স্বামীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য গণধর্ষিতাকে ঘুরতে হল ১০০ কিমি পথ

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের বিদিশায় গণধর্ষিতা নিজের মৃত স্বামী দেহ নিয়ে ঘুরলেন ১০০ কিমি পথ। যিনি ধর্ষকদের প্রতিহত করতে গিয়ে খুন হন, তার দেহ নিয়ে দীপাবলির রাতে একের পর এক হাসপাতালের দোরে-দোরে ঘুরলেন নির্যাতিতা। কারণ হাসপাতালে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না, যিনি তাঁর মৃত স্বামীর করবেন তার ময়না তদন্ত।

বুধবার এই সময় ডিজিটালের পাতায় পড়েছেন এই ঘটনা। দীপাবলির রাতে বাড়িতে মদের আসর বসিয়েছিল নিহত যুবক। সঙ্গে ছিল তার দুই বন্ধু। মদের নেশায় যুবক যখন বেসামাল, তখনই অভিযুক্ত দুই সুনীল কুসওয়া এবং মনোজ আহিরওয়ার ধর্ষণ করে ওই যুবকের স্ত্রীকে বলে অভিযোগ। তাদের বাধা দিতে গেলে মনোজ তাকে পিছন থেকে মাথায় আঘাত করে খুন করে বলে অভিযোগ। ঘটনাটির একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী তাদের ১২ বছরের ছেলে। অন্য দুই সন্তান তখন ঘুমিয়ে পড়েছিল। ঘটনার তিন দিন কেটে গেলেও এখনও পুলিশ দুই অভিযুক্তের নাগাল পায়নি।

খবর পেয়ে দীপাবলির রাতেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এরপর নির্যাতিতাকে সঙ্গে নিয়ে ওই মৃতদেহটিকে একটি ট্রাকে তুলে পুলিশ ঘুরতে থাকে একের পর এক সরকারি হাসপাতাল। সিরোঞ্জ, লাটেরি, বাসোদা তিনটি হাসপাতালে একের পর এক যায় নির্যাতিতা তার মৃত স্বামীকে নিয়ে। কিন্তু কোথাওই দীপাবলির কারণে চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না। প্রথমে সকাল ৯ টা নাগাদ ৪৩ কিমি দূরে প্রথমে লাটেরি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যায় পুলিশের সঙ্গে নির্যাতিতা সেখানে চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে, তিনি যান সিরোঞ্জে, সেখানে দু ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসকের দেখা পাননি তিনি। এরপরই লাটেরি থেকে ফোন করা হয় পুলিশকে। জানানো হয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক এসেছেন। এরপর পুলিশ নির্যাতিতাকে সঙ্গে নিয়ে দেহ নিয়ে যায় লাটেরি। সেখানেই শেষ পর্যন্ত হয় ময়না তদন্ত। তখন ঘড়িতে বাড়ে সাড়ে পাঁচটা। আর এই দীর্ঘ সময় তাঁদের তিন নাবালক সন্তান বাড়িতে ছিল একা।

এরপর নির্যাতিতাকে লাটেরি থেকে ৮০ কিমি দূরে বসুধায় নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য। তার চোখে এবং শরীরের অন্য স্থানে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।
প্রতিবেদনটি ইংরেজিতে পড়তে ক্লিক করুন।