এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কোথাও দশেরা, কোথাও আবার তাই পরিচিত দশহরা নামে, কেউ বলেন দশাইন। আবার বাঙালির কাছে তাই বিজয়াদশমী। আসলে দশেরা হল, দেবীপক্ষের দশম দিন বা নবরাত্রির দশম দিন। যে আসলে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এই বিশেষ দিনটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে রয়েছে ১০ সংখ্যাটি। সেইসঙ্গে অবশ্যই ‘বিজয়’-এর প্রসঙ্গও জড়িত। এই দিন লঙ্কায় দশানন রাবণকে হারিয়ে রাম যুদ্ধ জয় করে সীতা উদ্ধার করেছিলেন। স্থানীয় ভাষায় দশহরা শব্দের অর্থও তা-ই। দশ মানে দশানন রাবণ, আর হরা মানে হার।
শাস্ত্রজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সংস্কৃত ‘দশ’ শব্দের অর্থ সূর্যের অনুপস্থিতি এবং ‘হর’ শব্দটির অর্থ ‘পরাজয়’। লঙ্কাধিপতি রাবণের সাম্রাজ্যের সূর্যাস্তকে বোঝাতে দশহরা বা দশেরা বলা হয়। একই সঙ্গে ‘বিজয়া দশমী’ দুর্গার হাতে মহিষাসুরের পরাভবকেও ব্যক্ত করে। মহিষাসুরই হোক বা রাবণ-- এই দিনটি আসলে অশুভ শক্তির পরাজয়কে মনে করায়।
উমা ভারতীর ভাইপোর বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কা বাইকে, মৃত ২
দশহরা শব্দটি এসেছে সংস্কৃত থেকেও। দশ + অহ = দশারহ = দশহরা। ‘অহ’ শব্দের অর্থ দিন। ৯ রাত্রি ১০ দিন ধরে অবিরাম লড়াইয়ের পর দুর্গা দশম দিনে মহিষাসুরকে বধ করেন। সুতরাং এই দিন দেবীর জয়ের দিন। সে জয় ভারতবাসী উদ্যাপন করেন দেবী দুর্গার পুজো করে।
এই দিনে অশুভের বিরুদ্ধে শুভশক্তির সংগ্রাম দশম দিবসে পূর্ণতা পায় বলেই মনে করা হয়। খুঁটিয়ে দেখতে বসলে বোঝা যায়, কৃষিপ্রধান দেশ ভারতে এই ১০ দিন ব্যাপী উৎসবটি ছিল একটি বিশেষ ফসলকে ঘিরে। সেই ফসলটি হল ধান।
১০ হাজার কর্মী ছাঁটতে চলেছে HSBC, অক্টোবরের শেষেই ঘোষণা
দার্শনিক দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘লোকায়ত দর্শন’ গ্রন্থে দেখিয়েছেন, ব্রীহিধান্য নামের এক ফসলকে ঘিরেই অনুষ্ঠিত হত শারদোৎসব। প্রকৃতি উপাসক আদিম কৌমভিত্তিক মানুষ প্রাকৃতিক শক্তির মধ্যেই খুঁজে পেত শুভ এবং অশুভকে। বেঁচে থাকার সব থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ অন্নকে ঘরে তোলার সময়ে যাবতীয় অশুভ শক্তির বিনাশ চাইত সে। তাই কি এই দিনটির সঙ্গে যুক্ত হয় মহিষাসুর বধ বা রাবণ বধের কাহিনি?
সাংস্কৃতিক নৃতত্ত্বকে অনুসরণ করলে দেখা যাবে, বছরের প্রধানতম ফসলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে সম্বৎসরের আশা-আকাঙ্ক্ষা। নবরাত্রি অথবা চারদিনের দুর্গোৎসব এই আকাঙ্ক্ষারই রূপায়ণ ঘটায় নববস্ত্রে, উদ্যাপনে।
সুইস ব্যাংকের গোপন অ্যাকাউন্টের হদিশ কেন্দ্রের হাতে
ভারতীয় আধ্যাত্মভাবনাতেও বিশেষ তাৎপর্য বহন করে এই দিনটি। রাবণ কৃত অসৎ কর্মগুলিকে অগ্নিতে নিক্ষেপ করতেই যেন প্রতীকী রাবণ-দহন পালিত হয় এদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। অহঙ্কার এবং দর্পের প্রতিমূর্তি রাবণকে সংহার করে এক বিনম্র জীবনকে বেছে নেওয়ার কথাও বলে দশেরা উৎসব।
কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও পশ্চিম বিহারে নবরাত্রির প্রথম দিনে মাটির টবে বার্লির বীজ পুঁতে দেওয়া হয়। বীজ থেকে যে অঙ্কুর বেরোয়, নয় রাত্রির পর দশম দিনে পুরুষেরা তা তাঁদের টুপিতে পরেন বা কানের পিছনে লাগিয়ে রাখেন। এই অঙ্কুরকে সৌভাগ্যের প্রতীক ভাবা হয়। গোটা উত্তর ভারত ও মহারাষ্ট্রের একাংশে রামের সম্মানে দশেরা পালন করা হয়। রামের বিজয়ের দিনটি এঁরা পালন করেন রাবণ পুড়িয়ে।
