অ্যাপশহর

মাদক-যোগে করণ জোহরের নাম নিতে তাঁকে বাধ্য করা হয়েছিল! চাঞ্চল্যকর দাবি ক্ষিতিজের...

নার্কোটিকস কনট্রোল ব্যুরোর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন ক্ষিতিজ প্রসাদ। তাঁর দাবি, করণ জোহরের নামে মিথ্যে বয়ানে সই করতে তাঁকে নাকি বাধ্য করা হয়েছিল। ঠিক কী ঘটেছিল? জানুন বিস্তারিত...

EiSamay.Com 28 Sep 2020, 1:07 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: পরিচালক-প্রযোজক করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের প্রাক্তন কর্মী ক্ষিতিজ প্রসাদকে এনসিবি-র হেফাজতে রাখার অনুমতি দিয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি নার্কোটিকস কনট্রোল ব্যুরোর হেফাজতেই থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
EiSamay.Com kshitijformer production executive kshitij prasad tells court ncb asked him to implicate filmmaker karan johar
ক্ষিতিজ প্রসাদের চাঞ্চল্যকর দাবি


এবার সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শোনা যাচ্ছে ক্ষিতিজের আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডের অনুরোধে ম্যাজিস্ট্রেট ভি জে ডোংরে-র কাছে রেকর্ড হওয়া বয়ানে প্রসাদ এক গুরুতর অভিযোগ করেছেন। নার্কোটিকস কনট্রোল ব্যুরোর এক আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগে বলেন, অন্যান্য বহু আধিকারিকের সামনে সমীরকে বলেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে যদি তিনি লিখিত বয়ান দেন যে করণ জোহর বা সোমেল মিশ্র, রাখি অপূর্বা বা নীরজ অথবা রাহিল নিয়মিত মাদক সেবন করেন। করণ জোহরের পাশাপাশি এঁরা প্রত্যেকেই ধর্মা প্রোডাকশনের উচ্চ পদে কর্মরত। ক্ষিতিজ আদালতে দাঁড়িয়ে জানান, তিনি ওয়াংখেড়ের প্রস্তাবে রাজি হননি। অভিযোগের এখানেই শেষ নয়। ক্ষিতিজ আরও জানান, ওয়াংখেড়ে তাঁকে ভয় দেখিয়ে বলেন, তিনি যদি করণ জোহরদের নাম না নেন তাহলে তাঁকে উচিত শিক্ষা দেবেন। এরপর তাঁকে মাটিতে বসিয়ে মুখের কাছে বুট পরা পা নিয়ে এসে বলেন, এটাই নাকি ক্ষিতিজের জায়গা। এই সময়ে ঘরে উপস্থিত সবাই হাসাহাসি শুরু করেন। এই ঘটনায় ভীষণ ভাবে বিচলিত হয়ে পড়েছেন তিনি, রয়েছেন ট্রমায়। ক্ষিতিজকে যখন তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়, তখন নাকি একটি বয়ানে সই করার জন্যে তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। টানা ৫০ ঘন্টার জেরা, অপমান এবং অত্যাচার সহ্য করার পর একপ্রকার বাধ্য হয়ে এবং আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার তাগিদে সেই বয়ানে সই করেন তিনি। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র ক্ষিতিজ প্রসাদই নন, রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর ভাই শৌভিকের হয়েও মামলা লড়ছেন আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে।

মানেশিন্ডে ক্ষিতিজের জবানবন্দির প্রসঙ্গে টেনে এনে দাবি করেন, এর থেকেই স্পষ্ট এনসিবি যেভাবেই হোক এই মাদক চক্রের সঙ্গে করণ জোহর এবং ধর্মা প্রোডাকশনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের জড়ানোর চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুন: ‘আমি মাদক সেবন করি না, ক্ষিতিজের সঙ্গেও কোনও সম্পর্ক নেই’, খোলাখুলি করণ জোহর

অন্যদিকে এনসিবি-র তরফে সওয়াল করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটার অতুল সারপান্ডে। তাঁর আবেদনে সারপান্ডে বলেন আরও এক অভিযুক্ত অঙ্কুশ আরনেজা জানিয়েছেন সঙ্কেত পটেল নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমে ক্ষিতিজ প্রসাদের কাছে মাদক পৌঁছে দিতেন তিনি। এনসিবি-র জেরায় সঙ্কেত নাকি জানিয়েছেন মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে ১২ বার গাঁজা পৌঁছে দিয়েছেন ক্ষিতিজের কাছে। প্রসাদ অবশ্য সঙ্কেতকে চিনতে অস্বীকার করেছেন।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন

পরের খবর