এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: এক ডেঙ্গি রোগীর পরিবারের হাতে ১৫ দিনের জন্য ১৬ লাখ টাকার বিল ধরাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ১৫ দিন ICU-তে থাকার পর অন্য হাসপাতালে সরাতে গিয়ে ৭ বছরের ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা।
অভিযোগের আঙুল গুরগাঁওয়ের ফোর্টিস হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ১৭ নভেম্বর বছর সাতের আদিয়া সিং-এর বাবার এক বন্ধুর টুইটার পোস্ট থেকে প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি। তিনি লিখেছিলেন, 'আমার ছেলেবেলার এক বন্ধুর ৭ বছরের মেয়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ দিন ধরে ফোর্টিস হাসপাতালে ভর্তি। বিল দেওয়া হয়েছে ১৮ লাখ টাকার। তাতে ধরা হয়েছে ২৭০০ গ্লাভসের দাম। সবশেষে বাচ্চাটি মারা গিয়েছে।'
এই মেসেজটি ৪ দিনে ৯০০০ বার রিটুইট করা হয়েছে। এতেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ডেজি নাড্ডা টুইট করে বলেন, 'hfwminister@gov.in-এ আমায় সমস্ত বিস্তারিক তথ্য জানান। আমি ব্যবস্থা নেব।'
Please provide me details on hfwminister@gov.in .We will take all the necessary action. https://t.co/dq273L66cK — Jagat Prakash Nadda (@JPNadda) November 20, 2017
মৃতার বাবা জয়ন্ত সিং দ্বারকার একটি সংস্থায় IT কর্মী। হাসপাতাল তাঁদের ভুল পথে চালিত করেছিল বলে অভিযোগ করে তিনি TOI-কে জানিয়েছেন, 'সরকারের অবশ্যই ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে কোনও হাসাপাতাল ওদের মতো কাজ না করতে পারে।' মেয়ের চিকিত্সার জন্য অফিস থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ নেওয়ার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনদের থেকেও সাহায্য নিয়েছিলেন জয়ন্ত। ভেঙে ফেলেছেন তাঁর যাবতীয় সঞ্চয়।
২৭ অগাস্ট প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হয় ক্লাস টু-এর ছাত্রী আদিয়া। তাকে প্রথমে দ্বারকার রকল্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরিস্থিতির উন্নতি না-হওয়ায় ডাক্তারদের পরামর্শে ৩১ অগাস্ট তাকে ভর্তি করা হয় ফোর্টিস হাসপাতালে। রক্তপরীক্ষায় জানা যায়, তার ডেঙ্গি হয়েছে। চিকিত্সার পরও তার অনুচক্রিকার পরিমাণ দিন দিন কমে যেতে থাকে। এরপর তাকে ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়েছিল। ১০ দিন সে ছিল লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে। এরই মাঝে ক্রমশ চড়তে থাকে বিল। ১৫ দিন পর যখন দেখা যায় মেয়েটির মস্তিষ্কে সাংঘাতিক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, তখন ডাক্তাররা আশা ছেড়ে দেন। এই সময় হাসপাতাল পাল্টানোর কথা ভাবলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যাম্বুলান্স দিয়েও সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ আদিয়ার পরিবারের।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে ফোর্টিস হাসপাতাল। তারা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে জানিয়েছে, আদিয়ার চিকিত্সায় নিয়ম মেনে সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর বিল হয়েছিল ১৫.৭৯ লাখ টাকার।
খবরটি ইংরেজিতে পড়ুন
অভিযোগের আঙুল গুরগাঁওয়ের ফোর্টিস হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ১৭ নভেম্বর বছর সাতের আদিয়া সিং-এর বাবার এক বন্ধুর টুইটার পোস্ট থেকে প্রকাশ্যে আসে বিষয়টি। তিনি লিখেছিলেন, 'আমার ছেলেবেলার এক বন্ধুর ৭ বছরের মেয়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ১৫ দিন ধরে ফোর্টিস হাসপাতালে ভর্তি। বিল দেওয়া হয়েছে ১৮ লাখ টাকার। তাতে ধরা হয়েছে ২৭০০ গ্লাভসের দাম। সবশেষে বাচ্চাটি মারা গিয়েছে।'
এই মেসেজটি ৪ দিনে ৯০০০ বার রিটুইট করা হয়েছে। এতেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ডেজি নাড্ডা টুইট করে বলেন, 'hfwminister@gov.in-এ আমায় সমস্ত বিস্তারিক তথ্য জানান। আমি ব্যবস্থা নেব।'
Please provide me details on hfwminister@gov.in .We will take all the necessary action. https://t.co/dq273L66cK — Jagat Prakash Nadda (@JPNadda) November 20, 2017
মৃতার বাবা জয়ন্ত সিং দ্বারকার একটি সংস্থায় IT কর্মী। হাসপাতাল তাঁদের ভুল পথে চালিত করেছিল বলে অভিযোগ করে তিনি TOI-কে জানিয়েছেন, 'সরকারের অবশ্যই ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, যাতে কোনও হাসাপাতাল ওদের মতো কাজ না করতে পারে।' মেয়ের চিকিত্সার জন্য অফিস থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ নেওয়ার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনদের থেকেও সাহায্য নিয়েছিলেন জয়ন্ত। ভেঙে ফেলেছেন তাঁর যাবতীয় সঞ্চয়।
২৭ অগাস্ট প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হয় ক্লাস টু-এর ছাত্রী আদিয়া। তাকে প্রথমে দ্বারকার রকল্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরিস্থিতির উন্নতি না-হওয়ায় ডাক্তারদের পরামর্শে ৩১ অগাস্ট তাকে ভর্তি করা হয় ফোর্টিস হাসপাতালে। রক্তপরীক্ষায় জানা যায়, তার ডেঙ্গি হয়েছে। চিকিত্সার পরও তার অনুচক্রিকার পরিমাণ দিন দিন কমে যেতে থাকে। এরপর তাকে ভেন্টিলেশনেও রাখা হয়েছিল। ১০ দিন সে ছিল লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে। এরই মাঝে ক্রমশ চড়তে থাকে বিল। ১৫ দিন পর যখন দেখা যায় মেয়েটির মস্তিষ্কে সাংঘাতিক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, তখন ডাক্তাররা আশা ছেড়ে দেন। এই সময় হাসপাতাল পাল্টানোর কথা ভাবলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যাম্বুলান্স দিয়েও সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ আদিয়ার পরিবারের।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে ফোর্টিস হাসপাতাল। তারা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে জানিয়েছে, আদিয়ার চিকিত্সায় নিয়ম মেনে সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর বিল হয়েছিল ১৫.৭৯ লাখ টাকার।
খবরটি ইংরেজিতে পড়ুন