এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: এর থেকে লজ্জাজনক আর কী-ই বা হতে পারে। ইউনিফর্ম ভেজা থাকায় সাধারণ পোশাকে স্কুলে গিয়েছিল ক্লাস-ফাইভের ছাত্রীটি। ডায়েরিতে তা লিখেও দিয়েছিলেন অভিভাবক। কিন্তু তাতে কী। শিক্ষককে তো শাস্তি দিতে হবে! তবে এমন শাস্তি সত্যিই কুরুচিকর, লজ্জাজনক। ১১ বছরের মেয়েটিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হল পুরুষদের শৌচাগারে।
হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি স্কুলে ঘটেছে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা। মেয়েটির বয়ান রেকর্ড করেছেন তার বাবা। সেখানে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে ওই ছাত্রীকে বলতে দেখা গিয়েছে, 'দোতলায় যখন আমি ক্লাসে ঢুকছিলাম, তখন আমায় ধরে ফেলেন পিটি শিক্ষক। আমি বললাম, ডায়েরিতে সব লেখা রয়েছে। কিন্তু আমার কথা কেউ শুনলেনই না। তাঁরা আমায় ভয় দেখাতে লাগলেন। বয়ে আমি কিছু বলতে পারিনি। পিটি শিক্ষকের সঙ্গে ইংরাজি ও দশম শ্রেণির তেলুগু শিক্ষকও ছিলেন। কেন আমি সাধারণ পোশাক পরে এসেছি? বারবার এ কথা জিজ্ঞেস করতে থাকেন তাঁরা। এরপরই তাঁরা বলেন, চলো একে ছেলেদের শৌচাগারে দাঁড় করিয়ে রাখি। সব বাচ্চারা আমায় দেখছিল।'
প্রায় ৫ মিনিট পুরুষ-শৌচাগারে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় মেয়েটিকে। এরপর তাকে ক্লাসে পাঠানো হলে সোশ্যাল স্টাডিজের শিক্ষককে ডায়েরিটা দেখায় মেয়েটি। তাতে তার মা লিখে দিয়েছিলেন যে, ইউনিফর্ম শুকোয়নি। তাই সাধারণ পোশাক পরিয়ে মেয়েকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন।
বাড়ি ফেরার পর আতঙ্ক গ্রাস করেছে ছাত্রীটিকে। সে আর কিছুতেই স্কুলে যেতে চাইছে না। তার বাবা তাকে বুঝিয়ে বলেছেন যে, তিনি স্কুলে গিয়ে কথা বলে এসেছেন। আর কেউ তার সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করবে না। কিন্তু তাতে আশ্বস্ত হতে না-পেরে আতঙ্কের চোটে মেয়েটি বলছে, 'তুমি এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলে এসেছো। এ বার ওরা আমার আরও মারবে। হেনস্থা করবে। আমি আর কোনওদিন স্কুলে যাব না।'
শিশুদের প্রতি যৌন হেনস্থা রুখতে যে আইন রয়েছে, সেই পক্সো আইনের আওতায় এই ঘটনা পড়ে বলে দাবি শিশু অধিকার কর্মী অচ্যুতা রাওয়ের। এই নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশনে যাবেন তিনি। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
#An 11-year-old girl who studies in a private school in Hyderabad says she was sent to the boys' loo as punishment for not turning up in school uniform.
#In a video shot by the girl's father, the Class 5 student looks shaken as she describes to her father the sequence of events.
হায়দরাবাদের একটি বেসরকারি স্কুলে ঘটেছে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা। মেয়েটির বয়ান রেকর্ড করেছেন তার বাবা। সেখানে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে ওই ছাত্রীকে বলতে দেখা গিয়েছে, 'দোতলায় যখন আমি ক্লাসে ঢুকছিলাম, তখন আমায় ধরে ফেলেন পিটি শিক্ষক। আমি বললাম, ডায়েরিতে সব লেখা রয়েছে। কিন্তু আমার কথা কেউ শুনলেনই না। তাঁরা আমায় ভয় দেখাতে লাগলেন। বয়ে আমি কিছু বলতে পারিনি। পিটি শিক্ষকের সঙ্গে ইংরাজি ও দশম শ্রেণির তেলুগু শিক্ষকও ছিলেন। কেন আমি সাধারণ পোশাক পরে এসেছি? বারবার এ কথা জিজ্ঞেস করতে থাকেন তাঁরা। এরপরই তাঁরা বলেন, চলো একে ছেলেদের শৌচাগারে দাঁড় করিয়ে রাখি। সব বাচ্চারা আমায় দেখছিল।'
প্রায় ৫ মিনিট পুরুষ-শৌচাগারে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় মেয়েটিকে। এরপর তাকে ক্লাসে পাঠানো হলে সোশ্যাল স্টাডিজের শিক্ষককে ডায়েরিটা দেখায় মেয়েটি। তাতে তার মা লিখে দিয়েছিলেন যে, ইউনিফর্ম শুকোয়নি। তাই সাধারণ পোশাক পরিয়ে মেয়েকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন।
বাড়ি ফেরার পর আতঙ্ক গ্রাস করেছে ছাত্রীটিকে। সে আর কিছুতেই স্কুলে যেতে চাইছে না। তার বাবা তাকে বুঝিয়ে বলেছেন যে, তিনি স্কুলে গিয়ে কথা বলে এসেছেন। আর কেউ তার সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করবে না। কিন্তু তাতে আশ্বস্ত হতে না-পেরে আতঙ্কের চোটে মেয়েটি বলছে, 'তুমি এই বিষয়টা নিয়ে কথা বলে এসেছো। এ বার ওরা আমার আরও মারবে। হেনস্থা করবে। আমি আর কোনওদিন স্কুলে যাব না।'
শিশুদের প্রতি যৌন হেনস্থা রুখতে যে আইন রয়েছে, সেই পক্সো আইনের আওতায় এই ঘটনা পড়ে বলে দাবি শিশু অধিকার কর্মী অচ্যুতা রাওয়ের। এই নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশনে যাবেন তিনি। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
#An 11-year-old girl who studies in a private school in Hyderabad says she was sent to the boys' loo as punishment for not turning up in school uniform.
#In a video shot by the girl's father, the Class 5 student looks shaken as she describes to her father the sequence of events.