এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষক বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বছরের শেষদিনে অশান্ত হয়ে উঠল রাজস্থানের শাহজাহানপুর অঞ্চল। সেখানে আন্দোলরত কয়েক'শো কৃষক দিল্লি যাওয়ার লক্ষ্যে জোর করে হরিয়ানায় ঢোকার চেষ্টা করলে, হরিয়ানা পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ফেললে, পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোড়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হরিয়ানা-রাজস্থান সীমানায় তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। হরিয়ানা পুলিশের এহেন মারমুখী আচরণে ক্ষোভ উগরে দেন কৃষকরা। যদিও পুলিশের সাফাই, মৃদু লাঠিচার্জ করতে হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজস্থানের আলওয়ার জেলার শাহজাহানপুর সীমানায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কয়েক'শো কৃষক। রাজস্থান ও হরিয়ানা থেকে সেখানে জড়ো হন কৃষকরা। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে কৃষকরা হরিয়ানা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লির দিকে রওনা দেওয়ার চেষ্টা করলে, পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে থাকে। বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে সেসময় বেধড়ক লাঠিচার্জ করারও অভিযোগ ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জয়পুর-দিল্লি ন্যাশনাল হাইওয়ের উপর হরিয়ানা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ট্রাক্টর দিয়ে ভেঙে দেন কয়েক জন কৃষক। এর পর আন্দোলনরত কৃষকরা সেই পথে হরিয়ানা হয়ে দিল্লি যাওয়ার চেষ্টা করলে, তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। প্রথমে জলকামান দিয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাতেও কাজ না হওয়ায় টিয়ার শেল ছুড়তে করে হরিয়ানা পুলিশ। তাতেও সামাল দিতে না পেরে, বিক্ষোভকারী কৃষকদের লাঠিপেটা করা হয়।
হরিয়ানা পুলিশের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে উপস্থিত কৃষক নেতারা বারবার দিল্লির দিকে এগোতে বারণ করছিলেন। কিন্তু, বিক্ষোভকারীদের একাংশ সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই এগোনোর চেষ্টা করে। ভিওয়াদির পুলিশ সুপার রামমূর্তি যোশী জানান, বিক্ষোভস্থলে খুব বেশি পুলিশ ছিল না। তাঁর দাবি, ২৫টি ট্রাক্টরে করে কয়েক জন ব্যারিকেড ভাঙলেও বাকি কৃষকেরা কিন্তু রাজস্থান সীমনাতেই ছিলেন। তিনি জানান, বিশৃঙ্খলার কারণেই পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে।
এদিকে বুধবারকেন্দ্র-কৃষক বৈঠকে দু'টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়। জট কাটাতে ৪ জানুয়ারি ফের বৈঠক রয়েছে। তাঁদের যে চারটি প্রস্তাব ছিল, তার মধ্যে দু'টি বিষয়ে দু'পক্ষ ঐকমত্য হয়েছে। বলা ভালো, কেন্দ্র তা মেনে নিয়েছে। কিন্তু, মূল যে দু'টি দাবি, যার জন্য এত কষ্ট উপেক্ষা করে কৃষকরা একমাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, সেই দু'টি বিষয় নিয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনা হল না। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ও কৃষি আইন বাতিলের বিষয়টি এজেন্ডায় রাখতে বলা হলেও কেন্দ্র তা সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছে। কৃষক নেতারাও তা বুঝেছেন। তার পরেও ৪ জানুয়ারি, পরবর্তী আলোচনায় বসতে তাঁরা রাজি হয়েছেন। এদিন কৃষকদের দু'টি প্রস্তাবে কেন্দ্রের তরফে ইতিবাচক সাড়া মিললেও তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন প্রত্যাহারের প্রশ্নই নেই। বৈঠকে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না হলেও সূত্রের খবর, দীর্ঘ প্রক্রিয়ার 'যুক্তি' দেখিয়ে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
আরও পড়ুন: বড়দিনে ৬ রাজ্যের কৃষকের সঙ্গে বৈঠকে মোদী! দেবেন ১৮,০০০ কোটি টাকাও
আরও পড়ুন: কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেই কি নয়া কৃষি আইন? আরটিআইয়ে কী বেরিয়ে এল...
