এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: দুই বছর আগে মধ্যপ্রদেশের প্রথম 'ডিজিটাল গ্রাম' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল বদঝিরি। বর্তমানে সেখানে নগদ ছাড়া চলাই মুশকিল। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোটবন্দি নীতি কার্যকর করার পরে ভোপাল জেলার বদঝিরি গ্রামকে দত্তক নিয়েছিল ব্যাংক অফ বরোদা। ব্যাংকের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই গ্রাম রাজ্যের প্রথম 'ডিজিটাল ভিলেজ'। একই ঘোষণা করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জয়ন্ত মালাইয়া। নগদহীন লেনদেন ত্বরাণ্বিত করতে গ্রামে এটিএম-সহ একটি এক্সপ্রেস লবি, পাশবই প্রিন্টার ও নগদ জমা দেওয়ার মেশিন বসানো হয় রাতারাতি। ঠিক হয়, গ্রামবাসীদের ডিজিটাল লেনদেনে দুরস্ত করতে প্রশিক্ষণ শিবির গড়া হবে। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই যাবতীয় উদ্যোগে ভাটা পড়ে।
সেই সময় গ্রামের দোকালগুলিতে ১২টি পিওএস মেশিন বিলি করা হয়, বর্তমানে অনাদরে পড়ে পড়ে যাদের উপর ধুলো জমছে। সোজা কথায়, নগদহীন লেনদেন নিয়ে মাথাব্যাথা নেই গ্রামবাসীর।
প্রশ্ন করা হলে এই সময়-কে গ্রামের দোকান মালিকরা জানান, বছর দুই আগে 'ডিজিটাল গ্রাম' হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পরে ২-৩ মাসের জন্য বদঝিরিতে ব্যাংক ও সরকারি আধিকারিকদের যাতায়াত লেগে থাকত। তার পরে সব উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়। কার্ডের বিনিময়ে কেনাকাটা বিষয়ে জানতে চাইলে এক দোকানদার সাফ জানিয়ে দেন, 'প্লাস্টিক ব্যবহার করতে হলে ভোপাল শহরে যান। এখানে শুধুমাত্র নগদের বিনিময়েই জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়।'
তা হলে পিওএস মেশিনগুলির কী হল? মুখের কথা কেড়ে নিয়ে দোকান মালিক জানিয়ে দেন, 'ওই যন্ত্রটা যে কোথায় রেখেছি, তা মনে নেই। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ওটা ব্যবহার করা হয়নি। জোরাজুরি করলে বলতে বাধ্য হব, কার্ডের বিনিময়ে কিছু বিক্রি করব না।'
হেঁকেডেকে ঘোষণার পরে কী এমন হল যে ডিজিটাল গ্রাম নগদহীন লেনদেন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে?
আর এক দোকানি বলেন, 'জিনিসের দামের উপর কে ২% কর দেবে মশাই? আপনি দেবেন? এখানে কেউ কার্ডের বিনিময়ে কেনাকাটা করে না। বেশিরভাগ খদ্দেরই গ্রামের মানুষ। তাঁদের থেকে ২% অতিরিক্ত কর আশা করা অর্থহীন।'
গ্রাম ঘুরে দেখা গেল, তিরিশটি দোকানের কোনওটায় পিওএস মেশিনের অস্তিত্ব নেই। একজন দোকানদার শুনিয়ে দিলেন, 'এখানে ধারবাকি ছাড়া ব্যবসা টেকে না। গ্রামের লোকের হাতে টাকাই নেই তো নগদহীন লেনদেন! আমাদের ব্যাংক ঋণ দরকার, স্কুলের বেতন দিতে অর্থ প্রয়োজন। এছাড়া বিদ্যুতের মাশুল, হাসপাতালের খরচ জরুরি। এসব ছাড়া ডিজিটাল গ্রাম সোনার পাথরবাটি।'
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ব্যাংক অফ বরোদার ভোপালের আঞ্চলিক ম্যানেজার আর সি যাদব বলেন, 'ওই গ্রামে আমাদের ই-লবি কাজ করছে। মাঝে মাঝে ঠিক সময়ে সেখানে টাকা ভর্ত্তির ব্যাপারে সমস্যা দেখা দেয় বটে। তা ছাড়া কোনও অসুবিধা নেই।'