হিমাচলের কুলু দশেরার কথা আলাদা করে উল্লেখ করতে হয়। কুলু শহরের ঢোলপুর ময়দানে যে মেলা বসে তাতে দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা ভিড় জামান। মহীশূরে দশেরা উদ্যাপন হয় মহিষাসুরমর্দিনীর বিজয়কে স্মরণ করে। এখানকার দশেরা মিছিলের খ্যাতি জগৎ জোড়া। দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য সর্বত্রই বিজয়াদশমী পালিত হয়। তবে প্রতিটি জায়গাতেই সেখানকার অনুষ্ঠানের স্থানীয় ব্যাখ্যা রয়েছে।
রাবণকে জ্বালিয়ে আজ সন্ধ্যায় দেশজুড়ে পালিত হবে দশেরা উৎসব।
শাস্ত্রজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সংস্কৃত ‘দশ’ শব্দের অর্থ সূর্যের অনুপস্থিতি এবং ‘হর’ শব্দটির অর্থ ‘পরাজয়’। লঙ্কাধিপতি রাবণের সাম্রাজ্যের সূর্যাস্তকে বোঝাতে দশহরা বা দশেরা বলা হয়। একই সঙ্গে ‘বিজয়া দশমী’ দুর্গার হাতে মহিষাসুরের পরাভবকেও ব্যক্ত করে। মহিষাসুরই হোক বা রাবণ-- এই দিনটি আসলে অশুভ শক্তির পরাজয়কে মনে করায়।
উমা ভারতীর ভাইপোর বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কা বাইকে, মৃত ২
দশহরা শব্দটি এসেছে সংস্কৃত থেকেও। দশ + অহ = দশারহ = দশহরা। ‘অহ’ শব্দের অর্থ দিন। ৯ রাত্রি ১০ দিন ধরে অবিরাম লড়াইয়ের পর দুর্গা দশম দিনে মহিষাসুরকে বধ করেন। সুতরাং এই দিন দেবীর জয়ের দিন। সে জয় ভারতবাসী উদ্যাপন করেন দেবী দুর্গার পুজো করে।
এই দিনে অশুভের বিরুদ্ধে শুভশক্তির সংগ্রাম দশম দিবসে পূর্ণতা পায় বলেই মনে করা হয়। খুঁটিয়ে দেখতে বসলে বোঝা যায়, কৃষিপ্রধান দেশ ভারতে এই ১০ দিন ব্যাপী উৎসবটি ছিল একটি বিশেষ ফসলকে ঘিরে। সেই ফসলটি হল ধান।
১০ হাজার কর্মী ছাঁটতে চলেছে HSBC, অক্টোবরের শেষেই ঘোষণা
দার্শনিক দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘লোকায়ত দর্শন’ গ্রন্থে দেখিয়েছেন, ব্রীহিধান্য নামের এক ফসলকে ঘিরেই অনুষ্ঠিত হত শারদোৎসব। প্রকৃতি উপাসক আদিম কৌমভিত্তিক মানুষ প্রাকৃতিক শক্তির মধ্যেই খুঁজে পেত শুভ এবং অশুভকে। বেঁচে থাকার সব থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ অন্নকে ঘরে তোলার সময়ে যাবতীয় অশুভ শক্তির বিনাশ চাইত সে। তাই কি এই দিনটির সঙ্গে যুক্ত হয় মহিষাসুর বধ বা রাবণ বধের কাহিনি?
সাংস্কৃতিক নৃতত্ত্বকে অনুসরণ করলে দেখা যাবে, বছরের প্রধানতম ফসলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে সম্বৎসরের আশা-আকাঙ্ক্ষা। নবরাত্রি অথবা চারদিনের দুর্গোৎসব এই আকাঙ্ক্ষারই রূপায়ণ ঘটায় নববস্ত্রে, উদ্যাপনে।
সুইস ব্যাংকের গোপন অ্যাকাউন্টের হদিশ কেন্দ্রের হাতে
ভারতীয় আধ্যাত্মভাবনাতেও বিশেষ তাৎপর্য বহন করে এই দিনটি। রাবণ কৃত অসৎ কর্মগুলিকে অগ্নিতে নিক্ষেপ করতেই যেন প্রতীকী রাবণ-দহন পালিত হয় এদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। অহঙ্কার এবং দর্পের প্রতিমূর্তি রাবণকে সংহার করে এক বিনম্র জীবনকে বেছে নেওয়ার কথাও বলে দশেরা উৎসব।
কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও পশ্চিম বিহারে নবরাত্রির প্রথম দিনে মাটির টবে বার্লির বীজ পুঁতে দেওয়া হয়। বীজ থেকে যে অঙ্কুর বেরোয়, নয় রাত্রির পর দশম দিনে পুরুষেরা তা তাঁদের টুপিতে পরেন বা কানের পিছনে লাগিয়ে রাখেন। এই অঙ্কুরকে সৌভাগ্যের প্রতীক ভাবা হয়। গোটা উত্তর ভারত ও মহারাষ্ট্রের একাংশে রামের সম্মানে দশেরা পালন করা হয়। রামের বিজয়ের দিনটি এঁরা পালন করেন রাবণ পুড়িয়ে।
হিমাচলের কুলু দশেরার কথা আলাদা করে উল্লেখ করতে হয়। কুলু শহরের ঢোলপুর ময়দানে যে মেলা বসে তাতে দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা ভিড় জামান। মহীশূরে দশেরা উদ্যাপন হয় মহিষাসুরমর্দিনীর বিজয়কে স্মরণ করে। এখানকার দশেরা মিছিলের খ্যাতি জগৎ জোড়া। দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য সর্বত্রই বিজয়াদশমী পালিত হয়। তবে প্রতিটি জায়গাতেই সেখানকার অনুষ্ঠানের স্থানীয় ব্যাখ্যা রয়েছে।
রাবণকে জ্বালিয়ে আজ সন্ধ্যায় দেশজুড়ে পালিত হবে দশেরা উৎসব।