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।
কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজস্থানের আলওয়ার জেলার শাহজাহানপুর সীমানায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কয়েক'শো কৃষক। রাজস্থান ও হরিয়ানা থেকে সেখানে জড়ো হন কৃষকরা। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে কৃষকরা হরিয়ানা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লির দিকে রওনা দেওয়ার চেষ্টা করলে, পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে থাকে। বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে সেসময় বেধড়ক লাঠিচার্জ করারও অভিযোগ ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জয়পুর-দিল্লি ন্যাশনাল হাইওয়ের উপর হরিয়ানা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ট্রাক্টর দিয়ে ভেঙে দেন কয়েক জন কৃষক। এর পর আন্দোলনরত কৃষকরা সেই পথে হরিয়ানা হয়ে দিল্লি যাওয়ার চেষ্টা করলে, তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়। প্রথমে জলকামান দিয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাতেও কাজ না হওয়ায় টিয়ার শেল ছুড়তে করে হরিয়ানা পুলিশ। তাতেও সামাল দিতে না পেরে, বিক্ষোভকারী কৃষকদের লাঠিপেটা করা হয়।
হরিয়ানা পুলিশের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে উপস্থিত কৃষক নেতারা বারবার দিল্লির দিকে এগোতে বারণ করছিলেন। কিন্তু, বিক্ষোভকারীদের একাংশ সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই এগোনোর চেষ্টা করে। ভিওয়াদির পুলিশ সুপার রামমূর্তি যোশী জানান, বিক্ষোভস্থলে খুব বেশি পুলিশ ছিল না। তাঁর দাবি, ২৫টি ট্রাক্টরে করে কয়েক জন ব্যারিকেড ভাঙলেও বাকি কৃষকেরা কিন্তু রাজস্থান সীমনাতেই ছিলেন। তিনি জানান, বিশৃঙ্খলার কারণেই পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে।
এদিকে বুধবারকেন্দ্র-কৃষক বৈঠকে দু'টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়। জট কাটাতে ৪ জানুয়ারি ফের বৈঠক রয়েছে। তাঁদের যে চারটি প্রস্তাব ছিল, তার মধ্যে দু'টি বিষয়ে দু'পক্ষ ঐকমত্য হয়েছে। বলা ভালো, কেন্দ্র তা মেনে নিয়েছে। কিন্তু, মূল যে দু'টি দাবি, যার জন্য এত কষ্ট উপেক্ষা করে কৃষকরা একমাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, সেই দু'টি বিষয় নিয়ে বিন্দুমাত্র আলোচনা হল না। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ও কৃষি আইন বাতিলের বিষয়টি এজেন্ডায় রাখতে বলা হলেও কেন্দ্র তা সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়েছে। কৃষক নেতারাও তা বুঝেছেন। তার পরেও ৪ জানুয়ারি, পরবর্তী আলোচনায় বসতে তাঁরা রাজি হয়েছেন। এদিন কৃষকদের দু'টি প্রস্তাবে কেন্দ্রের তরফে ইতিবাচক সাড়া মিললেও তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন প্রত্যাহারের প্রশ্নই নেই। বৈঠকে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না হলেও সূত্রের খবর, দীর্ঘ প্রক্রিয়ার 'যুক্তি' দেখিয়ে তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
আরও পড়ুন: বড়দিনে ৬ রাজ্যের কৃষকের সঙ্গে বৈঠকে মোদী! দেবেন ১৮,০০০ কোটি টাকাও
আরও পড়ুন: কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করেই কি নয়া কৃষি আইন? আরটিআইয়ে কী বেরিয়ে এল...
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।