অ্যাপশহর

কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদে এনডিএ ছাড়ল বিজেপি শরিক রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি

কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের সূত্র ধরে ঘর ভাঙছে বিজেপির। জোটের পুরনো শরিক আকালি দল কয়েক মাস আগেই বেরিয়ে গিয়েছে। এ বার সঙ্গ ছাড়ল হনুমান বেনিওয়ালের নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি।

EiSamay.Com 27 Dec 2020, 5:18 am
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কৃষকদের দাবি পূরণ না হলে, বিজেপি'র সঙ্গে সম্পর্ক ছেদের হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি। কেন্দ্রের অনমনীয় মনোভাবে হতাশ হয়ে এনডিএ ছেড়ে শনিবার বেরিয়ে গেল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিবাদেই যে রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি এনডিএ ছাড়ল, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপির এই শরিক। রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির প্রধান হনুমান বেনিওয়াল শনিবার নিজেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
EiSamay.Com Farmer protest
দল নিয়ে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ হনুমান বেনিওয়ালের।


একই দিনে লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ হরিন্দর সিং খালসাও (Harinder Singh Khalsa resigned) ইস্তফা দিয়ে বিজেপি'র সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। কারণ হিসেবে জানান, আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা যে 'অসংবেদনশীল' আচরণ করছেন, তা মন থেকে তিনি মেনে নিতে পারছেন না। তাই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতেই তিনি ইস্ততা দিয়েছেন। হরিন্দর সিং খালসা বলেন, 'কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে পরিবার-বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কৃষকরা আজ রাস্তায় নেমে এসেছেন। এই ঠান্ডায় খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন। কেন্দ্র তবু নির্বিকার। কৃষকদের প্রতি কেন্দ্রের এই অসংবেদশীলতা তাঁকে ব্যথিত করেছে। তাই বিজেপি থেকে ইস্তফা দিলেন।' আম আদমি পার্টির প্রতীকে ফতেহগঢ় সাহিব থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন খালসা। আপ তাঁকে সাসপেন্ড করলে, তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।

এনডিএ'র শরিকরা একে একে জোট ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ায়, এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করে শরদ পাওয়ারের এনসিপি। কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তপসে দেগে এনসিপি জানায়, 'এনডিএ খুব শিগগিরি ধুলো খাবে।' বিজেপির শরিক রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি এনডিএ ছাড়ার পরেই এই মন্তব্য করেন এনসিপির মুখপাত্র মহেশ তোপে। বিজেপির পুরনো সহযোগী, এনডিএ'র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আকালি দল কৃষি আইন ইস্যুতে কয়েক মাস আগেই বেরিয়ে গিয়েছে। বিজেপিকে কটাক্ষ করে মহেশ তপসে বলেন, 'কেন্দ্রের কৃষি আইনগুলি স্বভাবে কঠোর। একে একে এনডিএর শরিকরা ছেড়ে যাবে।'

কেন্দ্রের নয়া তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ২৭ নভেম্বর প্রথম সিংঘু সীমানায় বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা। ক্রমে অন্যান্য রাজ্য থেকেও কৃষকরা শামিল হন। এই মুহূর্তে দিল্লির একাধিক সীমানায় আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের একমাস পূর্ণ হলেও কৃষি আইন নিয়ে জট কাটেনি। ইতিমধ্যে পাঁচ বার কৃষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে ফেলেছে কেন্দ্র। কিন্তু, কোনও রফাসূত্র বেরোয়নি। সরকারের অনমনীয় মনোভাব বজায় রেখে অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, আইন বাতিল কোনও সমাধান নয়। এর পর কেন্দ্রের তরফে সাতটির বেশি সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়া হলেও কৃষকরা তা মানেননি। আইন বাতিলের দাবিতে অবিচল থাকেন। এমতবস্থায় ২৯ ডিসেম্বর ফের বৈঠকের দিন ঠিক হয়েছে। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকৈত জানান, তিনটি আইন বাতিলের পাশাপাশি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) এজেন্ডায় রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: farmers protest: কৃষক নেতা রাকেশ টিকৈতকে ফোনে প্রাণনাশের হুমকি, এফআইআর গাজিয়াবাদে

এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড।জাস্ট এখানে ক্লিক করুন

পরের খবর