এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই উত্সবের মরশুম। সেই সঙ্গে রয়েছে শীতের হাতছানি। এই দুইয়ের যুগলবন্দিতে বাড়বে শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণ যা সারতে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। একই সঙ্গে বায়ু দূষণ বাড়লে, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও হুহু করে বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এমনটিই জানিয়েছেন নয়া দিল্লি AIIMS-এর ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর বক্তব্য, শীতের মরশুমে বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত শীতকালে বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়ে। চিন এবং ইতালিতে করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে সব জায়গায় PM 2.5 লেভেলে সামান্য তারতম্য হয়েছে সেখানেই ৮ থেকে ৯ শতাংশ বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
ডা. গুলেরিয়া জানান, ‘বায়ু দূষণ ফুসফুস ইনফ্লামেশনের জন্যে দায়ী। আবার SARS-COV-2 ও প্রধাণত ফুসফুসেই সংক্রমণ ঘটায় এবং দেখা দেয় ইনফ্লামেশন। ফলে এই শীতের মরশুমে সংক্রমণ বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বিশেষ করে ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে, যেখানে এমনিই বায়ু দূষণের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকে।’
প্রসঙ্গত, ২২ সেপ্টেম্বর The Lancet পত্রিকায় একটি নতুন গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে চিন এবং ইউরোপে কোভিড লকডাউনের জন্যে বায়ু দূষণে যে পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে, তার তাত্ক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদি ফল কী হতে পারে মানব দেহে। এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধারাবাহিকভাবে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার কাজ চালিয়ে গেলে মৃত্যু সংখ্যা শুধুমাত্র এই প্যানডেমিক কালে কমানো সম্ভব হবে তা নয়, ভবিষ্যতেও শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত যে কোনও সংক্রমণের ক্ষেত্রেও প্যানডেমিক আটকানো যাবে। যে সব মানুষ লাগাতার বায়ু দূষণের মধ্যে বাস করেন তাঁদের ফুসফুস সংক্রান্ত নানা সমস্যা আগে থেকেই থাকে। সেই সঙ্গে কোনও সংক্রমণ শরীরে বাসা বাঁধলে বেড়ে যায় মৃত্যুর সম্ভাবনা।
ডা গুলেরিয়া আরও জানান, অতীত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সাধারণত ভারতে দুটি সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ দেখা যায়---বর্ষাকালে এবং শীতকালে। কোভিড-১৯-এর লক্ষণও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই।
আরও পড়ুন: 'করোনার বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ লড়াইয়ে জিতবে দেশবাসী', কোভিড-ক্যাম্পেনের সূচনা মোদীর
ধাপে ধাপে ভারতে লকডাউন উঠলেও, করোনাবিধিতে কোনও পরিবর্তন আসেনি। মানুষকে বার বার সচেতন করা হচ্ছে সব বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্যে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মাস্কের ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হ্যান্ড হাইজিন মেনে চলা। মানুষকে সচেতনতার পাঠ দিতে বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে একটি ক্যাম্পেনেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এমনটিই জানিয়েছেন নয়া দিল্লি AIIMS-এর ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া। তাঁর বক্তব্য, শীতের মরশুমে বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত শীতকালে বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়ে। চিন এবং ইতালিতে করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে সব জায়গায় PM 2.5 লেভেলে সামান্য তারতম্য হয়েছে সেখানেই ৮ থেকে ৯ শতাংশ বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
ডা. গুলেরিয়া জানান, ‘বায়ু দূষণ ফুসফুস ইনফ্লামেশনের জন্যে দায়ী। আবার SARS-COV-2 ও প্রধাণত ফুসফুসেই সংক্রমণ ঘটায় এবং দেখা দেয় ইনফ্লামেশন। ফলে এই শীতের মরশুমে সংক্রমণ বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বিশেষ করে ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে, যেখানে এমনিই বায়ু দূষণের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকে।’
প্রসঙ্গত, ২২ সেপ্টেম্বর The Lancet পত্রিকায় একটি নতুন গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে চিন এবং ইউরোপে কোভিড লকডাউনের জন্যে বায়ু দূষণে যে পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে, তার তাত্ক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদি ফল কী হতে পারে মানব দেহে। এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ধারাবাহিকভাবে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার কাজ চালিয়ে গেলে মৃত্যু সংখ্যা শুধুমাত্র এই প্যানডেমিক কালে কমানো সম্ভব হবে তা নয়, ভবিষ্যতেও শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত যে কোনও সংক্রমণের ক্ষেত্রেও প্যানডেমিক আটকানো যাবে। যে সব মানুষ লাগাতার বায়ু দূষণের মধ্যে বাস করেন তাঁদের ফুসফুস সংক্রান্ত নানা সমস্যা আগে থেকেই থাকে। সেই সঙ্গে কোনও সংক্রমণ শরীরে বাসা বাঁধলে বেড়ে যায় মৃত্যুর সম্ভাবনা।
ডা গুলেরিয়া আরও জানান, অতীত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সাধারণত ভারতে দুটি সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগ দেখা যায়---বর্ষাকালে এবং শীতকালে। কোভিড-১৯-এর লক্ষণও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই।
আরও পড়ুন: 'করোনার বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ লড়াইয়ে জিতবে দেশবাসী', কোভিড-ক্যাম্পেনের সূচনা মোদীর
ধাপে ধাপে ভারতে লকডাউন উঠলেও, করোনাবিধিতে কোনও পরিবর্তন আসেনি। মানুষকে বার বার সচেতন করা হচ্ছে সব বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্যে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মাস্কের ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হ্যান্ড হাইজিন মেনে চলা। মানুষকে সচেতনতার পাঠ দিতে বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে একটি ক্যাম্পেনেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।
এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড। জাস্ট এখানে ক্লিক করুন।