টর ডা: প্রভাত কুমার সিং। এই ঘটনার জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করেছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। বিহারে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন-কানুন সবই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
# She had high fever for six days before she was brought to Patna AIIMS
# The girl died while her father stood in a queue to get OPD card
# Allegedly denied a hearse van, he had to carry her body on his shoulder
'চিকিত্সা শুরুর আগে ফর্ম ভরতে গিয়ে যদি কোনও রোগীর মৃত্যু হয়, তখন কী হবে?' বেশ কয়েক বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত 'মুন্নাভাই এমবিবিএস' ছবিতে এই প্রশ্ন করেছিলেন মুন্নাভাই-রূপী সঞ্জয় দত্ত। সিনেমায় এর ফলে হাসপাতালের ফর্ম ভরার কাজ পরে করা হলেও, বাস্তবে তা হয়নি। বিহারের প্রত্যন্ত কাজরা গ্রাম থেকে পাটনায় এইমস-এ ৬ দিন ধরে ধূম জ্বরে ভোগা ৯ বছরের মেয়েকে দেখাতে এনেছিলেন দিনমজুর রামবালাক। গুরুতর অসুস্থ হলেও তাকে আগে ঠেলে দেওয়া হয় ফর্ম ভরার লাইনে। জ্বরে বেঁহুশ মেয়েকে কোলে নিয়ে লাইনে দাঁড়ানো রামবালাক আগে একটু তাঁর মেয়েকে যাতে ডাক্তার দেখে যান, তার জন্য হাসপাতাল কর্মীদের কাছে কাকুতি মিনতি করতে থাকেন। কিন্তু লাভ কিছু হয় না। লম্বা লাইন ঠেলে কাউন্টারের কাছাকাছি যখন পৌঁছন তিনি, ততক্ষণে তাঁর কোলেউ মৃত্যু হয়েছে বাচ্চা মেয়েটির।
রামবালাকের দুঃস্বপ্ন এখানেই শেষ নয়। অ্যাম্বুলেন্স এমনকি একটা স্ট্রেচারও না পেয়ে মেয়ের মৃতদেহ কোলে নিয়েই চার কিলোমিটার পথ হেঁটে অটো স্ট্যান্ড আসেন রামবালাক ও তাঁর স্ত্রী। সেখান থেকে অটো রিক্সা ধরে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। এই ঘটনা তাঁর জানা ছিল না বলে দাবি করেছেন এইমস-এক ডিরেক্টর ডা: প্রভাত কুমার সিং। এই ঘটনার জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করেছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব। বিহারে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন-কানুন সবই তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
# She had high fever for six days before she was brought to Patna AIIMS
# The girl died while her father stood in a queue to get OPD card
# Allegedly denied a hearse van, he had to carry her body on his shoulder