অ্যাপশহর

কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগে মোদী-শাহ-রাজনাথ বৈঠকে

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই কৃষক নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠক। সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব কৃষকদের কাছে পেশ করা হতে পারে। তার আগে কয়েক জন মন্ত্রীকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

EiSamay.Com 5 Dec 2020, 2:50 pm
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও উপস্থিত রয়েছেন এই বৈঠকে। আছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও।
EiSamay.Com farmers protest
জরুরি বৈঠকে মন্ত্রিসভা


সূত্রের খবর, কৃষক নেতাদের সামনে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মূলত তা নিয়েই বিশদ আলোচনা হবে। কৃষক নেতাদের সঙ্গে এই নিয়ে পঞ্চম বার বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্রে। এর মধ্যে চলতি ডিসেম্বরেই তৃতীয় বার বৈঠক হতে চলেছে। দু-পক্ষের অনড় অবস্থানে এখনও পর্যন্ত কোনও রফাসূত্র বেরোয়নি।

তার পরেও আলোচনা চালিয়ে যেতে দু'পক্ষই রাজি আছে। তবে, কৃষক নেতাদের অভিযোগ, তাঁদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু, এই কৌশল কাজে দেবে না। তাঁরা সতর্ক রয়েছেন। চাপের মুখেও নিজেদের দাবি থেকে পিছু হটেননি কৃষকরা। নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেই তাঁরা ঘোষণা করেছেন। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে, বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনের সমর্থনও পাচ্ছেন কৃষকরা। দিল্লি গুরুদ্বার কমিটি থেকে আন্দোলনকারীদের জন্য তিন বেলা খাবারও পাঠানো হচ্ছে। এমতবস্থায় সরকার ফের অনমনীয় মনোভাব দেখায়, নাকি কৃষকদের দাবি মেনে নেয়-- সে দিকে আজ নজর থাকবে সবমহলের।

শনিবার বেলাতেই এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন মোদীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বৈঠকে নেতৃত্ব দেন অমিত শাহ ও রাজনাথ সিং। আগের বৈঠকগুলিতে কৃষক নেতারা যে বিষয়গুলি উত্থাপন করেছেন, কী ভাবে সেগুলি বিহিত করা যায়, তা নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়। এই প্রথম বার কৃষি আইনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া জটিলতায় মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসতে হল নরেন্দ্র মোদীকে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনে বাংলার ৭৬ লক্ষ কৃষকের সমর্থন রয়েছে, দাবি মুকুল রায়ের

শনিবার কৃষকদের এই বৈঠক ১০ দিনে পড়ল। আন্দোলনের জেরে দিল্লি-হরিয়ানা, দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সামাল দিতে সীমানা আটকে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। যার জেরে জরুরি পণ্যের ট্রাকও রাজধানী শহরে ঢুকতে পারছে না। দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রার কথায়, দিল্লিবাসীর 'পণবন্দি' অবস্থা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কৃষক বিক্ষোভের জেরে দিল্লির 'পণবন্দি' অবস্থা, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি কপিল মিশ্রার

এদিকে, কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বিরোধী কৃষকদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশে পঞ্জাবের তিন কিংবদন্তি বক্সার সরকারি পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁরা হলেন ১৯৮২ এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ী কৌর সিং, ৫টি অলম্পিকের মুখ্য কোচ গুরবক্স সিং সান্ধু ও ১৯৮৬ এশিয়ান গেমসের পদকজয়ী জয়পাল সিং। কৌর পদ্মশ্রী, জয়পাল অর্জুন এবং গুরবক্সকে অর্জুন পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষিত বিবেচনা করে তাঁরা তিন জনেই রাষ্ট্রের দেওয়া এই স্বীকৃতি ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছেন।
সান্ধুর কথায়, 'কৃষকরা নিজেদের ভালোমন্দের তোয়াক্কা না করে, এই তীব্র ঠান্ডায় বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের এই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশের এটাই সময়।'

তিনি বলেন, 'মনের উপর থেকে একটা চাপ এতদিনে যেন হালকা হল। আমি নিজেও যে কৃষক পরিবার থেকে উঠে এসেছি। কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের আলোচনায় শেষপর্যন্ত রফাসূত্রে না মিললে, পুরস্কার ফিরিয়ে দেবো।' দু-দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ভারতীয় পুরুষ হকিদলের কোচ ছিলেন। পরে মহিলা বক্সারদেরও গাইড করেছেন।

একই কারণে ভারতীয় হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক পরগত সিংও পদ্মশ্রী পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। ১৯৯৮ সালে তাঁর অনবদ্য পারফরম্যান্সের কারণে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছিল। দু-বারের অলিম্পিয়ান, বর্তমানে জলন্ধর ক্যান্টনমেন্টের এই কংগ্রেস বিধায়ক ৭ ডিসেম্বর পুরস্কার ফিরিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন

পরের খবর