অ্যাপশহর

হাতে 'হোম কোয়ারান্টিনে'র স্ট্যাম্প! ট্রেন থেকে জোর করে নামানো হল চার পড়ুয়াকে

হাতে হোম কোয়ারান্টিনের স্ট্যাম্প থাকায় ট্রেনযাত্রীদের রোষের মুখে পড়লেন জার্মানি-ফেরত চার পড়ুয়া। পরে তাঁদের জোর করে ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। তবে, ওই পড়ুয়াদের শরীরের করোনার কোনও উপসর্গ মেলেনি।

EiSamay.Com 19 Mar 2020, 4:04 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই জার্মানি থেকে দেশে ফিরেছেন চার তথ্যপ্রযুক্তির পড়ুয়া। মুম্বই বিমানবন্দর থেকে বেড়িয়ে ট্রেন পথে গুজরাতে যাওয়ার কথা তাঁদের। সেই মত ট্রেনে উঠলেও যাত্রীদের চাপে তাঁদের পালগড় স্টেশনে নামিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ট্রেন সফরের সময় তাঁদের হাতে ছিল হোম কোয়ারান্টিনের স্ট্য়াম্প। আর সেই দেখেই সন্দেহ শুরু হয় যাত্রীদের। পরে যাত্রীরা ট্রেনের টিকিট পরীক্ষককে সব কথা বললে, তাঁদের স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের জেলা স্বাস্থ্য দফতরেও পরীক্ষা করানো হয়। করোনার উপসর্গ না পেলেও ট্রেন সফর বাতিল করে ভায়া রাস্তা দিয়ে গুজরাত যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্‍সকরা।
EiSamay.Com corona in india
রেল স্টেশনে চলছে থার্মাল স্ক্রিনিং


প্রসঙ্গত, ওই চারজন পড়ুয়া ফ্রাংকফুর্ট, এসান ও মুলহেমের ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। তাঁর জার্মানি থেকে প্রথমে মুম্বইয়ে নামেন। তাঁদের বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করা হয়। তবে চারজনকে হোম কোয়ারান্টিন স্ট্যাম্প দিয়ে ১৪ দিনে বাড়িতে আইসোলেশন করে রাখার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পশ্চিম রেলওয়ের মুখপাত্র। তিনি এও জানান, মুম্বই থেকে যে ট্রেন ধরে তাঁরা গুজরাতে যেতেন, তা সুরাত, ভদোদরা ও ভাবনগর স্টেশনে স্টপেজ ছিল।

পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরেই তাঁদের বলে দেওয়া হয়, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ফেস মাস্ক পড়ে থাকাটা আবশ্যিক। তবে সরকারি হাসপাতালে শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ না দেখা দেওয়ায় তেমন কোনও নির্দেশ ছিল না। তবে বাড়ি পোঁছে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ওই চার বিদেশ ফেরত পড়ুয়ারা।

ট্রেন সফর করার সময় ব্যাগে উড়ানের ট্যাগ দেখার পরই সন্দেহ হয় যাত্রীদের। তারপরই যাত্রীদের প্রশ্নবাণের সামনে পড়েন তাঁরা। জার্মানি থেকে যে তাঁরা পিরছেন, সে কথা বলতেই আসন্ন প্ল্যাটফর্মে ওই চারজনকে নেমে যেতে বলা হয়। তাঁরা এও বলেন, বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং হওয়ার পরই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আর এরজন্যই হোম কোয়ারান্টিনের পরামর্শ দিয়ে ওই স্ট্য়াম্প দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই কথা কেউ শোনার ছিল না সেখানে। শিক্ষিত হয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করার মতো অপরাধ করার মতো কথা শোনাতেও কেউ ছাড়েননি যাত্রীরা। এই নিয়ে ছাত্র ও যাত্রীদের মধ্যে বচসা হলে এক পড়ুয়া টিকিট পরীক্ষককে ডাকতে বলেন। তিনি এসে ট্রাফিক কন্ট্রোলে জরুরি ফোন করে পালগড় স্টেশনে ট্রেন থামাতে বলেন। পরে স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, তাঁদের শরীরে করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তবে সেইসব কথা শোনার ধৈর্য ছিল না যাত্রীদের।

খবরটি ইংরেজিতে পড়ুন....

পরের খবর

Nationসম্পর্কে আরও বিস্তারিত ও নতুন খবর জানতে ক্লিক করুন। সব ধরনের ব্রেকিং, আপডেট এবং বিশ্লেষণ সবার প্রথম বাংলায় পড়তে ক্লিক করুন Bengali Newsএই সময় ডিজিটাল