তবে গ্রামবাসীকে নগদহীন লেনদেনে অভ্যস্ত করতে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন সম্পর্কে তিনি জানান, 'বদঝিরিতে নগদহীন লেনদেন সম্পর্কে সচেতনতা শিবির করা কঠিন চ্যালেঞ্জ। দুঃখের বিষয়, দীর্ঘ দিন ওখানে এই ধরনের শিবির করা সম্ভব হয়নি। কিছু দিনের মধ্যেই তা শুরু করা হবে।'
খবরটি ইংরেজিতে পড়ুন
সেই সময় গ্রামের দোকালগুলিতে ১২টি পিওএস মেশিন বিলি করা হয়, বর্তমানে অনাদরে পড়ে পড়ে যাদের উপর ধুলো জমছে। সোজা কথায়, নগদহীন লেনদেন নিয়ে মাথাব্যাথা নেই গ্রামবাসীর।
প্রশ্ন করা হলে এই সময়-কে গ্রামের দোকান মালিকরা জানান, বছর দুই আগে 'ডিজিটাল গ্রাম' হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পরে ২-৩ মাসের জন্য বদঝিরিতে ব্যাংক ও সরকারি আধিকারিকদের যাতায়াত লেগে থাকত। তার পরে সব উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়। কার্ডের বিনিময়ে কেনাকাটা বিষয়ে জানতে চাইলে এক দোকানদার সাফ জানিয়ে দেন, 'প্লাস্টিক ব্যবহার করতে হলে ভোপাল শহরে যান। এখানে শুধুমাত্র নগদের বিনিময়েই জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়।'
তা হলে পিওএস মেশিনগুলির কী হল? মুখের কথা কেড়ে নিয়ে দোকান মালিক জানিয়ে দেন, 'ওই যন্ত্রটা যে কোথায় রেখেছি, তা মনে নেই। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ওটা ব্যবহার করা হয়নি। জোরাজুরি করলে বলতে বাধ্য হব, কার্ডের বিনিময়ে কিছু বিক্রি করব না।'
হেঁকেডেকে ঘোষণার পরে কী এমন হল যে ডিজিটাল গ্রাম নগদহীন লেনদেন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে?
আর এক দোকানি বলেন, 'জিনিসের দামের উপর কে ২% কর দেবে মশাই? আপনি দেবেন? এখানে কেউ কার্ডের বিনিময়ে কেনাকাটা করে না। বেশিরভাগ খদ্দেরই গ্রামের মানুষ। তাঁদের থেকে ২% অতিরিক্ত কর আশা করা অর্থহীন।'
গ্রাম ঘুরে দেখা গেল, তিরিশটি দোকানের কোনওটায় পিওএস মেশিনের অস্তিত্ব নেই। একজন দোকানদার শুনিয়ে দিলেন, 'এখানে ধারবাকি ছাড়া ব্যবসা টেকে না। গ্রামের লোকের হাতে টাকাই নেই তো নগদহীন লেনদেন! আমাদের ব্যাংক ঋণ দরকার, স্কুলের বেতন দিতে অর্থ প্রয়োজন। এছাড়া বিদ্যুতের মাশুল, হাসপাতালের খরচ জরুরি। এসব ছাড়া ডিজিটাল গ্রাম সোনার পাথরবাটি।'
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ব্যাংক অফ বরোদার ভোপালের আঞ্চলিক ম্যানেজার আর সি যাদব বলেন, 'ওই গ্রামে আমাদের ই-লবি কাজ করছে। মাঝে মাঝে ঠিক সময়ে সেখানে টাকা ভর্ত্তির ব্যাপারে সমস্যা দেখা দেয় বটে। তা ছাড়া কোনও অসুবিধা নেই।'
তবে গ্রামবাসীকে নগদহীন লেনদেনে অভ্যস্ত করতে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন সম্পর্কে তিনি জানান, 'বদঝিরিতে নগদহীন লেনদেন সম্পর্কে সচেতনতা শিবির করা কঠিন চ্যালেঞ্জ। দুঃখের বিষয়, দীর্ঘ দিন ওখানে এই ধরনের শিবির করা সম্ভব হয়নি। কিছু দিনের মধ্যেই তা শুরু করা হবে।'
খবরটি ইংরেজিতে পড়ুন